শালিকা যখন বউ । পর্ব - ১৫
তারপর আমি ১ বছর আগের সকল ঘটনা মীম কে বলি আর ঐ ছবি গুলোও মীম কে দেখাই।
আর মীম এগুলো দেখে আমায় যে কথা বলে সেগুলো শুনে আমার পুরো শরীল টা কপতে থাকে আমি কিভাবে এমন টা করতে পারলাম এগুলো ভেবেই কান্না চলে আসে আমার।
আর মীম আমায় যে কথা গুলি বলে তা হলো।
মীমঃ আপনি.
মীমঃ আপনি কী জানেন ছেলেটা।
আমিঃ হুম ছেলেটার নাম সাজিদ। এবং নিশি আর সাজিদ একে অপর কে ভালোবাসে।
মীমঃ না আপনি যেটা জানেন সেটা সত্যি নয়। সত্যি টা আমি আপনাকে বলছি।
তারপর মীম আমাকে সাজিদ এর ব্যাপারে সব কথা গুলো বলল। যা শোনার পর নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছিল। মীম বলল যে।
মীমঃ আমি আর নিশি একি ভার্সিটি তে পড়তাম আর একি ডিপার্টমেন্ট এ।
যার কারনে আমার আর ওর মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যাই।
আমরা দুজন সবসময় এক সাথে থাকতাম।
একদিন আম আর নিশি ভার্সিটি ক্যাম্পাস এ বসে ছিলাম তখন একটা ছেলে এসে নিশি প্রপোজ করে। কিন্তু নিশি তাকে না বলে দেয়।
আমি এর কারন জানতে চাইলে নিশি জবাবে বলে যে তার ভালোবাসা শুধু তার বরের জন্য।
তাই আমি নিশিকে আর কিছুই আস্ক করি না। ( এটুকু বলে মীম থামল)
আমিঃ তারপর কী হলো??
মীমঃ ওই ছেলেটির নামই ছিল সাজিদ।
কিন্তু নিশির মানা করার পরেও সে নিশির পিছু ছাড়ে নাই।
তাকে প্রতিদন বিরক্ত করতো
কিন্তু নিশি কিছুই বলতো না।
আর একদিন সাজিদ এস্ব হঠাৎ নিশির হাত চেপে ধরে এবং সেদিন নিশি আর সহ্য করতে না পেরে পুরো কলেজ এর সামনে সাজিদ করে মারে।
কিন্তু সাজিদ সেদিন যাওয়ার আগে বলেছিল যে সে নিশিকে সুখে থাকতে দিবে না আর আজ দেখুন তার কথাই সত্যি হলো ( কান্না করতে করতে কথা গুলো বলল মীম)
আমি এখন কী করবো কিছুই বুঝতেছিলাম না।
কারন আমার যে করার মত কিছুই নেই। আমি যে নিশির সাথে বড় অন্যায় করেছি।
মীম কান্না থামিয়ে আমাকে বলল।
মীমঃ আপনি কী জানেন আপনি যখন নিশিকে তাড়িয়ে দেন তখন তার পেটে আপনার সন্তান ছিল।
আমিঃ মানে কি বলছো তুমি ( অনেক অবাক হয়ে)
মীমঃ হ্যা আমি ঠিকই বলছি।
আপনি যখন ওকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন তখন সে আপনার সন্তান এর মা হতে যাচ্ছিল।
আর এটা নিয়ে সে কতটা খুশি ছিল সেটা আপনাকে বলে বোঝান যাবে না।
সে আপনাকে বলার আগে আমায় ফোন দিয়েছিল আর বলেছিল যখন সে আপনাকে এই কথা টি বলবে তখন আপনার রিএকশন কেমন হবে।
এটা ভেবেই সে অনেক খুশি ছিলো।
কিন্তু সে আপনি কি করলেন( মীম আর কিছু বলতে পারল না তার আগেই কান্নাই ভেঙ্গে পড়ল)
আমিঃ মানে নিশির সন্তানের বাবা আমি।
আর আমি তাকে কি না কি ভেবেছিলাম ( আমিও প্রচুর কান্না করছিলাম তখন মীম আমাকে বলল)
মীমঃ এখন কান্না করে কি হবে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে এখন আর এগুলো ভেবে কি করবেন।
আমিঃ না এখনও কিছু হয় নাই ( তারপর আমি মীম কে নিশির কথা বললাম)
মীমঃ সত্যি বলছেন নিশি এখনও এই শহরেই থাকে।
আমিঃ হুম, কিন্তু তোমাকে আমার জন্য একটা কাজ করতে হবে যাতে আমি আবার নিশিকে ফিরে পাই।
মীমঃ কি করতে হবে আমায় বলুন।
তারপর আমি মীম কে আমার প্লান বলি আর সেও রাজি হয়ে যাই।
তাই আমিও নিজের বাসাই চলে আসি।
বাসাই আসার পর আম্মু আমাকে বলে।
আম্মুঃ বাবা মেয়েকে কি তোর পছন্দ হয়েছে।
আমিঃ আম্মু আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না।
আম্মুঃ তুই কিন্তু আমায় কথা দিয়েছিস।
আমিঃ আমি কেমন করে এই বিয়ে করবো বল।
আম্মুঃ কেন করবি না শুনি।
তারপর আমি নিশির কথা আর ওর আর আমার বাচ্চার কথা আম্মুকে বলি।
তখন আম্মুও কান্না শুরু করেদেয় আর বলে।
আম্মুঃ আমার বউমা আর নাতিকে কবে আনবি বাবা।
আমিঃ খুব জলদি আনবো,তার আগে তোমায় একটা কাজ করতে হবে।
তারপর আমি আম্মুকে সব কিছু বুঝিয়ে ওপরে চলে আসি।
আমি রুমে এসে ভাবতে লাগি কীভাবে কি করবো।
নিশি কি আমায় ক্ষমা করবে নাকি করবে না....
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com