ম্যাম যখন বউ । পর্ব -১২


আরে ম্যাম প্রথমবারের মতো শশুর বাড়ি আসলাম।
খালি হাতে আসলে কেমন দেখায় তাই না?
তাই নিয়ে আসলাম আরকি।
আবিদ খবরদার এসব কথা কারো সামনে ভুলেও কিন্তু বলিওনা।
ওকে, ম্যাম। চলো এবার ভিতরে চলো।
হ্যাঁ, ম্যাম চলেন।



ম্যাম বাসায় কে কে আছে?



মা আর ছোট বোন আছে।



ছোট বোনের নাম কি?



ওর নাম সাইমা। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে।



ভালোতো।



বাসায় ঢুকে আন্টিকে সালাম দিলাম, আসসালামু আলাইকুম। আন্টি কেমন আছেন?



এইতো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

তুমি কেমন আছো বাবা?

.



আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।



তোমার কথা মেঘলা আগেই বলেছিল।

তুমি নাকি ওর পরীক্ষায় ভালো করে বিরিয়ানি খেতে চাইছো?

ভালো রেজাল্ট করে ম্যামের বাসায় এসে বিরানি খাওয়ার এক নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে তুমি।

হাহা ব্যাপারটা কিন্তু আমার বেশ ভালই লাগছে।



আমি আর কিছুই বললাম না।



ম্যাম আমার একটু ওয়াশরুমে যাওয়ার দরকার।



এই সায়মা এদিকে একটু শুনে যা।



হ্যাঁ,আপু বলো।



এই হচ্ছে আবিদ, আমার স্টুডেন্ট। ওর কথাই গতকাল বলেছিলাম।



আস্সালামু আলাইকুম ভাইয়া কেমন আছেন?



আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছো

সাইমা?



আমিও ভালো আছি।



তোমার নামটা কিন্তু অনেক সুন্দর। তুমিতো সপ্তম শ্রেণিতে পড়ো তাই না?



হ্যাঁ, আপনি কিভাবে জানলেন?



তোমার আপু বলেছিল।



ও আচ্ছা।



তোমার রুল যেন কত?




.



এত কম কেনো?অন্য মানুষের যে আরও অনেক বেশি থাকে।



কোথায় কম?



আরে রুল যত বেশি তত ভালো তাই না?



আপনারে কইসে?



কে কইছে?



আপনিই জানেন।



আবিদ তুমি সায়মাকে এত বোকা ভেবো না।



বোকা ভাবিনিতো একটু মজা করলাম আরকি।



সাইমা আবিদকে ওয়াশরুমটা দেখিয়ে দিয়ে আস।



চলেন আবিদ ভাইয়া।



ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। ম্যাম আমার জন্য নাস্তা নিয়ে এলো।



ম্যাম আমি তো দুপুরের খাবার খেয়ে আসছি এখন আর খেতে পারব না।



আরে খাও একটু।



ফলমূল খেতে পারব না তবে একটা কালো জাম খেতে পারি। ম্যাম আপনিও একটা কালোজাম খান।



আচ্ছা ঠিক আছে।



কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর ম্যাম বললো চলো আবিদ বিরানী রান্না করতে তোমাকেও হেল্প করতে হবে।

কিছু না পারলেও পেঁয়াজ মরিচ কেটে দিলেই হবে।



ওকে ম্যাম সমস্যা নেই আমি এগুলো কাটতে পারি। বাড়িতে মাকে প্রায়ই কেটে দেই।

আমারতো বোন নাই, মাকে আমি অনেক কাজে হেল্প করি।

মা আমাকে মাঝেমধ্যে মজা করে মেয়ে বলে ডাকে।



ও তাই? হাহাহা।



ম্যাম দেখি বিরানি রান্নার জন্য গরুর মাংস আনছে।

ম্যাম গরুর মাংস না হলেই হতো মুরগির মাংস হলে ভালো হতো।



আরে কী বলো বিরানি জন্য গরুর মাংস ব্রেস্ট।



সে যাইহোক আমার মুরগির মাংস দিয়ে বিরিয়ানি ভালো লাগে।



আবিদ একটা ভুল করে ফেলেছি।



কি ভুল ম্যাম?

.



বিরানির মসলা আনতে ভুলে গেছি।



সমস্যা নাই, আমি বিরানির মসলা নিয়ে আসতেছি।



তাহলেও ওই রাস্তার বাম পাশের দোকান থেকে নিয়ে এসো।



আচ্ছা ম্যাম আপনি তাহলে কাজ করতে থাকেন আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আসতেছি।



সায়মা আমার ব্যাগ থেকে 100 টাকা নিয়ে আসতো।



ম্যাম টাকা দরকার নাই, আমি আনতেছি।



আরে না তুমি টাকা নিয়ে যাও।



লাগবেনা।



তাহলে তোমার মসলাও আনা লাগবে না।



ম্যাম সায়মার হাত থেকে টাকাটা নিয়ে আমার পকেটে গুজে দিল।



কি আর করার। বাধ্য ছেলের মতো টাকাটা নিতে হলো।



দশ মিনিট পর মসলা নিয়ে ফিরলাম।



এদিকে ম্যাম বিরানি রান্নার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে।



সায়মাকে বছিয়েছে পিয়াজ মরিচ কাটার জন্য।



সায়মা তুমি একটু রেস্ট নাও আমি কাটতেছি।



না, ভাইয়া আপনাকে কাটতে হবে না। আমিই কাটি।

হআপনি আমাদের মেহমান আপনাকে কাটতে দিই কিভাবে?



আরে দেও তো সমস্যা নেই।


.


সায়মার থেকে বটি নিয়ে আমি পিয়াজ মরিচ কাটা শুরু করলাম।



সাইমা টিভি দেখতে চলে গেলো।

আর আন্টিও টিভি দেখতেছে।এদিকে আমি আর ম্যাম বিরানী রান্না করতেছি।



ম্যাম চিন্তা করিয়েন না, বিয়ের পর আমরা মিলেমিশে একসাথে বিরানী রান্না করবো।



ইশ শক কত!



যাই বলুন না কেন ম্যাম বিয়ের পর আমি আপনাকে সকল কাজে হেল্প করব।



এসব কথা বলা থেকে বিরত হও। আর পরিবারের কেউ শুনলে প্রবলেম হবে।



ওকে ম্যাম, তাহলে এই কথা এখন না হয় এখন নাই বলি।



এইতো গুড বয়।



আমি গুড না অনেক খারাপ। তাই তো আপনি আমাকে গুরুত্ব দেন না।



কই গুরুত্ব দিলামনা?



আমি আপনার কাছে যে রকম গুরুত্ব চাই আপনি আমাকে সেরকম করে গুরুত্ব দেন না।



সেরকম গুরুত্ব সময় হলেই পাবে।



সেই সময় কবে আসবে ম্যাম?



আমি জানি না।



জানতে হবে ম্যাম।



এখন জানা দরকার নাই।



ম্যাম একটা কথা বলার ছিল, বলবো?

.

চলবে...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url