সত্ত্যিকারের ভালোবাসা

– শাড়িতে আপনাকে কেমন লাগে?
– সুন্দর। তা হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?
– দুটো কারণ আছে। একটা কারণ বলা যাবে, একটা যাবে না। যে কারণটা বলা যাবে সেটা হলো শাড়িতে আপনাকে কেমন দেখায় তা দেখতে ইচ্ছে করছে।
– খুব অসাধারণ নয় যে আপনাকে অবাক করতে পারবো। বলা যায় আর দশটা মেয়ের মতই। শাড়িতে আসলে সব মেয়েকেই সুন্দর লাগে।
– হুম তা ঠিক। তবে শাড়ি পরলে একরকম সুন্দর লাগে আর শাড়ি সত্যি সত্যি সুন্দর করে পরলে আরেকরকম সুন্দর লাগে।
– শাড়ি আমি সুন্দর করে পরতে পারি না। ভাঁজ হয়ে থাকে, কুঁচকে থাকে আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি ঠিকঠাক রাখতে পারি না। মাঝে মাঝে এমন হয় যে শাড়ির কারণে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবো যাবো ভাব।
– সাথে কেও থাকে না? ধরে ফেললেই হয়!
– সবাই কি সাবধানি নাকি। আর আমি কেন আরেকজনের আশায় পড়ে যাবো। পড়ে যাওয়া ঠিক না, আমাকে ঠিকমত শাড়ি পরা শিখতে হবে। আচ্ছা দ্বিতীয় কারণটাতো বলেন না।
– দ্বিতীয় কারণটা হলো আমি আপনাকে ধরে ফেলতে চাই।
– হাহা।
– হাসছেন কেন?
– হাসছি কারণ আমি খুব সহজেই ধরা দেই না।
– কীভাবে ধরা দেন?
– সেটা সময় বলে দেবে।
– কেমন সময়?
– কেন? আপনার কি অনেক অস্থিরতা? অনেক অস্থিরতা ভালো না, অনেক অস্থিরতা থাকলে একজন শাড়ি পরা মেয়ের সাথে হাঁটতে পারবেন না। অস্থিরতা বেড়ে যাবে, আপনি অস্বস্তিতে ভুগবেন।
– অস্বস্তি? কেন?
– কারণ শাড়ি পরলে আমাকে শুধু সুন্দর নয়, ভয়ংকর সুন্দর দেখায়। আশেপাশের সবাই তাকিয়ে থাকে। আপনি সবার তাকিয়ে থাকা দেখে অস্বস্তিতে ভুগবেন।
– নিজেকে ভয়ংকর সুন্দর ভাবা কারো সাথে থাকলে আমার অস্বস্তি নয়, আনন্দ হয়।
– কেন?
– কারণটা আমি নিজে। আমি নিজেকে একজন অসুন্দর মানুষ ভাবি। এবং একজন অসুন্দর মানুষ সবসময় সুন্দরের পাশে নিজেকে আবিষ্কার করতে পছন্দ করে। যেন তেন সুন্দর নয়। আন্তরিকভাবে, সত্যিকার অর্থে সুন্দর যা দেখলে, স্পর্শ করলে, ভাবলে মন ভালো হয়ে যায় এবং পৃথিবীতে লোভী মানুষের মত আরো অনেক বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে।।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url