Breaking News

গল্প: ত্যাগ । পর্ব- ১১

উনি আমাকে কখনো ভালোবাসেননি মা নিজে'র সন্তানের মা হিসবেও প্রাপ্য সম্মান টুকু দেননি আমাকে।

আর আমি না কি মহীয়সী নারী হিসেবে আর ও এক টি বার নিজেকে অসম্মান করা'র সুযোগ দেবো ওনাকে? শুনুন মা, উনি শুধু আমাকে নিজের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করেছে ওনার প্রয়োজন ছিলো বংশধরের সেটা উনি পেয়ে গেছে আর রইলো দু'ই মায়ের ভালোবাসায় আমার সন্তানদের বেড়ে ওঠার কথা।
আমি একাই যথেষ্ট ছিলাম, নিজের মতো মানুষ ও করতে পারতাম তাদেরকে। বড় আপার রাফসাম ছিল। সে একাই পারতো তার বন্ধ্যত্ব ঘোচাতে তার জন্য আমার সন্তানদের কেড়ে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

কিন্তু, উনি শুধু এক বউয়ের সুখের কথা ভাবতে গিয়ে সারাজীবন আমার সাথে অন্যায় করে গেছে আর আপনি তাকে সাপোর্ট করেছেন আপনার স্বামী ও সাপোর্ট গেছে তাকে তার অন্যায় কাজ গুলোকে। আমি সারা জীবন শুধু সহ্য করে গেছি, আর আপনাদের বড় বউ শুধু হুকুম করে গেছে আমাকে। আপনার কি মনে হয়? জ্ঞানত, আমি কখনো এমন একটা লোককে বিয়ে করতাম? যে কি না আমার বয়সের দ্বিগুণ, আবার তার একটা বন্ধ্য বউও আছে বাড়িতে। আমার মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে? না কি আমি পাগল? যে আপনার ছেলে'র ওই চেহারা সুরত দেখে আমি ভালোবেসে ফেলবো তাকে?
শুনুন মা, আপনার এই সব নীতিবাক্য রাখুন৷ অনেক হয়েছে আর দয়া করে আমাকে পঁচিশ বছরের এই সংসারের দোহাই দিতে আসবেন না। কারণ, এই ঘর সংসারের ওপর থেকে আমার অনেক আগে থেকে'ই দয়ামায়া উঠে গেছে।" মিমের কথা শুনে চোখে জল চলে এলো রাবেয়ার।
অজানা এক ভয় তার মন টা কে প্রচণ্ড অশান্ত করে তুলছে। তিনি এলো মেলো পা ফেলে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। বুঝতে পারেননি, তার কোনো এক পরমাত্মীয় তাদের বউ শাশুড়ী দু'জনের কথাই শুনে ফেলেছে।" ইমান ছাঁদে বসে আমানের সাথে ড্রিংকস করছিলো, সে ঢুলতে ঢুলতে তাকে জিজ্ঞেস করলো,
- "আ আ আমান তো তো তোমার খোঁজে কোনো
টাইম মেশিন আছে?" সে হাসতে হাসতে তার গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
- "টা টা টাইম আ আ আমি কোথায় পাবো ভা ভা ভাইয়া?"
- "জানো? এই তুমি কি জানো? আমার সং সং সং সং.....!"
- "কি সং সং সং সং...!

- " আমার সংসার টা ভাঙতে চলেছে? ছো ছোটো বউ টা ভালোবাসে না আমায়।"
- "কে ভালোবাসেনা? আপা? ও সারা জীবন হি হি হিংসে করে গেছে ছোটো ভাবিকে।
ছোটো ভাবি অনেক সুন্দর, অনেক সুন্দর, অনেক ভালো লাগে আমার ও ওনাকে। আপ আপ আপনি
ভাগ্যবান।" মিম ঘরে বসে টম এন্ড জেরি দেখ ছিলো মায়ানের সাথে। তবে মায়ান থেকে বারবার মায়ের হাতের পুড়ে যাওয়া অংশে ফু দিয়ে দিচ্ছিলো হয়তো
সে ভাবছে মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে। মিম তার হাল চাল দেখে, তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- "আমি একদম, ঠিক আছি বাবা। আমার হাতের ব্যাথাও কমে গেছে।" হঠাৎ ইমান মদের বোতল হাতে ঢুলতে ঢুলতে এসে বিছানায় শুয়ে পরলো৷ মিম সঙ্গে সঙ্গে বিছানা ছেড়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো,

- "আপনার সাহস তো কম না? আপনি মদ খেয়ে, মদের বোতল কোন সাহসে এসেছেন আমার কাছে? আমার ছেলের কাছে?" ইমান হঠাৎ শুক্ত করে মিম এর মুখ টা চেপে ধরে বললো,
- "সারাদিন শুধু বকবক। ওই, ওই আমি কি রেডিও শোনার জন্য বিয়ে টা করেছিলাম তোকে? হুমম?তোর কাজ সারাদিন খালি খাবি আর আমার সাথে ঘুমাবি, বছর বছর বাচ্চা দিবি আমাকে ব্যাস এত টুকুই তা না সারাদিন শুধু ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকিস আমার কানের কাছে। আমি কিসের অভাব রেখেছি তোর? বল?
তোর শাড়ি গহনাগাঁটির কোনো অভাব আছে? রোজ যে শাড়ি পরিস তার দাম পাঁচ হাজার টাকার ওপরে। হ্যাঁ রে, তোর কিসের অভাব আছে? আমি কিসের অভাব রেখেছি তোর? বল? রানী আমার রাজরানী করে রেখেছি আমি তোকে।

তোকে আমি কত টাই না ভালোবাসি আর তুই কিনা তালাক চাস, এই তুই থাকতে চাস না আমার সাথে? আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে, জানে মে'রে দিবো একদম, মে'রেই ফেলবো আমি তোকে।"
ইমানের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে উপরে ছুটে এলো ছেলরা। তারা'ই বাবা কে দূরে সরিয়ে নিলো মায়ের কাছ থেকে। মিম তাদের মুখের ওপরে দরজা দিয়ে রাখলো, ছেলেরা বাবাকে নিয়ে শুইয়ে দিলো গেস্ট রুমের পাশের ঘরটা তে। মিম ইমানের বলা সেব কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললো,
সে মায়ান কে ঘুম পারিয়ে নিজে ও ঘুমিয়ে গেলো ছেলের পাশে। বেলা দশটায়, ইমানের ঘুম ভেঙে গেল
সে বিছানা ছেড়ে উঠে দেখলো আয়েশা বা মিম কেউ নেই তার সাথে।

সে রাতে ঘটনা মনে করার চেষ্টা করতে লাগলো, সে ভাবে তার কিছু মনে না পরলে ও অস্পষ্ট কিছু কথা
তার কানে বেজে উঠছে। সে সব গ্রাহ্য না করে ফ্রেশ হতে আয়েশার ঘরে চলে এলো। আয়েশা তাকে দেখে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো,
- "তা জনাব, আপনার নেশার ঘোর কেটে গেছে?"
ইমান তার প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেলো, ফ্রেশ হয়ে জামাকাপড় ছেড়ে নিচে এসে দেখলো মিম মায়ান কে দুধের ফিরনি খাওয়াচ্ছে। সে এসে চুপটি করে তার পাশে বসলো, বললো,
- "রাতে যদি! আমি বেফাঁস কোনো কথা বলে থাকি, তবে পারলে তার জন্য ক্ষমা করে দিয়ো আমাকে।"
- "এই আপনি ক্ষমা চাইতে চাইতে কি বিরক্ত হননা?
একটা মানুষ এতো ড্রামা করে কিভাবে?" সে মাথা নিচু করে বসে রইলো, বললো,
- "এর জন্যে বুঝি রাতে আমার কোনো জায়গা হয়নি তোমার শয়ন কক্ষে?"
- "বরাবরই,

ড্রিংক করা অপছন্দ আমার আর আপনি কি করে ভাবলেন সে সব গিলে এলে আপনার জায়গা হবে আমার কাছে?"
ইমান চুপ করে রইলো, মিম কড়া গলায় তাকে বলল,
- "নিজের অপবিত্র শরীর নিয়ে আর কখনো আমার ঘরে প্রবেশ করবেন না। আমাকে ছোঁয়ার ও চেষ্টা করবেননা আমার খুব ঘেন্না লাগে।"
- "আমাকে বোঝার চেষ্টা করো একটু?"
- "আপনাকে বোঝার ইচ্ছে বা সাধ দু'টোই অনেক আগে মিটে গেছে। এই বুড়ো বয়সে এসে নতুন করে কোনো কিছু বোঝার ইচ্ছে নেই আমার। এই জীবন থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়া হ'য়ে গেছে।"
কথা গুলো বলে মিম ছেলেকে নিয়ে রান্না ঘরে চলে এলো, ইমান মণিকে ডেকে বললো,
- "জানো তোমার ছোটো ভাবির শরীর ভালো নেই। তাও সে এখন রান্নাঘরে কি করছে? তোমরা এ বাড়ি তে কি করতে আছো?

আমি কি এখন জনে জনে ডেকে তাদের কাজ মনে করিয়ে দেবো নতুন করে আবারও শিখিয়ে পরিয়ে নেবো সবাই কে?" মিম ছেলেকে নিয়ে ঘরে যেতে যেতে বলে উঠলো,
- "শোনো মণি এখানে নতুন করে আমার দরদ ধরতে হবে না কাওকে। আমি কাওকে নিয়ে ভাবছি না, তাই এতো সব করে কোনো লাভ নেই, ইট'স ওকে। আই ডোন্ট কেয়ার এন্ড আই রেয়ালি মিন ইট ওকে?" ওর কথা শুনে রেগে গেলো ইমান সে আবিনকে দেখে বললো,
- "তোমার মা কে বলে দাও, সে যেন দু'চারটে ইংলিশ বলে নিজেকে চরম স্মার্ট না ভাবে।"
- "আমরা বলছিলাম,
যে বাবা তুমি একটু মা কে বুঝিয়ে বলো এতোদিন ধরে মণির রান্না, ফুলির রান্না খেতে খেতে মুখের স্বাদ নষ্ট হ'য়ে গেছে।"

- "তাহলে তোমরা গিয়ে বোঝাও বোঝানোর চেষ্টা করো।
কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করছ? তাও আমার কাঁধে চেপে বসে?
আমি জানি না, কি করে সব টা আগের মতোন হবে? কি করে হবে?
আমি আমার মতো করে চেষ্টা করছি কিন্তু পেরে উঠছি না তোমাদের মায়ের সাথে। আর তোমার কি করছ?
তাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিচ্ছ, কথা শোনাচ্ছ আবার তার হাতের রান্নাও তোমাদের খেতে ইচ্ছে করছে?
আমি না হয় সারা জীবন ভুল করে এসেছি, তোমরা কেন জেনে-বুঝে এমন ভুল করবে?" বাবার কাছে বকুনি খেয়ে চুপ করে গেলো সকলে। আয়েশ এসে ইমান কে বললো,
- "তুমি কেন অহেতুক বকাবকি করছ আমার বাচ্চা গুলো কে?"
- "বাচ্চা বাচ্চা করে সারা জীবন, তুমি ওদের ভুল গুলোকে এড়িয়ে গেলে যার ফলে ওরা এমন অমানুষ তৈরি হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে,
বাবার কথা মেনে নিলেই ভালো হতো। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাথায় তোলা উচিত না কাওকে আমার সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষিত, এটা ঠিক। তবে তারা সঠিক শিক্ষা এবং অনুশাসনের অভাবে এক একটা বেয়াদব তৈরি হয়েছে।"
- "তুমি কি তার জন্য আমাকে দায়ী করছ?" ইমান মেকি হেসে বললো,
- "নাহ..! একদম না, এখানে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার রয়েছে।"অতঃপর,সে মিমের ঘরে চলে এলো
মিম মায়ানের ধুলাময় জামাটা খুলে দিচ্ছে। হঠাৎ সে মিমের হাত চেপে ধরলো। মিম টেবিলের ওপর থেকে ইমানের ফোন টা তুলে তার গায়ে ছুড়ে মে'রে রাগী গলায় বলে উঠলো,
- "আমার আউট-গোয়িং এবং ইনকামিং ফোন কল 'স গুলোর ওপরে নজর রাখা হচ্ছে?"
- "আমি আসলে.........!"
- "কি বলুন? ভেবেছিলেন আপনার অগোচরে প্রেম করছি কারো সাথে? প্রেম নামক বস্তুত বলতে আদৌ ও কিছু আমার জীবনে আছে?
সেসব কিছু বোঝার আগেই বয়সের দ্বিগুণ একটা লোকের সাথে বিয়ে হ'য়ে গেলো। যাগগে, এখন আফ -সোস করেই বা কি হবে? আপনার জ্ঞতার্থে জানিয়ে রাখি, আমি মুগ্ধোর সাথে কথা বলছিলাম। ওকে আজ বউ এবং বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে আসতে বলেছি আমাদের বাড়িতে।"
- "আমাকে ভুল বুঝো না প্লিজ।"
- "একটু বলবেন, আপনাকে ভুল বোঝার মতো আর কি বাকি আছে?"
সে মাথা নিচু করে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো, মণি কে বললো,
- "বিকেলে ভালো-মন্দ কিছু রান্না করো, আজ বোধ হয় তোমার ছোটো ভাবির নিমন্ত্রিত কোনো অতিথি আসবে?"

- "হ্যাঁ, ভাবি কাদের ভাইকে আজ বাজারে পাঠিয়ে ছিল৷ ভাবি বলেছে আজ নিজের হাতে রান্না করবে।"
ইমান এর তীব্র বিরোধিতা করলো,তবে সে পরক্ষণেই বুঝে গেলো বিশেষ কোনো লাভ হবে না তাতে।
কিছুক্ষণ পর,
মিম নিচে চলে এলো সে মণিকে উদ্দেশ্য করে বলল, - "সব রেডি করে রাখো, আমি মায়ান কে খাইয়ে ঘুম পারিয়ে আসছি। আমি আজ রান্না করবো নিজের হাতে।"
- "তবে সেদিন, কেন আমায় কথা শোনালি ছোটো?"
- "আমি কি কোনো কাজ করতে বলেছি আপনাকে? অযথা নিজেকে ওয়ার্থলেস প্রমাণ করবেন না আপা।
আপনাদের আচার-ব্যবহারের জন্য'ই আপনারা বার বার অপমানিত হন আমার কাছে।" মিমের এক কথা
-য় সকলে ঠাণ্ডা, ও ঘরে ফিরে এলো ছেলের কাছে।
ছেলেকে খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো। মুগ্ধ, এনা এবং বাচ্চাদের প্রিয় সকল খাবার সে রান্না করলো নিজের হাতে।

সন্ধ্যায় তারা সকলে এসে গেলো, ময়ূখ আর মাহিন খুব খুশি হয়েছে, এতো দিন পরে তাদের মিষ্টি মা (মিম) কে দেখে মিম ওদের দু'জন কে সকলের সাথে
পরিচয় করিয়ে দিলো। আয়েশা ইমান কে বললো,
- "আমাদের বড় আপার মেয়ে,
অবন্তী কে খুব মানাবে ময়ূখের সাথে। আর তাছাড়া আমরা অবন্তীর জন্য এমন ছেলেই খুঁজছি। কি বল?
একবার কথাটা বলেই দেখি হাঁটের মাঝে?" ইমান মুচকি হেসে বললো,
- "বলতে পারো, অবশ্য আমারও দু'জন কে খুব ভালো লেগেছে।" তখন অবন্তী নিজের পরিচয় দিলো
কথায় কথায় সে মুগ্ধ এবং এনা কে বললো,
- "জানেন? আমার ছেলেরা কখনো চায়নি আমার পছন্দ ছাড়া বিয়ে করতে, মেয়ে টাও ঠিক তাই। বোন কোথা থেকে একটা হাবাগোবা ছেলে ধরে এনেছিলো মেয়ে তারপর আমাকে বললো তাকে আমার পছন্দ মতোন একটা ছেলের সাথে গোপনে বিয়ে দিয়ে দিতে
আমরা ও তাই করলাম,এই যে অনিক আমাদের এক মাএ মেয়ের জামাই আর ওর বাবার কোটি কোটি টাকা আছে।" মুগ্ধ হাসতে হাসতে বললো,
- "ব্যাস,

এত টুকুই আপনার এক মাত্র মেয়ের জামাইয়ে'র যোগ্যতা?"ওকে উপহাস করতে দেখে আয়েশা বলল,
- "বাদ দিন না, আমাদের বড় ছেলে রাফসাম এবং নাহিয়ান দু'জনেই আমার পছন্দে বিয়ে করেছে আর এই যে সুহানি আবিনের বউ। আসলে ওদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো একে অপরের সাথে।
- তার ওপর সুহানি হলো আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডর মেয়ে, আমি আর না করিনি ওদের বিয়েতে। তবে এখানে বাঁধ সাধলো ছোটো তেজ দেখিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল থাকেনি সে তার কোনো ছেলেমেয়ের বিয়ে তে। আকাশের বিয়েতেও সে একই ঘটনা ঘটালো আসলে বুদ্ধিকম, কি করে বোঝাই আপনাকে? বলছিলাম, যে আমার ননদের মেয়ে আছে অবন্তী। আপনাদের ময়ূখ কে খুব মানাবে আমাদের অবন্তীর পাশে,
মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত আর অনেক সুন্দরী আপনারা চাইলে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এই সম্পর্ক টা কে।" এনা হাসতে হাসতে বললো,

- "তাই? কিন্তু, আমি একদম রাজি নই আপা। কিছু মনে করবেননা, ঠিক আছে?
আমার মনে হয় আমার স্বামীর সেই একই কথা কি গো? আমার কথায় কোনো ভুল আছে?"
- "নাহ! তোমার ভুল হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
তবে আমি খোঁজ-খবর না নিয়ে কখনোই যাকে তাকে আমার ছেলের বউ করতে চাই না।
আশাকরি বোঝাতে পেরেছি আপনাদের সবাই কে। আর তা-ছাড়া এখানে আমার 'প্রিয় বান্ধবী' এখনো কোনেো মতামত দেয়নি, সে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি
ইম্পরট্যান্ট আমার কাছে।"

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com