শালিকা যখন বউ । পর্ব - ০৮


দেখতে দেখতে আমার আর নিশির বিয়ের তিন মাস পার হয়ে গেছে।
আর এই তিন টা মাসের মধ্যে নিশি একদিনও আমার বুকে মাথা না দিয়ে ঘুমাইনা।
এই তিন মাসে আমার দুজন দুজনকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলি।
সকালে আমি অফিস এর জন্য রেডি হচ্ছিলাম 
তখন নিশি এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আর বলে।
নিশিঃ আজ অফিস থেকে একটু তারাতারি আসবেন কেমন।
আজ আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
আমিঃ কি সারপ্রাইজ গো বউ।
নিশিঃ এখন বলা যাবে না,, আগে অফিস থেকে ফিরুন তারপর বলবো।
আমিঃ ওকে,, এবার আমার কাছে আসো তো তোমায় একটু আদর করে নিই।
নিশিঃ সবসময় দুষ্টুমি তাই না।
আমিঃ না গো বউ তুমি যানো না তোমায় আদর না করে গেলে 
আমার দিন ভালো যাই না। তাই এখন আর কোনো কথা না বলে আমার কাছে আসো।
তারপর নিশি আমার কাছে আসলো আর আমি নিশি ঠোট জোরা আমার দখলে নিয়ে নিলাম।
প্রায় ৫ মিনিট পরে ছারলাম। তারপর আমি নিশি কে বললাম
আমিঃ আমি এখন আসি।

নিশিঃ আপনি খুব সার্থপর।
আমিঃ কেন গো আমি আবার কি করলাম।
নিশিঃ আপনি তো ঠিকি আপনার ভাগের আদর টা নিলেন আর আমার পাওনা টা না দিয়েই চলে যাচ্ছেন ( অভিমানি সুরে)
ও কি বোঝাতে চাইছে সেটা আমি বুঝতে পেরে আমি নিশিকে আমার কাছে ডাকি কিন্তু সে আসবে না মহারানি বলে।
আমিঃ নিশি বাবু আমার কাছে আসো।
নিশিঃ আমি কোনো বাবু নই। আর নিশি রাগ করেছে তাই কারো সাথে কথা বলবে না।
আমিঃ ও তাই, দেখি এবার নিশি কেমন করে রাগ করে থাকে।
এই বলে নিশিকে আমার কাছে নিয়ে এসে ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ এসে দিই আর নিশি আমাকে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
আমিঃ নিশি সোনা এবার ছারো আমার তো অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে।
নিশিঃ উহহ,,,আর একটু থাকি না।
আমিঃ না বাবু আবার পরে থেকো আমি এখন অফিস যাবো যে।
নিশিঃ ওকে,, সাবধানে যাবেন কিন্তু।
আমিঃ যথা আজ্ঞা মহারানি।

নিশিঃ হুম যাও বৎস (বলেই হাসতে শুরু করলো,, উহহ এই হাসি টার জন্য আমি সব করতে পারি)
নিশিঃ এই যে মিস্টার এবার যান।
আমিঃ হুম বাই
তারপর আমি অফিসে চলে আসি। কিন্তু অফিসেও মন বসছে না তাই নিশিকে ফোন দিলাম।
অপর দিকে নিশি ভাবছে।
আজ যখন ও জানতে পারবে যে ও বাবা হতে চলেছে তখন কতই না খুশি হবে।
আমার যে আর অপেক্ষা সহ্য হচ্ছে না। মন চাইছে ওকে এখুনি গিয়ে বলে আসি।
নিশি এগুলো ভাবছিল এমন সময় ওর ফোন বেজে উঠে। 
আর নিশি ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে আমি ফোন দিয়েছি
তাই সে তারাতারি ফোন টা রিসিভ করে আর বলে।
নিশিঃ কি হল বর এতজলদি আমার কথা মনে পরে গেল।
আমিঃ হুম গো বউ তোমার কথা তো সবসময় মনে পরে কিন্তু কি করবো বলো।
নিশিঃ কিছুই করতে হবে না। আপনি শুধু আজ তারাতারি বাসাই আসবেন তাহলেই হবে।
আর এখন কাজ করেন তো
আমিঃ ওকে আমার সুইট বউ। এখন রাখি।
নিশিঃ ওকে মিস্টার বর বাই

নিশির সাথে কথা বলার পর আমি কিছু জরুরী কাজ সেরে ফেলি।
আর দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে যাই তাই আমি বাসাই যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিই।
আর তখুনি অফিসের পিওন এসে আমাকে একটা পার্সেল দিয়ে যাই।
আর ওই পার্সেল টি খোলার পর আমার পায়ের তল থেকে মাটি সরে যাই।
পার্সেল টিতে অনেক গুলো ছবি ছিল আর সব গুলো ছবি নিশি আর একটা ছেলের।
ছবিতে নিশি ছেলেটার সাথে অনেক ঘনিষ্ঠ অবস্থায় আছে।
যা দেখার পরে আমার চোখ দিয়ে অবাধ ধারাই পানি পরছে।
শেষে কি না নিশিও আমায় ধোকা দিলো। আমি আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না।
তখনি নিশি ফোন আসে। আর ও বলে......

চলবে...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url