রাজশাহীর সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান


পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত অনিন্দ্য সুন্দর জেলা রাজশাহী। রাজশাহীকে বলা হয় পরিচ্ছন্ন শহর, আমের শহর, রেশমের শহর ও শিক্ষার শহর। আলো ঝলমলে এই রাজশাহী শহরে দেখার মতো অনেক স্থান রয়েছে।

আমরা সব সময় পাহাড় অথবা সাগর অঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরি,কিন্তু আজ আমরা আপনাদের রাজশাহী বিভাগের ১৪ টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করবো। এখানে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে যে সব দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে যেগুলো বেশি জনপ্রিয় এমন কিছু স্থান আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।

পদ্মা গার্ডেন

রাজশাহী শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৩-৪ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত পদ্মা গার্ডেন একটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেস্তোরাঁ, মনোরম পরিবেশ এবং পদ্মা নদীর দৃশ্য উপভোগের সুযোগ। রাজশাহীবাসি প্রতিদিন কাজ শেষ একটু শান্তির খোজে বা মানসিক প্রশান্তির আশায় চলে এস এই পদ্মা গার্ডেন এ। জিরো পয়েন্ট এর পাশ থেকে প্রায় বিজিবি পর্যন্ত পদ্মা নদীর গাঁ ঘেষে রয়েছে বসে থাকার বিভিন্ন সুন্দর ও মনোরম জায়গা। একটু দুরে দুরে পাবেন দোকান পাট যেখান থেকে আপনি হাল্কা নাস্তা ও পানিও কিনে আপনার সময়কে আরো সুন্দর করতে পারবেন।

লালন শাহ মুক্তমঞ্চ

পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এই মুক্তমঞ্চটি ২০১৩ সালে স্থাপিত হয়। এখানে মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এবং প্রকৃতির মুক্ত হাওয়া উপভোগের সুযোগ রয়েছে। এখানে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থী ভ্রমণ করতে আসে। লালন শাহ মুক্তমঞ্চে প্রায় শুক্রবারেই শিক্ষামুলক ও বিনোদন মুলক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দর্শনার্থীগন সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকেন।

টি-বাঁধ ও আই-বাঁধ

রাজশাহী শহরের পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এই বাঁধগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। টি-বাঁধ ইংরেজি অক্ষর 'T' আকৃতির এবং আই-বাঁধ 'I' আকৃতির। এই স্থানগুলোতে গাছপালার ছায়ায় হাঁটাহাঁটি এবং পদ্মা নদীর শীতল বাতাস উপভোগ করা যায়। তাছাড়াও আপনি এখানে পাবেন সুন্দর সুন্দর খবার যেমন, পেয়ারা মাখা, মুরি মাখা, চা-কফি, আইসক্রিম, সি-ফুড, আস্ত আলু ফ্রাই করা সহ অনেক ধরনের খাবার যা আপনার ভ্রমণকে আরো সুন্দর করে তুলবে।

শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা

রাজশাহী শহরের পশ্চিমে অবস্থিত এই চিড়িয়াখানাটি ৩৩ একর জমির উপর বিস্তৃত। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি এবং উদ্ভিদের দেখা পাওয়া যায়। এটি শিশুদের জন্য একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। টি বাঁধ থেকে একদম হাঁটা পথে পদ্মা নদীর পাড় ঘেষে রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার পাশাপাশি এখানে একটি শিশু পার্কও রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বৃক্ষে শোভিত। ভাস্কার্য, পানির ফোয়ারাসহ ছোট এক লেক রয়েছে পার্কে। পার্কের কৃত্রিম পাহাড় থেকে পদ্মা নদীর সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। এ ছাড়াও চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, প্যাডেল বোডসহ বেশ কয়েকটি রাইড। অন্যদিকে চিড়িয়াখানায় রয়েছে হরিণ, ঘড়িয়াল, ঘোড়া, উদবিড়াল, বালিহাঁস, সাপ, কুমিরসহ বেশকিছু প্রাণী।

শহীদ জিয়া শিশু পার্ক

রাজশাহী জেলা সদরের নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে অবস্থিত শিশু পার্ক রাজশাহী শহরের একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। নয়নভিরাম পিকনিক স্পট, সব বয়সীদের জন্য দেশি-বিদেশি রাইড, সুবিশাল লেক এবং নৌকা ভ্রমনের সুব্যবস্থা ২০০৬ সালে নির্মিত এই পার্কটিকে শহরবাসীর কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এই শিশু পার্ক শহীদ জিয়া শিশু পার্ক নামে অধিক পরিচিত। ১২.২১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত শহীদ জিয়া শিশু পার্কে আছে মেরী গো রাউন্ড, মিনি রেলকার, ফ্লুম রাইডস, স্কাই বাইক, সুপার সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, কিডি রাইডস, থ্রিডি মুভি থিয়েটার, পেডেল বোট, প্যারাট্রুপার, টি কাপ, ব্যাটারী কার, বাউন্সি ক্যাসেল, হর্স রাইড, ফ্রগ জাম্প এবং হানি সুইং ইত্যাদি। এছাড়া ১০ বছরের ছোট বাচ্ছাদের জন্য রয়েছে ফ্রি ফিজিক্যাল গেমস্‌। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা, ওয়াস রুম এবং কার পাকিংয়ের সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

সাফিনা পার্ক

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দ্বিগ্রাম খেজুরতলায় প্রায় ৪০ বিঘা জায়গার উপর ২০১২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে সাফিনা পার্ক ও রিসোর্ট (Safina Park and Resort)। এখানে দুটি কৃত্রিম লেক, ফুলের বাগান, শিশুদের জন্য রাইড, আন্তর্জাতিক মানের মঞ্চ এবং আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। গোদাগাড়ী থেকে সাফিনা পার্কের দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। নতুন বিনোদন আয়োজনে সাজানো সাফিনা পার্কটি সব বয়সী দর্শনার্থীদের কাছে চিত্তবিনোদন ও পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নানারকম ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ দিয়ে ঘেরা পার্কের ভিতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা ও কৃত্রিম উপায়ে তৈরিকৃত বিভিন্ন পশু পাখির আকর্ষণীয় ভাস্কর্য। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, দোলনা, ট্রেন, থ্রিডি সিনেমা এবং কিডস স্পোর্টস জোন। দর্শনার্থীরা ইচ্ছে করলে পার্কের ভিতরে বিদ্যমান দুইটি লেকে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে পারেন। অনুমতি সাপেক্ষে লেকে মাছ ধরার সুযোগ রয়েছে। এটি একটি আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র।

রাজশাহী কলেজ

রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮৭৩ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজের পরে রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীনতম কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ৬৮৫টি কলেজের ২০১৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের সেরা কলেজ। বাংলাদেশে এই কলেজ হতেই সর্বপ্রথম মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়। কলেজটি রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর পাশে অবস্থিত। এই প্রাচীন কলেজের পাশে অবস্থিত হবার কারণে স্কুলটির নাম কলেজিয়েট রাখা হয়েছিলো । এটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ‍্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স ও সম্মান ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। ১৯৯৬ সাল থেকে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র নথিভুক্ত করা বন্ধ করা হলেও বর্তমানে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুনরায় ভর্তি করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে রাজশাহী কলেজসহ ৪টি কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি রাজশাহীর অন্যতম পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর গাঢ় লাল দালান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। এটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক স্থান।

প্যারিস রোড, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্যারিস রোডের দুধারে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে গগনশিরীষ নামের সুউচ্চ গাছ। জানা যায়, এই গাছগুলো ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে আনা। তাই রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে 'প্যারিস রোড'। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডটি তার অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এর চারপাশে গাছপালার ছায়া এবং শান্ত পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত।

কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা

এই উদ্যানটি রাজশাহী শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, হাঁটার পথ এবং বিশ্রামের স্থান রয়েছে। এটি শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটি শান্তিপূর্ণ স্থান। শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের অংশ হিসেবে অবস্থিত এই চিড়িয়াখানাটি ১৯৮৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি এবং উদ্ভিদের দেখা পাওয়া যায়। এটি শিশুদের জন্য একটি শিক্ষামূলক স্থান।

পুঠিয়া রাজবাড়ীঃ (puthia rajbari)

পুঠিয়া রাজবাড়ী বা পাঁচআনি জমিদারবাড়ী হচ্ছে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন। বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী অন্যতম। ১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে আয়তাকার দ্বিতল বর্তমান রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন।

আলপনা গ্রাম টিকইলঃ (alpona gram)

চাপাইনবাগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের টিকোইল গ্রাম। মানুষ এই গ্রামকে চেনে ‘আলপনা গ্রাম’ হিসেবে। দেশে এবং দেশের বাইরে এই গ্রামের নাম ছড়িয়ে গেছে এখানকার মানুষের অসাধারণ শৈল্পিক কর্মের মাধ্যমেই। এই গ্রামে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মনে হবে লাল, নীল, আকাশি, সবুজ অজস্র রঙের ছটায় চারপাশ যেন হঠাৎ রঙিন হয়ে উঠেছে। আর পূজা-পার্বণের সময় তো কথাই নেই, যেন রং-তুলিতে আঁকা বর্ণিল একটি ছবি! গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দেয়াল যেন এক একটি ক্যানভাস। মাটির দেয়াল জুড়ে সবসময় শোভা পায় নানান রঙে আঁকানো নানান কারুকার্যের আলপনা। প্রতিটি বাড়িতেই মেলে গ্রামবাসীর রুচি আর মননশীলতার চিহ্ন। যেকোনো পূজা বা উৎসবে, পহেলা বৈশাখে গ্রামবাসী সবাইকে স্বাগত জানায় নতুন আঁকা আলপনার মাধ্যমে। নিজেদের বাসস্থান তো বটেই, এমনকি তারা ভোলে না রান্নাঘর কিংবা গোয়াল ঘরের দেয়ালেও আলপনা আঁকতে।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর (Varendra Research Museum) হলো বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর, যা ১৯১৩ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র হাতেম খাঁন মহল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। রাজশাহী অঞ্চলের সনাতন ইতিহাস, ধর্মীয় রীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির বিশাল এক সংগ্রহ আছে এখানে। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরটি বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটির একটি বড় অর্জন। শরৎকুমার রায় এবং তাঁর সহযোগী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, রমাপ্রসাদ চন্দ প্রমুখ প্রত্ন-অনুরাগী এই প্রতিষ্ঠান দুটি গড়ে তোলার জন্য তাঁরা তাঁদের সময় ও শ্রম ব্যয় করেন। তাঁদের সারা জীবনের প্রয়াস ছিল ওই সময়ের টিকে থাকা অমূল্য প্রত্নসম্পদ (বাংলার, বিশেষ করে বরেন্দ্রীর) জনসম্মুখে প্রকাশ করা। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।

শাহ মখদুম মাজার

শাহ মখদুম মাজার (Shah Makhdum Mazar) বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক পবিত্র স্থান। এটি বিখ্যাত সুফি সাধক হযরত শাহ মখদুম (শাহ সুলতান মখদুম রূপস নামেও পরিচিত) এর শেষ বিশ্রামস্থল, যাকে বাংলার ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হযরত শাহ মখদুম ২রা রজব,৬১৫ হিজিরী মোতাবেক ১২১৬ খ্রিস্টাব্দ বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন হযরত আলী (রা ) -এর বংশধর এবং পণ্ডিত ও ধার্মিক ব্যক্তিদের পরিবারে বেড়ে ওঠেন। শাহ মখদুমের প্রকৃত নাম আব্দুল কুদ্দুস। অল্প বয়সে, তিনি কুরআন এবং নবীর ঐতিহ্য অধ্যয়ন শুরু করেন এবং শীঘ্রই ইসলামী শিক্ষার গভীর উপলব্ধি এবং তার আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টির জন্য পরিচিত হন।

বাঘা মসজিদ

রাজশাহী থেকে বাঘার দূরত্ব প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার। বাঘার সবজয়গাতেই আছে আমের বাগান। আম বাগান দেখতে চলে যেতে পারেন ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ। প্রাচীন এ মসজিদ ইট দিয়ে তৈরি। মূল মসজিদের চারপাশে চারটি ও মাঝখানে দুই সারিতে পাঁচটি করে মোট দশটি গম্বুজ আছে। মসজিদের পূর্বপাশে পাঁচটি দরজা আছে। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের চারটি দরজাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৩.১৬ মি দৈর্ঘ্য এবং ১২.৮০ মিটার প্রস্থের এই মসজিদ ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ছাদ ধ্বংস হয়ে যায়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পরে গম্বুজসহ ছাদটি পুনঃনির্মাণ করেন। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে প্রচুর পোড়া মাটিরফলক। মসজিদের ভেতরে উত্তর-পশ্চিম কোণে একটু উঁচুতে নির্মিত একটি বিশেষ নামাজ কক্ষ আছে। এটি নিয়ে মতবিরোধ আছে। অনেকে মনে করেন এটি মহিলাদের নামাজের জায়গা ছিল। আবার অনেকের মতে কক্ষটি শুধু সুলতানের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত গভর্নরের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। বাঘা মসজিদের পূর্ব পাশে আছে বিশাল আকৃতির একটি দীঘি।

যেসব খবার মিস করবেন না অবশ্যই খাবেন

রাজশাহীতে অনেক জনপ্রিয় খাবার রয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী্র উপশহরে কয়েকটি কালাই রুটির দোকান রয়েছে। রাজশাহীর এ কালাই রুটি অনেক জনপ্রিয় খাবার। হাঁসের মাংস, বেগুন ভর্তাসহ অনেক প্রকারের ভর্তা দিয়ে কালাই রুটি পাওয়া যায়। এ ছাড়া, রাজশাহীর কাটাখালীর গরুর মাংস অথবা হাঁসের মাংসের কালাভুনা খেতে ভুলবেন না।

  • রাজশাহী পিএস স্কুলের সামনে চাঁপাইয়ের হাসের মাংস ও কালাই রুটি।
  • উপসহরের কালাইরুটি ও হাসের মাংস
  • তালাইমারির শুভ হোটেলে পাবেন সারা রাত বট ও পরোটা এবং নিহারী
  • ভদ্রাতে অতিথি হোটেলের চা ও সু-স্বাদু খাবার একবার হলেও খাবেন।
  • হোটেল রহমানীয়র চাপাতি রুটি ও গরুর কালাভুনা আপনার মুখে লেগে থাকবে।
  • তাছাড়াও মরমরিয়া তে পাবেন স্পেশাল রাজহাসের মাংস ও গরুর কালা ভূনা।
  • সিটিহাটে ও নওহাটাতে পাবেন গরুর কালা ভূনা। শুধু মাত্র গরু বিক্রির হাটে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url