Breaking News

মেয়েরা কেমনে পারে?? | কবিয়াল বাঙালি মু. ফখরুল ইসলাম

 

২য় রোজার সেহরি খেয়ে ফজর নামাজ পড়ে উঠলাম। নামাজের জায়গাটা ছিল ভাবির রুমে। এক ভাতিজি ও ১১ মাসের ভাতিজা নিয়ে ভাবি শুয়ে আছে। নামাজ শেষ করে ভাতিজাকে গিয়ে ডাক দিলাম। ভাতিজা আমার ডাক শুনে ভাবির কাছ থেকে আমার নিকটে চলে আসল।
ভাতিজাকে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেলাম। যেখানে আমার সাথে রাতে আরো দুইজন ছিল। একজন ৯ বছরের ভাগিনা, আরেকজন ৭ বছরের ভাতিজি। সাথে ভাতিজাকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম। আসার পূর্বে আম্মা ছোট একটা কাঁথা দিলেন ভাতিজার নিচে বিছানোর জন্য। যেন বিছানার চাদর হিসু করলে ভিজে না যায়।
১১ মাসের দুধের বাচ্চাকে নিয়ে ভোর রাতের সেহরির পর ঘুমাতে আসলাম। বিছানায় এনে কাঁথা ভাজ করে শুয়াইলাম। আমার চোখে ঘুম কিন্তু ভাতিজার চোখে ঘুম নাই। তাকে জড়িয়ে ধরে পিঠ চাপড়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলাম। আধা ঘন্টা পর নিজেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ভাতিজাও হয়তোবা ঘুমিয়েছে।
ঘন্টা খানেক পর ঘুম ভেঙে গেল। উঠে দেখি ভাতিজা হাত পা নেড়ে খেলা করতেছে। তাকে আবার ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলাম। আধা ঘন্টার মত কেটে গেল। কিন্তু ভাতিজা আর ঘুমায় না। পরে শরীর নড়াচড়া করতেছে। কাঁথায় হাত দিয়ে দেখি সর্বনাশ। কাঁথা ভিজিয়ে ফেলেছে। সাথে হিসুর ঘ্রান তো আছেই। এখন নতুন কাঁথাও পাচ্ছিনা। কারন মা ভাবি সবাই ঘুমিয়ে আছে। তাই কাঁথাটাকে আরেকটা ভাজ করে নিচে দিলাম। ভাতিজাকে আবার ঘুম পাড়ানোর করলাম, কোন লাভ হলো না। ভাবলাম, কাঁথা ভিজা তাই ঘুমাচ্ছেনা। তাই কাঁথাটা নিচে আরেকটু সরে গিয়ে দুইজনে শুইলাম। না, ভাতিজা এবারো ঘুমাচ্ছেনা। সে আমার নাকে মুখে হাত দিয়ে খামচি দিচ্ছে। আমিও হজম করে যাচ্ছি। অবশেষে বালিশের নিচ থেকে মোবাইলটা বের করে ভাতিজার হাতে দিলাম। সে তো পেয়ে মহাখুশি। একবার এটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে, আরেকবার নাকে মুখে আঘাত করে। ওর দুষ্টমিতে পাশে ঘুমিয়ে থাকা ভাতিজির ও ভাগিনার ঘুম ভেঙে গেল।
এইদিকে আমার চোখে রাজ্যের ঘুম, অন্যদিকে ভাতিজাকে ঘুম পাড়ানো। অবশেষে পাশে থাকা ভাতিজিকে দিয়ে ভাতিজাকে ভাবির রুমে পাঠিয়ে রাজ্যের ঘুম দিলাম। আর ভাবতেছি একটা বাচ্চাকে এক ঘন্টা কাছে রেখেই আমার অবস্থা খারাপ।
মেয়েরা সারাজীবন কেমনে পারে??

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com