চাচাতো বোনের সাথে বিয়ে। পর্ব -০৩



ভালবাসতে হবে না আমাকে। বিয়ে করেছো, যাও নিজের বউকে গিয়ে ভালোবাস।
তাকে প্রাণভরে আদর করো গিয়ে।
আফিফার কথায় কষ্ট পেলাম খুব। এমন কঠিন কথা কীভাবে বললো সে.?
যাকে নিয়ে আমার এতো স্বপ্ন তাকে ছেড়ে অন্য একটা মেয়ের সাথে স্বপ্ন সাঁজাবো কীভাবে.?
কীভাবে স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপ দিবো আমি.?
স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রণা যে কতোটা দুর্বিষহ সেটা এখন বুঝতে পারছি।
আমি আফিফাকে জোর করে আমার দিকে ঘুরালাম। মাথা নিচু করে আছে সে।
সরু থুতনিটা বুকের সাথে এটে আছে একদম।
.
আমি আফিফার থুতনিতে হাত দিয়ে চাঁদবদন মুখখানি উপরে তুলে ধরলাম।
কাজল কালো ডাগর ডাগর চোখ বেয়ে শ্রাবণের ধারা বইছে যেন।
কেঁদে কেঁদে চোখ-মুখ লাল করে ফেলেছে। আমি আলতো করে চোখের পানি মুছে দিলাম।
আফিফা বাঁধা দিলো না। চুপটি করে দাঁড়িয়ে রইলো কেবল।
আমি কন্ঠে একরাশ অভিমান মিশিয়ে বললাম,
.
— তুমি এমন ভাবে বলছো যেন আমি নিজের ইচ্ছায় বিয়েটা করেছি।
তুমি তো সব জানো। নিজের চোখেই সব দেখেছো। এখানে আমার দোষটা কোথায় বলো তো.?.
— তোমার কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। তোমাকে ভালোবাসাটাই আমার দোষ।.
— এভাবে বলো না প্লিজ।.
— তাহলে কি বলবো.? বিয়ের শুভেচ্ছা জানবো.?
ওকে মিস্টার শাহিন, আপনার বিবাহিত জীবন সুখের হোক। কংগ্রাচুলেশনস.!.
আফিফার কথা শুনে আর কিছু বলার ইচ্ছা হলো না। মুখ কালো করে অন্যদিকে তাকালাম।
চোখের কোণায় আবার অশ্রু চলে এসেছে। আফিফা আবার বলে উঠলো,.
— বিয়ের সময় চুপ ছিলে কেন.? বলতে পারো নি তুমি আমাকে ভালোবাস, আমাকে বিয়ে করতে চাও।.
— বলার সুযোগ পেলে তো বলবো। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল যে কিছু করার ছিল না।
তাছাড়া তুমিও তো কিছু বলো নি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার বিয়ে দেখছিলে।
ওহো, এখন সব দোষ আমার তাই না.? লজ্জা করলো না এসব বলতে.?
তোমার নিজের কোনো মুরোদ নেই আবার আমার উপর দোষ চাপাচ্ছো।
তুমি কেমন পুরুষ হ্যাঁ.?.
গলা উচিয়ে চিৎকার করে বললো আফিফা।
তার কন্ঠে যেন আগুন ঝরছে। আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম।
দু’পা পিছিয়ে জড়ানো গলায় বললাম,
এখানে আমি কী করতে পারতাম বলো তো।
.
চলবে..
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url