ধুলো । পর্ব - ০১

রাত ১১টা
নামকরা এক পাঁচতলা হোটেলের ধবধবে সাদা বিছানায় কালো রঙা শাড়ী পরে পেছনের
বালিশে আধা শোয়া ভাবে শুয়ে আছে জিনিয়া। উঁচু মানের প্রস্টিটিউট সে।
সাধারন মানুষেরা তাকে নিয়ে আনন্দ করতে পারে না। আর যারা পারে তারা করলে ঠিক “সেক্স” বলা যায় না।
বলা হয় বিলাসিতা,বলা হয় এন্টারটেইনমেনট। আর নিচু দরের সাথে ওর আরো
কিছু জায়গায় বৈষম্য আছে। নিচু দরের যারা আছে তাদেরকে আমরা মা*** বলি।
আর তাদের কাছে আমরা “খদ্দের” আর জিনিয়াকে বলা হয় প্রস্টিটিউট।
আর তাদের কাছে আমরা হলাম ক্লায়েন্ট। এই তো তফাৎ।
আজও জিনিয়া এই পাঁচতারা হোটেলে এসেছে তার এক ক্লায়েন্টকে সঙ্গ দিতে।
তাই তো তার পরনে আজ দামী শাড়ি আর গায়ে লেগে আছে দামী ব্রান্ডের মনকাড়া পারফিউম।
কারন তো জানাই,সে তার ক্লায়েন্টকে খুশি করতে চায়।
আবির,একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করে ।
মাসে যে টুকু আয় করে তা তাঁর প্রয়োজনের থেকেও অনেক অনেক বেশি।
জিনিয়ার আজ রাতের ক্লায়েন্ট সে। আবিরের ঘরে অসম্ভব সুন্দরী বউ।
চেহারায় কোনো অংশে কম নেই আবিরের বউয়ের। শরীরেও কোনো অংশে কম নেই তার।
একটি মেয়ের বিয়ের তিনবছর পরও যদি ৩৬-৩০-৩৬ থাকে, তবে তাকে নিতান্তই চোখ
থেকে সরিয়ে নেয়া যায় না। আর আমরা পুরুষেরা তো ঠিক এরাকমই চাই তাই না?
কিন্তু সুন্দরী বউ পেয়েও খুশি নয় আবির।
.
এক্সট্রা চাবি দিয়ে হোটেলের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে আবির।
টান টান বিছানায় তাকিয়ে দেখে আধা শোয়া অবস্থায় জিনিয়াকে।
প্রথম দেখাতেই অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করা শুরু করে আবিরের ভেতর।
জিনিয়াকে সে আগে সরাসরি চিনতো না। ওর এক কলিগ কাম ফ্রেন্ডই ওকে জিনিয়ার খোজ দিয়েছে।
আধ শোয়া জিনিয়ার দিকে তাকিয়ে ওর চোখ দিয়ে সারা শরীরটাকে এক্সপ্লোর করতে থাকে আবির।
আধা শোয়া জিনিয়ার হালকা ধরানোর অংশ দেখে আবিরের শরীরের অধবনীটা হিংস্র হতে থাকে।
আবির আস্তে করে দরজাটি বন্ধ করে দেয়।
জিনিয়া টিভি দেখছিল,হালকা করে শব্দ হওয়ায় সে দিকে তাকিয়ে দেখে আবির এসেছে।
জিনিয়া মুচকি হেসে বলে..
“মি. আবির?” আবির মাথা ঝাকায়। টিভিটা জিনিয়া বন্ধ করে সোজা হয়ে বসে।
আবির জিনিয়ার সামনে সোজাসুজি হয়ে বসে।
দুজনেই অপরিচিত থাকায় বিশেষ করে আবিরের কাজটি প্রথমবার হওয়াতে কেমন আনইজি ফিল করছে।
কি বলবে ভাবতে ভাবতে জিনিয়া বলে..
– আপনি কি আনইজি ফিল করছেন?
– না-আ- মানে…(আবির)
– দেখুন আমি বুঝতে পারছি আপনি আন-ইজি ফিল করছেন। আমার হাত ধরে কথা বলুন।
– হুমম (হাতটা ধরতে আবিরের কেমন যেন লাগছে তবুও ঝটপট বলে দেয়)
চলুন না এই শীতের রাতে কফি খেয়ে একটু চাঙ্গা হয়ে নিই। আইডিয়াটা কি বেশ খারাপ?
.
চলবে…
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url