সমাজ যাদেরকে বউ পাগল বলে

সমাজ যাদেরকে বউ পাগল বলে, আমি তাদেরকে শ্রেষ্ঠ চরিত্রবান ভেবে সম্মান করি।"

উপরের এই লাইনটা একটু ব্যাখ্যা করি।

আমাদের সোসাইটিতে যেই ছেলেটা অফিস শেষে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে চায়,

তাকে নিয়ে কলিগদের মধ্যে প্রতিনিয়ত হাসিঠাট্টা চলে।

আড়ালে তাকে বউ পাগলা বলা হয়।

কিন্তু সত্যি এটাই যে, ঐ পুরুষটিই একজন আদর্শ স্বামী হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

সারাদিন কাজকর্ম করে যেই মানুষটা রাত জেগে তার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে,

তাকে ইগনোর করে কলিগদের সাথে চা কিংবা সিগারেটের আড্ডায়

মেতে থাকার মধ্যে আমি কোনো পুরুষত্ব খুঁজে পাই না।

নিজের স্ত্রীকে ভালোবেসে তার প্রতি যত্নশীল হওয়াটাও
একজন প্রকৃত পুরুষত্বের পরিচয় বলে মনে করি। সমাজ বলবে,
মেয়ে মানুষের মতো বউয়ের হাতে হাতে কাজ করছো কেন?
বউয়ের গোলাম হইছে এ্যাহ! ছিঃ শরম নাই।
বউয়ের সাথে রান্নাঘরে ঢুকে কাজ করে!
আমি বলবো, যে দুটো হাত প্রতিদিন আপনার মুখের সামনে খাবার তুলে দেয়,
সে দুটো হাতের ভরসা হওয়াতে কোনো লজ্জা নেই।
দুই হাতকে চার হাতে পরিনত করে একে অপরের ভরসা হওয়া,
যত্ন করাতে কোনো লজ্জা নেই।
.0
কাউকে বউ পাগল হতে দেখলে যাদের সমস্যা হয় তারা বরং
চোখের ডাক্তার দেখিয়ে নিবেন। নিয়মিত এলার্জির ওষুধ খাবেন।
পুরো পৃথিবীটা তাহলে সুন্দর মনে হবে।
যার দেখার চোখ সুন্দর সে মানুষ তত বেশি সুন্দর, তত বেশি পজিটিভ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url