বিয়ের আগে কোন মেয়ে অবৈধ

☞ বিয়ের আগে কোন মেয়ে অবৈধ সম্পর্ক করলে তার কুমারীত্ব নষ্ট হয়, কিন্তু বিয়ের আগে কোন ছেলে অবৈধ সম্পর্ক করলে তার পুরুসত্ব নষ্ট হয় না কেন ? 
☞ সবাই নারীর সত্বীত্ব নিয়ে কথা বলে, পুরুষের চরিত্র নিয়ে কেউ কথা বলে না কেন ? 

☞ একটা পতিতা নারী ভাড়ায় যায়, কিন্তু ভাড়ায় নেয় কারা ? ভাড়ায় যাওয়ার জন্য যদি সমাজের কাছে ওই নারী ঘৃনিত হয় তাহলে ভাড়ায় নেয়ার জন্য এই সকল পুরুষগুলো সমাজের কাছে ঘৃনিত হবে না কেন ? 

☞ একটা মেয়ে কয়েকটা ছেলের সাথে প্রেম করলে সবাই তাকে দুষচরিত্রা নারী উপাধী দেয়, কিন্তু একটা ছেলে কয়েকটা মেয়ের সাথে প্রেম করে কেউ তাকে চরিত্রহীন উপাধি দেয় না কেন ? উল্টো সেই ছেলের বন্ধুমহল তাকে নিয়ে গর্ব করে। তাকে লাভার বয় উপাধি দেয় কেন ? 

☞☞ উত্তরে হয়ত অনেকেই বলবেন এই হল আমাদের সমাজের বাস্তবতা! আধুনিক সমাজর সুশীলরা যেখানে নারীর স্বাধীণতা বলে গলা ফাটায় কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় সমাজে সেই পুরুষতন্ত্রেরই প্রভাব বিদ্যমান থাকে। একটু ভেবে দেখুন তো ইসলাম উপরের বিষয় সমূহকে কিভাবে বিবেচনা করে, 

☞ বিয়ে বর্হিভূর্ত অবৈধ সম্পর্কের জন্য ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কেই দোষী সাব্যস্হ করে কঠোর শাস্তির কথা বলে। ☞ ইসলাম শুধু নারীর সতীত্বের কথা বলে না পুরুষের চরিত্রের উপরও গুরুত্ব দেয়। 

☞ পতিতাবৃত্তিকে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য হারাম ঘোষণা করেছে ইসলাম। ☞ আর সর্বশেষ বিবাহ পূর্ব নারী পুরুষের প্রেম/ভালবাসা, সেটা একজন বা একাধিক জনের সাথে হোক না কেন সেটাও ইসলাম উভয়ের ক্ষেত্রে হারাম বলে থাকে। ☞☞☞ একমাত্র ইসলামই নারী-পুরুষের প্রকৃত সমধিকার নিশ্চিত করেছে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url