ছেলে ম্যাজিস্ট্রেট, বাবা ভিখারী!!!!!

ছবিতে দৃশ্যমান ভদ্রলোকের নাম মফিজউদ্দিন পাঠান। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার মুখি গ্রামে। পেশায় ছিলেন বাসচালক। এখন সস্ত্রীক থাকেন একই জেলার ভালুকা উপজেলার খারুয়ালী গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে। সংসার জীবনে ড্রাইভারি করেই দুটি ছেলেকে শিক্ষিত করেছেন। এক ছেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বিচারিক হাকিম), অন্য ছেলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি মফিজ ও তাঁর স্ত্রীর। জন্মদাতা বাবা ও গর্ভধারীনি মায়ের সঙ্গে পুত্রধনদের কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। মফিজ পাঠান কর্মজীবনে যে দুটি শক্ত হাত দিয়ে গাড়ি চালিয়ে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছেন, অগণিত যাত্রীকে পৌঁছে দিয়েছেন গন্তব্যে, শেষ বয়সে এসে সেই দুটি হাত এখন অন্যের দয়ার ওপর নির্ভরশীল। স্ত্রীকে নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়েই বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। 
  
মফিজ পাঠান জানেন না যে, তাঁর গুণধর (!) ম্যাজিস্ট্রেটপুত্র কোথায় থাকেন। তিনি শুনেছেন যে, সেই বিচারক (ম্যাজিস্ট্রেট) নিজে নিজেই খুলনায় বিয়ে করেছেন; তাঁর শ্বশুর নাকি একজন সচিব। অন্য ছেলের খোঁজ মফিজ জানলেও সেই গুণধরও (!) বাবা-মা’র সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না, ভরণ-পোষণ দেন না। একেই বলে, ‘ভাগ্যের নির্মম পরিহাস’। বৃদ্ধ মফিজ ও তাঁর স্ত্রীর জন্য শুভ কামনা করা ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে আমাদের।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url