দেওয়ালের ওপারে তুমি আমি। পর্ব - ০৩



আমিঃপ্রেম করবি আমার সাথে'একশো টাকা দিমু?

নুপুরঃআমার ঠেকা পড়ছে তোর সাথে প্রেম করার।
আমিঃএকশো টাকা দিবু বললাম না?
নুপুরঃলাগবে না।মামার বাড়িতে এসেছিস ভালো
মন্দ কিছু বলবি তাই না'আসছিস প্রেম করতে।
আমিঃমামী কথায়?
নুপুরঃআছে ভিতরে'যা ভিতরে গিয়ে দেখ।
আমিঃতোদের বাড়িতে আসলাম একটু আপ্যায়ন
করবি'সেটা না করে তুই আমাকে ভিতরে যেতে বলছিস'মনে হচ্ছে আমি অপরিচিত কেউ?
নুপুরঃআহারে ফুফাতো ভাই আমার তোকে আপ্যায়ন করতে হবে বুঝি।
আমিঃঅবশ্যই করবি'তোদের বাড়িতে সেই কবে যে আসলাম'আর আজ আসলাম?
নুপুরঃএত ঢং করিস নাতো’যা ভিতরে।
আমিঃআপ্যায়ন হিসেবে একটা কিস করতে পারিস আমায়?
নুপুরঃসুমিন্না তুই কিন্তু।
আমিঃকিন্তু কি?

নুপুরঃভালো হতে টাকা লাগে না'সময় থাকতে ভালো হয়ে যা'নাহলে ভাবির হাতে কিল ঘুষি খাবি।
আমিঃআমার বউ তুই হবি'তাহলে তুই বুঝি আমাকে বিয়ের পর কিল ঘুষি দিবি ' হিহিহি?
নুপুরঃহাসে কেমনে ৩২ টা দাঁত দেখিয়ে।
আমিঃতোর সমস্যা'কুত্তী দিমু একটা?
মামাঃসুমন কখন এসেছ?
হটাৎ করেই মামার গলার কন্ঠ শুনে চমকে উঠলাম'নিজেকে আগের মত ঠিকঠাক করে নিলাম।
আমি বললাম..
আমিঃএইতো মামা কিছুক্ষণ আগে।
মামাঃদাঁড়িয়ে আছো কেন'সোফায় বস?
আমিঃহুম'
মামাঃনুপুর যা তোর ভাইয়ের জন্য কিছু নিয়ে আয়?
নুপুর'ওকে আব্বু'কু্ত্তা তুই এসেছিস আমাকে জ্বালাইতে'তোর আজ খবর করে ছাড়বো'মনে মনে বলল নুপুর।
আমিঃযাও যাও মামাতো বোন কিছু নিয়ে আসো'আমি বললতে তো যাইতি না'এখন মামায় পার্মিশন দিছে যাও'মনে মনে বললাম?

নুপুর রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে গাল মোচড়ে চলে গেলো' কিছুক্ষণ পর নুপুর আসলো'তার সাথে মামীও মামী বলল..
মামীঃকখন আসলে বাবা?
আমিঃএকটু আগেই।
মামীঃতোমার আব্বু আম্মু কেমন আছে?
আমিঃআলহামদুলিল্লাহ ভালো'আছে।
মামীঃআামাদের বাড়িতে আসতে বলবা?
আমিঃহুম'বলবো।
নুপুর নাস্তার প্লেট আমার সামনে টেবিলের উপর রেখে চলে যেতে লাগলো'
আমিঃমুটকি শোন?
নুপুরঃতুই মুটকি কারে কইছিস।
আমি:কেন তোরে কইছি?
নুপুরঃআম্মু দেখছ সুমিন্না আমারে মুটকি বলছে?
মামীঃতোর সাথে দুষ্টামি করতেছে'এরকম চেঁচাচ্ছিস কেন?
নুপুরঃনাস্তা খা তাড়াতাড়ি'এরকম ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছিস কেন?
আমিঃতোকে দেখছি'তোর রুপ বেয়ে পড়ছে তাই?
নুপুরঃতুই সব সময় আমার সাথে এরকম করস কেন'এখন কিন্তু আমি কেঁদে দিব।
আমিঃআচ্ছা' মজা করবো ওকে?
নুপুরঃওকে'

আমিঃতোর পড়া লেখার কি খবর কেমন চলছে?
নুপুরঃআর বলিস না' ভাঙা সিএনজির মত চলছে।
আমিঃভাঙা সিএনজির মত মানে?
নুপুরঃনা'মানে পড়া লেখা করতে আর ভাল্লাগে নারে।
নুপুর সাথে এভাবেই খানিকটা দুষ্ট মিষ্টি কথা বললাম'আর এইদিকে দুপুর হয়ে গেলো'মামা মামী
দুপুরের খাবার না খাওয়া পর্যন্ত আমাকে ছাড়বে না'দুপুরের খাবার শেষ করে'বিকেল হতেই বাসায় যাবো ভাবছি'মামীর কাছে গোলাম।আমি বললাম..
আমিঃমামী বাসায় যাবো?
মামীঃআজ থেকে যা'কাল যাইস।
আমিঃনা'মামী কাল আমার স্কুল আছে'স্কলে
যেতে হবে?
মামীঃওহ'
আমিঃহুম'আম্মু পাঁচ হাজার টাকা দিছিলো'আপনার হাতে দিতে বলছে?
মামীঃআরো কিছু দিন পড়ে দিতে পাড়তো।
তারপর মামী হাতে টাকা টা দিয়ে বিদায় নিলাম'বাসা থেকে বের হতেই নুপুর আমার সামনে পড়লো'আমি বললাম'
আমিঃমুকটি যাচ্ছিরে ভাইয়ের জন্য দো'আ করিস ভাই যেন একটা ভালো বউ পায়?
নুপুরঃতোর কপালে ঝগড়াটে মেয়ে পড়বে দেখিস।
আমিঃআমিই তোকেই বিয়ে করবে দেখিস'মুটকি?

বলেই বাইক স্টার্ট করে নিজের বাসার দিকে রওনা দিলাম'বাসায় আসতে রাত হয়ে গেলো'বাসার ভিতরে আর ঢুকলাম না'বাইক ঘুরিয়ে রাকিব আর আবিরের কাছে গেলাম'
বাইক পার্ক করে'ওদের কাছে গিয়ে বসলাম'
আমি কিছু বলতে যাবে'তার আগেই রাকিব বলল..
রাকিবঃকিরে হারামি ফোন ধরিস না কেন?
আমঃকার ফোন।
রাকিবঃজান্নাতের ফোন?
আমিঃসে আবার কখন কল দিলো আমায়।
রাকিবঃদেখ অন্য একটা নাম্বারে থেকে কল দিছে?
আমিঃধুর বাদ দে তো'টাইম নাই এখন।
আবিরঃবাইক নিয়ে কই গেছিলি বন্ধু?
আমিঃমামার বাসায় গেছিলাম।
আবিরঃওহ'
আমিঃআজ কে কি খাওয়াবি বল?
রাকিব আর আবির একসাথে বলে উঠলো.
"আমাদের কাছে টাকা নেই'
আমিঃতোরা কখনো বলছিস আমার কাছে টাকা আছে?
আবিরঃসত্যি বন্ধু টাকা নাই।
রাকিবঃসত্যিরে বন্ধু টাকা নাই।
আমিঃএইনে টাকা তিনটা স্পিড নিয়ে আসবি আর তিন টা নেভি সিগারেট নিয়ে আসবি'সাথে একটা ম্যাচ নিয়ে আসিস?

পকেট থেকে টাকা বের করে'আবির কে বললাম'আবির বাইক নিয়ে দোকালে গেলো'প্রায় কিছুটা পার হয়ে গেলো'আবির'এদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম'পরে আমি বাসায় আসলাম'বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরের দিন'সকালে স্কুলে গেলাম'আমাদের গ্রুপে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম'এমন সময় পিছনে থেকে কেউ আমার নাম ধরে ডাক দিতে লাগলো'
কন্ঠ কেমন জানি জান্নাতের মতন।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি জান্নাত'আমি বোবার
মত দাঁড়িয়ে রইলো'লাম'জান্নাত খানিকটা সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো'যেন এই প্রথম কেউ
আমাকে নয়ন ভরে দেখছে'কেমন জানি দেখার
একটা অনুভূতির ফিলিংস'হচ্ছে'হটাৎ কারো
ডাকে জান্নাতের ঘোর কাটে'
রকিঃজান্নাজ আপু ঐ জান্নাত আপু?
জান্নাতঃহ্যাঁ বলো।
রকিঃসুমিন্না আমাকে মারবে নাতো।ও আমার দিকে চোখ লাল করে তাকাই থাকে কেন?
জান্নাতঃকিচ্ছু করবে না'তুই এখন এখান থেকে
যা সুমনের সাথে আমার জরুরি কথা আছে।
রকি চলে গেলো'জান্নাতের জরুরি কথা শুনে আমি ঘাবড়ে গেলাম।জান্নাত কি এমন জরুরি কথা বলতে যাবে আমার'হুট করেই জান্নাত বললো...
জান্নাতঃআড়ালে আয়?
আমিঃআড়ালে কেন।
জান্নাতঃকথা বলতে?
আমিঃএখানে বল'আড়ালে যাবো না।
জান্নাতঃতোরে যেতে বলছি?
আমিঃনা আমি যাবো'তুই আমাকে আবার থাপ্পড়
দিবি।
জান্নাতঃআচ্ছা দিব না'এখন আয়
.
চলবে...
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url