কবিতা - ঝরাপাতা

তবু তুমি সুন্দর একজন

কবে এক অবেলায়
নক্ষত্র হয়ে এসেছিলে এখানে
খরাজলে ভেজা অন্ধ হৃদয়ে
সেদিন তোমার অশ্রুত শুভেচ্ছা
তুলেছিল কাঁপন
নিমিষেই আমার অচলায়তন ভেঙে
বৃক্ষ বিহঙ্গবাসা আসবাবপত্র
ভাঁজ করে থুয়েছিল মাটির পেটরায়
তারপর বহতা মেঘের মতো
কেবল যাওয়া
কেবল বাওয়া
দিনরাত কতো সুরে প্রেমের গান গাওয়া
একদিন অসম্ভবকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে
দাউদাউ সূর্যের চারপাশ ঘিরে
আমাদের স্বপ্নের সাতপাক ভ্রমণ
তারপর মহাকাশ মসজিদে
অবিনাশী শ্লোকের নিরব কথন
আমরা নবযুগল প্রবেশ করলাম কতোখানে
অথচ কোথাও ভিতরের হলাম না
আমরা মুগ্ধ দেদারসে মিশলাম
অথচ একবিন্দু শিশিরপাত হলো না
আমরা স্বর্গসুধায় তৃপ্ত হলাম
অথচ তিলটুকু ক্লান্তি এলো না
কী আশ্চর্য বোঝাপড়ায়
মোহনায় মিশে চলে আমাদের নৌকা
আমাদের নৌকার ঘরদোর নেই
আমাদের নদীর জলতীর নেই
আমাদের ঘাটের পাটাতন নেই
আউল বাউলের মতো আমরা বোহেমিয়ান
উড়েউড়ে ক্রমশ একা হয়ে যাই
অতনুর নৈঃশব্দে নিরাশ তুমি যেন
হাতছানি খুঁজে বেড়াও নতুন নাবিকের
একেএকে ফুটে ওঠে শূন্যতার ফুল
সমুদ্রের সব কথা সব সুর
বেদনার গান হয়
কুয়াশার মায়াজলে আশ্চর্য আজো বাঁচে
জীবনের ঝরাপাতা।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url