Breaking News

জুনিয়র হাজবেন্ড । পর্ব - ০৩



কেয়া রাহাদের রুমে পৌছে গেল,,,,,
রাহাত অন্যদিকে হয়ে ফোন টিপতেছে,,,,
কেয়া: হ্যালো স্যার,,,,
রাহাদ: হুম,,,, আসার সময় অনুমতি নিলেন না কেন,,,,,,
কেয়া: সরি সরি ভুলে গেছিলাম,,,, খুব আপসেট ছিলাম তো,,,
কেয়ার কথা শুনে রাহাদ ঘুরে বসে,,,,,,
রাহাত: কিসের আপসে,,,,ট,,,,,,,😱😱😱😱😱 তুমি এখানে,,,,
কেয়া: আমার ও তো একই কথা,,, আপনি এখানে কেন,,,,
রাহাত: আমি এখানে মানে,,,,, জানেন আমি কে,,,,,
কেয়া: কে আপনি হুম,,,,
রাহাত: এই অফিসের বস আমি,,,, রাহাত মল্লিক,,,,,
চিনচেন মনে হয় এবার,,,,
কেয়া: 😟😟😟😟 সরি স্যার,,,,,(করুন সুরে বলল)
রাহাত: অসব সরি টরি হবে না,,,,, আপনি যান এখান থেকে,,,, আপনার চাকরী নট ,,,,
কেয়া: কিইইই,,,,, নট মানে,,,, আগে কাগজ পত্র দেখেন,,,, তারপরে না বলেন,,,,,
রাহাত: দেখছি আমি,,,,,,
কেয়া: কখন দেখছেন হুম ,,,,
রাহাত: গোপনে 🤠🤠🤠🤠
কেয়া:😠😠😠😠😠😠 করব না চাকরি আপনার এখানে,,,, গেলাম আমি,,,,
রাহাত: যান যান,,,, আপনার মত বজ্জাত মেয়ে আমার অফিসে লাগবেনা,,,,,
কেয়া: কিইইইই,,,, আমি বজ্জাত না,, আপনি তাতে খুব ভালো ,,,,, বান্দর একটা,,,,
রাহাত: আপনি তো আজব মেয়ে,,,, আমার অফিসে এসে আমাকেই বান্দর বলতেছেন,,,
কেয়া: তাই কি হয়েছে,,,, আরো অনেক কিছু বলবো,,, পারলে আপনে ঠেকান,,,,,,
রাহাত: আচ্ছা মেয়েতো আপনি,,,, বাবা-মা কী আদব-কায়দা শিখায় নাই নাকি,,,,
আপনি যানতো এখান থেকে,,,,
কেয়া: হুম যাচ্ছি,,, আপনার এখানে আমি থাকতে আসি নাই,,,,
রাহাত: হুম তাই যান,,,, গিয়ে উদ্ধার করুন আমাকে,,,,,
কেয়া রেগে চলে গেল,,,,,,
.
এদিকে রাহাত ও অনেক রেগে আছে,,,,,
সৌরভ রুমে আসলো,,,,
সৌরভ: কি হলো রে,,,, ঐ মেয়েটা এভাবে রেগে গেল কেন,,,,
তোকে দেখলাম অনেক খারাপ খারাপ কথা বলতেছে,,,,
রাহাত:আর বলিস নারে,,, সকালে যে একটা মেয়ের কথা বললাম না,,,
আর 5000 টাকা নিয়েছিল,,, ওই মেয়েটাই হচ্ছে,,, এই মেয়ে
সৌরভ: কি বলিস,,,, কি করলি এখন তুই,,, টাকা নিয়েছিস তো,,,
রাহাত: আর টাকা,,, আমার অফিসে এসে আমাকে ঝাড়ি দিচ্ছে,,,
এমন ভাবে কথা বলতেছিল মনে হয় ওই বস,,,,, এত খারাপ মেয়ে আমি জীবনে দেখিনি,,,,,
সৌরভ: হা হা হা,,, তা জবটা কি দিলি,,,,
রাহাত: প্রশ্ন ই আসে না,,,,,ওর মতো ঝগড়াটে মেয়েকে
,,, জব দিলে,,,, সব সময় ঝগড়া করবে,,,,,
সৌরভ: ওহহহ,,,, তবে মেয়েটার সার্টিফিকেট কিন্তু খুব ভাল ছিল,,,
অনেক ভালো স্টুডেন্ট,,,, আমি তো মনে করছি ওকেই সিলেক্ট করবি তুই,,,
.
রাহাত: আমি সার্টিফিকেট দেখিনি,,,, ওকে দেখেই তো রাগ হয়ে গেছে,,,,,
ওর জন্য সকাল সকাল 5000 টাকা,,,,, গচ্চা গেছে আমার,,,
সৌরভ: আচ্ছা বাদ দে,,,,, তাহলে ওদের মধ্যে থেকে একজনকে সিলেক্ট করে নে,,,,,
রাহাত: আজ ওদেরকে চলে যেতে বল,,,,,, মনটা ভালো নেই,,,,
সৌরভ: ওকে,,,,,
সৌরভ চলে গেল,,,,, রাহাত চেয়ারে বসে রইলো,,,,
আজকে কেন জানি তার হঠাৎ,,,, মিথিলার কথা মনে পড়তেছে,,,,,
এমনি মনে পড়েনি,,,, তার একটা কারণ আছে,,,, কেয়ার মতো,,,,
মিথিলা ও ওর সাথে এরকম ভাবে ঝগড়া করতো,,,,,
রাহাত আর অফিসে থাকলো না,,,,,,,,,
বাড়িতে চলে গেল,,, সৌরভ কে সবকিছু দেখিয়ে দিয়ে,,,,,
বাড়িতে গিয়ে দেখলো,,,, ওর মা খাবার তৈরি করছে,,,,
ওকে দেখে অবাক ই হয়েছে,,,, কারণ এই সময় রাহাত কখনো বাড়িতে যায়নি,,,,,,
রাহাতের মা: কি ব্যাপার,,,,আজ এতো আগেই আসলি,,,,, অফিসে কাজ নাই নাকি,,,,
রাহাত: ছিল,,,, এমনি চলে আসলাম,,,
রাহাতের মা: ওহহহ শরীর খারাপ নাকি,,,,,
রাহাত: না এমনি আসলাম,,,,,,, ভালো লাগছে না,,,,,
কথাটা বলে রাহাত উপরে ওর রুমে চলে গেল,,,,,,
রুমে গিয়ে সিগারেট ধরায়,,,, আর আলমারির ভেতর থেকে অ্যালবাম বের করে,,,,,
আগের সেই পুরনো ছবিগুলো,,,, তার সাথে মাখানো স্মৃতিগুলো,,,,,
মনে করে এমনি হাসতে থাকে ও,,,,, তবে হাসিটা যে দুঃখের,,,,,
সেটা নিকোটিনের ধোয়ায় বোঝাই যাচ্ছে,,,,,,
হাসি দিয়ে শুধু লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেছে,,,,,
কিন্তু কথায় আছে না,,,,, দুঃখ বেশিক্ষণ চেপে রাখা যায় না,,,,,
হাসতে হাসতে রাহাতের চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়,,,,,,
.
এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ে ও,,,,,,
আর অন্যদিকে,,,, কেয়া রেগে বাড়িতে চলে গেছে,,,,
পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলছে একবারে,,,,,
একমাত্র মেয়ে,,, তাই মা বাবা ও কিছু বলে না,,,,,,
হারামি আমারে চাকরি দিল না,,,, ওর অফিস টাই উড়ে যাবে,,, আমাকে বলে,,,,
আপনার মত মেয়ে আমার দরকার নেই,,,,, আমি কম কিসের,,,,,
আমার মত মেয়ে খুঁজে পাবে কোথাও ও,,,,,
জোরে জোরে কথাগুলো বলতে থাকে,,,,, ওর মা কথাগুলো শুনতে ছিলো,,,,
কিন্তু শুনেও না শোনার ভান করে আছে,,,,,, উনি জানে,,,,,
ওনার মেয়ে একরকম ই,,,,, কিছুক্ষণ এরকম করে এমনি চুপ হয়ে যাবে,,,,,,
কেয়ার বাবা কলেজের প্রফেসর,,,, একটা মেয়ে তো,,,,
আদর দিয়ে একবার মাথা তুলে ফেলছে,,,,,
এখন আর বাবা মাকে দেখে একটু ও ভয় পায় না কেয়া,,, তবে ভালবাসে অনেক,,,,,
ঘণ্টাখানেক পর,,,,, নিচে খেতে আসে কেয়া,,,, এতক্ষণ ওর বাবা এসে গেছে,,,,,
কেয়ার বাবা: কি হইছে মামনি,,,, শুনলাম আজকে নাকি অনেক রেগে ছিলে,,,,,
কেয়া: তোমায় কে বলল,,,,
কেয়ার বাবা: কে আবার বলবে,,,, তোমার মা,,,,
কেয়া ওর মার দিকে তাকায়,,,,
তারপর আবার বলে
.
কেয়া: হুম তুমি জানো কি হয়েছে,,,,,
কেয়ার বাবা: কি হয়েছে বলোতো,, কে আমার মামনির রাগটা এভাবে বাড়িয়ে দিছে,,,,,
কেয়া ওর বাবাকে সবকিছু খুলে বলে,,,,, সব কিছু বলেনি,,,,
তবে যেটুকুই বলেছে,,, সেখানে ওর বিন্দুমাত্র দোষ ও রাখেনি,,, সব দোষ রাহাতের দিছে,,,,,,
কেয়ার বাবা: খুব খারাপ করছে তো তোমার সাথে,,,,,,,
যা করেছো ভালো করেছো,,,,, তোমার চাকরি করা লাগবে না,,,,
এমনি তেই তো অনেক টাকা আমাদের,,,,,
কেয়া: তাই কি,,,, আমি নিজের পায়ে দাড়াবো,,,,, আবার ইন্টারভিউ দিবো আমি,,,,
কেয়ার বাবা: ওকে তোমার যা ইচ্ছা,,,,,, আমি আর কি বলব
কেয়ার মা: ঠিক ই তো তুমি আর কি বলবে,,, এভাবে মেয়েটা বুড়ি হয়ে যাক,,,, তারপর দেখো কি হয়,,,,,,
কেয়া: 😠😠😠😠 তুমি সবসময় আমাকে তারানোর ধান্দা করো কেন মা,,,, আমাকে কি তোমাদের বোঝা লাগছে,,,, যদি লাগে বলে দাও,,,, বাড়ি থেকে চলে যাবো
কেয়ার বাবা: কি বল এসব,,,, তুমি বোঝা হতে যাবে কেন,,,,
.
তোমার মা এমনি বলছে,,, তোমার যা ইচ্ছে তাই করো,,,, কেউ বাধা দিবেনা,,,,
কেয়া: হুম ,,,, তুমি আমার লক্ষ্মী বাবা,,,,
সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখনো রাহাতের ঘুম থেকে উঠার নাম নেই,,,, অনেকবার ডাকসে কিন্তু ওঠে নি,,,,
সন্ধ্যার দিকে ঘুম থেকে উঠে রাহাত,,,,, কারণ সৌরভ এসেছে,,,,,
রাহাত ফ্রেশ হয়ে রুমে আসে,,,,
রাহাত: কিরে এইসময় ডাকলি কেন,,,, অনেক সেজেগুজে আসছিস দেখছি,,,, কোথায় যাবি,,,,,
সৌরভ: যাবো এক জায়গায়,,,, তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে,,,,, আর এত ঘুম কিসের,,,, দুপুরে বলে কিছু খাস নাই,,,, কি হয়েছে,,,
রাহাত: আরে কিছু না,,,, একটু খারাপ লাগলো তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,,,, কোথায় যাবি,,,,
সৌরভ: আর কতদিন মনে রাখবি মিথিলার কথা,,,,,, ভুলে যা না এসব,,, ও তো আর ফিরে আসবেনা,,,,,
রাহাত: পাগল হলি নাকি,,, কি মিথিলার কথা মনে করতেছে,,,, এমনি খারাপ লাগছে রে,,,,
সৌরভ: আমাকে মিথ্যা বলিস না,,,,, তোর নেংটা কালের দোস্ত আমি,,,,,
আমি সব কিছুই জানি,,,,,, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে,,,,
.
রাহাত: হুম,,, একটু দেরি কর, রাহাত কিছুক্ষণের মধ্যে রেডি হয়ে,,,,
সৌরভের সাথে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে, রাহাত: এখন বললি না কোথায় যাচ্ছিস,,,,,,
সৌরভ: আজকে আতিয়ার বার্থডে,,,,, ক্লাবে যেতে বলছে আমাকে আর তোকে,(আতিয়া সৌরভের গার্লফ্রেন্ড)
রাহাত: কি,, বার্থডেতে যাচ্ছি আমরা,,, আগে বলবি না,,,,
সৌরভ: আগে বললে আসতি এতদুর,,,,,, আগেই তো না করে দিতি,,,
রাহাত: হুম,,,, জানিসই তো যখন,, নিয়ে যাস কেন,,,,,,
সৌরভ: আতিয়া বারবার তোকে নিয়ে যেতে বলছে,,,,,, বলছে তোকে আনতেই হবে,,,,,
রাহাত: হুম। চল,,,,, কি আর করার,,,,,
এদিকে কেয়া ও বার্থডেতে এসেছে,,,,, আতিয়া ওর বান্ধবী হয়,,,,,,
কেয়া: তোর বয়ফ্রেন্ড কি আজ আসবে,,,, নাকি আমরা চলে যাবো,,,
আতিয়া: একটু দেরি কর,,, আসতেছে রে,,,,,
কেয়া: কখন থেকে বলতেছিস আসতেছে,,, কিন্তু এখনও দেখা পেলাম না,,,, কেন রে তোরা প্রেম করতে যাস বুঝিনা,,, আমাকে দেখে শেখেক,,,,,
আতিয়া: ওইতো চলে আসছে,,,,,,,
কথাটা বলে আতিয়া এগিয়ে গেল,,, রাহাত আর সৌরভের দিকে,,,, কিন্তু কেয়া,,,,,😠
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com