গল্প : গ্রামের ছেলে । পর্ব - ১০

আমি ফাহমিদা কে বললাম তুমি এরকম করছ কেন তোমার মতগতি কিন্তু ভালো লাগতেছে না। এটা বলে আমিও খাওয়া বাদ দিয়ে চলে গেলাম।

সেতুর কাছে গিয়ে বললাম তুমি না খেয়ে চলে আসলে কেন?
সেতু : ওহ তোমার মামাতো বোন মামাতো বোনের মতো থাকবে।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে। তাই বলে না খেয়ে চলে আসতে হবে নাকী
সেতু : আমার ঐসব সৈর্য হচ্ছিল না। তুমি ঐই মেয়েকে বলে দিবা।
তোমার খেয়াল ওর নেওয়া লাগবে নাহ। তোমাকে ভালোবাসার মানুষ আছে।
আমি : ঠিক আছে বলবনি
সেতু : তুমি যদি কোনো কিছু বলতে না পারো তাহলে আমিই বলব।
আমি : ঠিক আছে বলিও।
এরপর সেতু একটু ঠান্ডা হলো।
পরে আমি ওর কাছে থেকে চলে আসলাম আর বললাম তুমি শুয়ে থেকে রেষ্ট নেও।
বিকেল বেলা সেতু আম্মুকে রান্নার কাজে সাহায্য করছে।
তখনি আব্বূ বাজার থেকে আসল। আর সেতু এসে আব্বুকে পানি দিল হাত মুখ ধোয়ার জন্য।
আর ফাহমিদা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেছে।
আব্বুকে পানি দিয়ে চলে গেল আম্মুকে সাহায্য করতে।
তখনি ফাহমিদা এসে বলতে লাগল শুভ ভাইয়া চল না একটু নদী পার দীয়ে ঘুরে আসি।
এমনি এমনি বাড়ির ভিতর বসে থাকতে ভালো লাগবে।
আমি : আমি যাব না
অনেক বার না করলাম কিন্তু ফাহমিদা মানছেই না। বারাবারি দেখে
আব্বু : এত করে বলছে যখন গেলেই তো পারিস।
এরকম করে বাড়িতে বসে থকতে ভালো লাগে। আর সাথে করে সেতু মা কেউ নিয়ে যাস
.
ফাহমিদা :সেতু কাজ করূক ফুফুআম্মার সাথে আমি শুভ যাই
আব্বু : সেতু মামনি তো কোথাও যাইনি একটু দেখে আসুক ।
মেয়েটা এসে তো শুধু তোর ফুফুআম্ম কে কাজে সাহায্য করছে।
তোমার মতো তো আর সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে নাহ।
কিছু শেখ সেতুর কাছে থেকে
ফাহমিদা : তুমি ইনডাইরিক ছোট করছ।
এর মধ্যেই সেতু রেডি হয়ে হাজির। আমাকে এসে বলল চলো।
আর তোমার পিচ্চি বোন কই গেলো।ওকেউ নিয়ে যাই।
ছিনহা কে খুজে বের করে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে চলল।
চারজন গেলাম নদী দেখতে। নদীর ওইখানে কার দৃশ্য টা অনেক সুন্দর।
বিকেল বেলা তো আরো সুন্দর দেখা যায়।
পরিবেশ টা অনেক সুন্দর তাই যে কেউ চাবে একটা ফটো তুলতে।
সেই ক্ষেতে সেতু ওহ ফাহমিদা দুজনেই ফটো তুলবে।
ফাহমিদা আমার কাছে চলে এসে শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে যেই
পিকচার তুলতে যাবে তখনি সেতু এসে ফাহমিদা কে বলতে লাগল।
এই মেয়ে তোমার সরম লজ্জা করে অন্য একটা ছেলের সাথে এরকম
গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ফটো তুলতে।
ফাহমিদা :না করে নাহ। তুমি ওর বন্ধু। বন্ধূর মতো থাকো।
আমাদের মাঝে খানে নাগ গলাতে এসো না
সেতু : আমি শুভ এর হবু বউ। আর তুমি কাজিন কাজিন এর মতো থাকবা
ওদের ঝগরা শুনে আমি আস্তে করে সরে যাই।
সরে গিয়ে আমি আমার কিউট বোন ফটো তুলতে থাকি।
ফাহমিদা :হবু বউ। বউ তো আর এখনও হয় নাই ।
আর ফুফু ঐবং জামাই ওহ জানে না। যে তোমরা প্রেম কর।
তোমার আগেই আমি শুভকে বিয়ে করে ফেলব।
সেতু : সেটা তুমি স্বপ্নেই ভাবতে থাকো এটা বাস্তবে সম্ভব না।
কারন শুভ আমাকে ভালোবাসে তোমাকে না
ফাহমিদা : সেটা দেখা যাবে পরে।
সেতু : হুম
আমি : তোমাদের ঝগড়া শেষ হলে চলো বাড়ির দিকে যাব।
তারাতারি যেতে হবে তা না হলে রাত হয়ে যাবে আবার।
দুজন রাগি মুড নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিল। বাড়িতে আসার পর সেতু আব্বু আম্মুর চলে গেল।
আর আমি একটু দোকান পারে গেলাম।
সেতু আব্বু আম্মুর সাথে গল্প করে সময় কাটাইতাছে।
সেতু চাইলেই পারত ঘরে গিয়ে শুয়ে থেকে ফোন চাপতে কিন্তু তা করল না
কারন তাকে যেন আমার আব্বু আম্মু পছন্দ করে।
খাওয়ার সময় টেবিলে বসে আছি।
আম্মু খাবার বেরে দিবে তখনি সেতু বলতে লাগল আনটি আমি সবাইকে বেরে দেই।
আর আপনি বসুন আপনাকেউ বেরে দেই। আপনি খান আমি পরে খেয়ে নিব।
আম্মু প্রথমে না করলেও সেতুর জোরাজোরি কারনে খাইতে বসল।
আর সেতু ফাহমিদা দিকে সয়তানি একটা হাসী দিল।
আম্মু আমার পাশে বসেছে। সবাইকে দিয়ে রান্না ঘরে গেছে। তখন আম্মু ঔ মেয়েটা কত সুন্দর তাই নাহ।
আমি : হুম সুন্দরী তো
আম্মু : এরকম একটা বউ পেলে ভালোই হতো
আমি :কী বল এসব
এর মধ্যেই সেতু চলে আসল আর জিগ্যেস করল কী গল্প করেন আপনারা মা ছেলে
আম্মু :তেমন কিছুই নাহ মা...
.
চলবে...
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url