Breaking News

কুফু মিলিয়ে বিবাহ করুন



কুফু(كُفُو) বিয়ের ক্ষেত্রে “কুফু” একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«قال رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ»

“তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম নারী গ্রহণ করো এবং 'কুফু' বিবেচনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও 'কুফুর' প্রতি লক্ষ্য রাখো।” [১]

এখন 'কুফু'-র অর্থ কি?

“কুফু”(كُفُو) একটি আরবী শব্দ; যার অর্থ সমান,সমতুল্য,সমতা,সমকক্ষ[২]ইসলামী পরিভাষায় বর-কনের দ্বীন-দুনিয়ার যাবতীয় কিছুতে সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে “কুফু” বলে।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবেচনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।

(সহি সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৬৮)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং সমতা (কুফূ) বিবেচনায় বিবাহ কর’ (ইবনু মাজাহ হা/১৯৬৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৬৭; ইবনু ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/১৪৫)।

প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের কি কি গুণাবলী থাকা আবশ্যক?

উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ধার্মিকতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। 
আল্লাহ বলেন, তোমরা মুশরিক মেয়েদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। 
নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার মেয়ে মুশরিক মেয়ের চেয়ে উত্তম। 
যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে। 
তোমরা মুশরিক পুরুষদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। 
নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার পুরুষ মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম। 
তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করে। 
আর আল্লাহ জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন...(বাক্বারাহ ২২১)। 
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, সাধারণতঃ মেয়েদের চারটি গুণ দেখে বিবাহ করা হয়- 
তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং ধর্ম। তোমরা ধার্মিক মেয়েকে অগ্রাধিকার দাও। 

অন্যথায় তোমাদের উভয় হস্ত অবশ্যই ধূলায় ধূসরিত হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮২, ৩০৯০, ‘বিবাহ’ অধ্যায়)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং কুফু বা সমতা দেখে বিবাহ কর (ইবনু মাজাহ হা/১৯৬৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৬৭)। পাত্রের ক্ষেত্রে তার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণের দিকে লক্ষ্য করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ تَرْضَوْنَ دِيْنَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوْهُ ‘যার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে বিবাহ দাও’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)।
বিবাহের জন্য কুফু শর্ত নয় তবে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা মতে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে কুফু বা সমতা বিধান করতে হবে এবং সর্বদা দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নচেত পরবর্তীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও পারিবারিক দন্দ হতে পারে"

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com