Breaking News

ঘামের দূর্গন্ধ থেকে বাঁচতে হলে এই খাবারগুলো কম খেতে হবে



ঘামের দুর্গন্ধ এমন এক প্রকার দুর্গন্ধ যা মানব বৃষ্ঠার চেয়েও বেশি। রোদ থাকুক আর বৃুষ্টি ঘামের হাত থেকে নিস্তার নেই। এই ঘাম থেকে মানব শরীরে তৈরি হয় বিকট দুর্গন্ধ, যা কাছের মানুষগুলো বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এমনকি ছেলে মেয়েরাও বলে বাবা গোসল করে আস তোমার শরীর দিয়ে গন্ধ বের হচ্ছে। আর এই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো অপ্রিয় অবস্থা তৈরির পেছনে হাত থাকতে পারে কিছু খাবারের।

বাংলাদেশের অবহাওয়ায় ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসে গরমের মাত্রা বেশি থাকায় ঘাম হবেই। কিন্তু এই ঘাম থেকে সুষ্টি দূর্গন্ধের জন্য অনেককে্ে িসবার মধ্যে হতে হয় বিব্রত। শরীর ও কাপর-চোপর পরিস্কার থাকলেও কিছু কছিু খাবার গ্রহনের  কারনে এই দুর্গন্ধের মাত্রা বাড়ে বলে বিভিন্ন গনবেষনায় জানা যায়। আসলে কিছু কিছু খাবারের  উপাদান পরিপাকের সময় এমন বিয়োজিত হয় যে তা শরীরে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। এবার এগুলো দেখে নিয়ে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিলে ঘামের দুর্গন্ধ কমিয়ে আনা সম্ভব। 

নিচে সেসব খাবারের তালিকা প্রদান করা  হলোঃ
কপি জাতীয় সবজিঃ
পেঁয়াজ রসুনঃ
মাছ ও অন্যান্য সি ফুডঃ
মরিচ ও জিরাঃ
লাল মাংসঃ
সবচে বেশি ভালো হবে আপনি কোন ভালো ডাক্টারের পরামর্শ গ্রহণ করলে।

কপি জাতীয় সবজিঃ

ফুলকপি, বাধাকপি এই সবজিগুলোকে ক্রুসিফেরাস সবজি বলা হয়। আজকাল বাজারে এগুলো সারা বছরই মিলছে। এগুলো হজম করতে সালফার-জাতীয় যৌগ তৈরি হয় বলে মানব দেহে দুর্গন্ধে ভুমিকা রাখতে পারে এই সবজিগুলো। তবে এই সবজি গুলো খুবই  উপকারী আর কম ক্যালরি থাকার কারনে মানবদেহের খুবই উপকারে আসে। এই সবজি আগেই বাদ  না দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে তা অতিরিক্ত সমস্যা করছে কি  না।

পেঁয়াজ রসুনঃ

খাবারে অতিরিক্ত  পেয়াজ, রসুন নিশ্বাস আর ঘাম দুটিরই দুর্গন্ধ বাড়ায় অথচ আমাদের নিত্যদিনের খাবার থেকে শুরু করে বিশেষ অনুষ্ঠানেও আমরা পেঁয়াজ রসুন এর ব্যাবহার করে  থাকি। যেমন ভর্তা, ভাজি, সালাদ সহ সকল খাবারে আমারা পেঁয়াজ রসুনের বেশি বেশি ব্যবহার করে থাকি। তবে শরীরে দুর্গন্ধ বেশি হলে খাদ্যতালিকা থেকে কিছু পরিবর্তন এনে পেয়াজ ও রসুনের ব্যবহার কমানো সম্ভব।

মাছ ও অন্যান্য সি ফুডঃ

মাছের আঁশটে গন্ধ ঘামেও সঞ্চরিত হতে পারে। তবে এরা বেশি মাত্রায় হলে তাকে ডাক্টারির ভাষায় ট্রাইমিথাইল্যামিনুরিয়া বলে। এ অবস্থা হলে মাছ ও সি ফুডের উপাদান ট্রাইমিথাইল অ্যামিনকে শরীর ভাঙতে পারে না। সব কিছু বিবেচনা করেই এই জবজবে ঘামের দিনে ডায়েট ঠিক করতে হবে।

মরিচ ও জিরাঃ

এমনিতে মরিচ আর জিরা সুগন্ধি মসলা হলেও এগুলোতে আছে সালফার যৌগ তাই ঘামের দুর্গন্ধ এরা ভুমিকা রাখতে পারে। তবে মরিচ আবার গরমে উপকারি। মানব শরীরের ঘাম কমিয়ে শরীর কে ঠান্ডা করে মরিচ। তাই ঘামের দুর্গন্ধ অতিরিক্ত হলে মরিচ বা জিরা বাদ না দিয়ে কমিয়ে আনাই ভালো।

লাল মাংসঃ

লাল মাংসে থাকে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন। হজমে সময় ও শক্তি বেশি খরচ হয় গরু, খাসির ও মহিসের মাংস বেশি খেলে। এর ফ্যাটি এ্যাসিড ঘামের সঙ্গে বের হয়ে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে তাই লাল মাংস বেশি গরমের সময় খাবারের মেনুতে অল্প পরিমান রাখাই ভালো।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com