শাশুড়ি vs বউ । পর্ব - ০৩



আম্মু শীতের সকালে ফ্রিজের মাছ রান্না করার কি দরকার?(মারিয়া)

-যেটা বলছি সেটা করো(শাশুড়ি)
-মারিয়া তখন কোন কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে মাছ নামিয়ে সকালে রান্না সম্পন্ন করে।
সকালে সবাইকে খাওয়ানোর পরে মারিয়া খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে নেয়।
-মারিয়া(ভাবি)
-দুপুরের খাবারের জন্য তোমার ভাই বাজার করে আনছে,যাও সেগুলো কাটাকাটি করো
-আপনিও আসেন,দুজন গল্প করতে করতে কাজ করলে তারাতারি কাজ শেষ হয়ে যাবে
-তুমি আসার আগে যখন একা ছিলাম তখন কারোর সাথে গল্প করতে হয়নি,এই বাড়ির সবকিছু একা সামলিয়েছি

-ভাবি আমি এত কাজ আগে কখনো করিনি তাই এসব করতে কষ্ট হয়
-দারোয়ানের মেয়ে হয়েও বলো যে কাজ করো নাই আর আমার মতো ব্যবসায়ীর মেয়ে হলে কি করতা?
-মারিয়া তখন চুপ মেরে রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে চলে যায়।
দিনের সব কাজ শেষ করে রাতে ক্লান্ত শরীর নিয়ে শুয়ে আছে এমন সময় শুভ ফোন করে।
-কিরে বাবা কেমন আছিস?(শুভর মা)
-হ্যা মা ভালোই,তোমরা কেমন আছো?
-হ্যা ভালো
-মারিয়া কেমন আছে?
-হ্যা ভালোই আছে
-ওর কাছে ফোনটা একটু দেও
-এই মারিয়া(শাশুড়ি মা)
-হ্যা আম্মু

-ধরো শুভ ফোন করছে
-মারিয়া তখন তড়িঘড়ি করে বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে শাশুড়ির রুমে গিয়ে ফোনটা হাতে নেয়।ফোনটা হাতে নিয়ে আবার নিজের রুমে দৌড়ে আসে।
মারিয়া তখন ফোনটা কানে নিয়ে
-হ্যালো শুভ কেমন আছো?
-হুম ভালোই,তুমি?
-হ্যা ভালো
-কি করো?
-তোমার কথা ভাবতেছিলাম(মারিয়া)
-কি ভাবতেছিলা?
-ভাবতেছি আমার বর টা পাশে থাকলে কত্তো করে কেয়ার করতো আর জড়িয়ে ধরতো
-মা কি কেয়ার করে না?
-হ্যা হ্যা করে তো অনেক করে
-তাহলে?
-গাধা তোমার কেয়ার কি আর কারোর সাথে মিলবে নাকি?
-আচ্ছা খাবার খাইছো?
-হ্যা তুমি?

-নাহ দেরি হবে
-কেন?
-আসতে লেইট হয়ছে তাই
-কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে দেরি হয়েছে নাকি?
-কুত্তি মাইর দিবো কিন্তু
-হিহিহি
-অফিসের কাজ বেশি ছিলো
-হুমম ভালোবাসি
-আমিও ভালোবাসি আমার পরীটা কে
-হুমম আমার খেলার সাথি চাই
-বুঝলাম না
-আমার একটা পুতুল লাগবে
-এই বয়সে পুতুল?
-ইসস ধূর কুত্তা বুঝেও না বুঝার ভান করে
-বুঝিয়ে বললেই তো হয়

-বলবো?
-হ্যা
-আমার একটা পুতুল চাই যেই পুতুল টা আমাকে মা আর আপনাকে বাবা বলে ডাকবে
-ওমাহহ এই পিচ্ছিটা এখন মা ও হতে চায়?
-এই আমি পিচ্ছি না আমি এখন বড় হয়ে গেছি
-হুমম তাহলে তো আমার ও বাবা হওয়া লাগবে
-কবে আসবা? তোমার বুক ছাড়া আমার চোখে ঘুম আসে না
-আসবো আর কয়েকদিন পরে
-হুমম
-মারিয়া
-হ্যা বলো
-এখন ফোন রাখি কেমন
-আচ্ছা
-এই শুনো
-কি?

-চোখ বন্ধ করো
-হুম করলাম
-এবার আমাকে ফিল করো
-হুম
-উমমমমম্মাহহহ
-উমমমম্মাহহহ
-ভালোবাসি
-আমিও আমার বরটাকে অনেক অনেক ভালোবাসি
-উম্মাহহহ আল্লাহ হাফেজ
-আল্লাহ হাফেজ
ফোন কেটে দেওয়ার পরে মারিয়া মোবাইলটা নিয়ে শাশুড়ি মায়ের হাতে দেওয়ার পরে
-ফোন এত কথা বলা লাগে?
আমরা ও তো জামাইর ঘর করছি,এতকথা তো কখনো বলিনি
-মারিয়া তখন নিজের রুমে চলে আসে।
মারিয়ার এখন আর এসব শোনার সময় নাই।
মারিয়া বিছানায় শুয়ে উপড়ে কম্বল দিয়ে কোলবালিশ টা কাছে নিয়ে শুভকে ভেবে...

চলবে...
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url