ভালবাসার শেষ চাওয়া পাওয়া | লেখকঃ Ft~Jibon~khan

একজন প্রকৃত প্রেমিক শত শত মেয়েদের ভালবাসে না, বরং সে একজন মেয়েকেই শত উপায়ে ভালোবেসে থাকে, ক্লান্ত নদীর শান্ত তীরে লক্ষ কোটি কষ্টরে ভিরে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখরে এক ফোটা জল নদীতে পড়ে যায়, তখন শপথ করলাম যত দিন র্পযন্ত ঐ এক ফোটা জল খুজে না পাব, ততদনি পর্যন্ত তোমায় ভুলতে পারব না..

সত্যি কারের ভালবাসার কথার উপরে লেখাকে কোন ভাবে মিথ্যা প্রমাণিত করতে পারেন না। কারণ ভালবাসার শক্তির কাছে বনের ক্ষুধার্ত সিংহ ও হার মেনে থাকে কোনো না কোনো সময়, কারণ ভালবাসার জন্য এবং ভালবাসার ইতিহাস গড়ে তুলতে কোন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা ঐ সিংহের মুখের আহার হতেও দ্বিধা করে না।কারণ যদি কেউ মনে করে আমি যাকে ভালবাসি, সে সত্যিই যেন আমার মৃত্যু ঐ ক্ষুধার্ত সিংহের কাছে কিছুই না।

আপনি যেভাবে ই ভালোবাসেন আপনার মনের মানুষকে কিংবা ছেলে-মেয়ে অথবা আপনার পিতা-মাতাকে।কখনো আপনি খুঁজে পাবেন না ভালবাসার গভীরতা কে।যে ভাবে কেউ আজ পর্যন্ত সাগরের গভীরতা খুঁজে পায়নি।তেমনি আমি আমার লেখায় সত্যিকারের ভালবাসা কাকে বলে এবং এই সত্যিকারের ভালবাসাকে কে সাহায্য করেছে এবং শেষ সময়ে কার সাহায্যে ভালবাসার সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে খুবই কম হয়ে থাকে।কারণ ভালবাসার মর্যাদা আমরা কয়জন ই দিতে পারি আমাদের প্রিয়জনকে।দেখুন ওরা পেরেছে ওদের ভালবাসার সম্মান, মর্যাদা ও মূল্যবোধ, ওদের সাহায্যেই একজন ই করেছেন যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকা চলুন শোনি ওরা কি ভাবে জয় করেছে ভালবাসাকে।
একজন কুমারী মেয়ে একটি ঘরের কাছেতে গিয়ে সেই ঘরের দরজায় আওয়াজ দিলো,আওয়াজ শোনে সেই ঘর থেকে বেরিয়ে এলো একজন কুঁড়ি বছর বয়সের যুবক।

অতঃপর মেয়েটি বললো,আমি মাদরাসা থেকে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম।কিন্ত পথের মাঝেতে একটু কাজ ছিলো, এছাড়া ও আমার সকল সঙ্গিরা যার যার বাড়িতে চলে গিয়েছে।কিন্ত আমার পথ শেষ হতে আরো ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগবে, এখন আমি আমার বাড়িতে যেতে হলে কোন যানবাহন ও পাবো না, দূর থেকে আপনার ঘরটির প্রদীপ জ্বলতে দেখতে পাই,তাই দেখে আমি এগিয়ে আসলাম, কেউ যদি আমাকে আমার বাড়ি পৌঁছে দিতে সাহায্য করে,অথবা আজকের রাতটুকু থাকতে দেয়?যুবকটি বলল, আপনার গন্তব্যস্তানে যেতে এখন কোনো যানবাহন পাওয়া যাবেনা,এছাড়া হেটে ও যাওয়া সম্ভব নয় কেননা এখান থেকে আপনার বাড়ি অনকে দুরে ।আপনি একেবারে পরিত্যাক্ত এলাকায় এসে পড়েছেন।আজকে এই সময়ে বাড়ি পৌছানো আপনার জন্য সম্ভব হবে না।আপনি বরং এখানে আজ রাত্রি যাপন করতে পারেন।আগামীকাল আমি আপনাকে আপনার বাড়িতে পেীছে দিয়ে আসবো। অগত্যা মেয়েটি রাত্রি যাপন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিলো, যুবক একাই থাকে মেয়েটিকে বলল,আপনি আমার বিছানায় ঘুমান। আমি ঘরের অপর প্রান্তে মাটিতে বিছানা করে ঘুমাব। আর আপনার সমস্যা মনে হলে আমি চাদর দিয়ে ঘরের মাঝেতে বেড়া দিয়ে দেবো। বিছানা থেকে চাদর দিয়ে ঘরের বাকি অংশ র্পদা দিয়ে দিলো।মেয়েটি অত্যন্ত ভয়ে ভয় পুরো শরীর আবৃত করে বিছানায় শুয়ে পড়লো।আমরা অনেক কিছু পড়ি, অনেক কিছু জানি কিন্তু এই বাস্তবতার মুখে, কে কে আছেন, যারা এই রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এরকম পরিবেশে নিষুম, নিস্তর গহীন অরন্যে একা, কুড়ে ঘরে থাকতে অচেনা, অজানা কোন এক যুবক ছেলের সংগে একই ঘরে থাকলো। তবে ওরা পেরেছিল।দেখুন কিভাবে ওরা রাত্রি যাপন করে।

মেয়েটি শুধু চোখ দুটি খোলা রেখে তাকিয়ে যুবকের গতিবিধি র্পযবেক্ষনে রাখলো। দেখলো,যুবকটি মোমবাতি জ্বালিয়ে একটি বই পড়ছে। হঠাৎ বইটি বন্ধ করে দিলো,এবং নিজের একটি আঙ্গুল মোমবাতির আগুনে প্রায় ৫মিনিট ধরে রাখলো।এটা দেখে মেয়েটি আরো বেশি ভীতু ও বিমর্ষ হয়ে পরলো এবং ভাবলো কোন জ্বীনের কবলেসে পড়লো কি না, এই সংশয়ে মেয়েটার কান্না চলে আসলো। কিন্ত যদি ছেলেটি তার উপর কোনভাবে আক্রমণ করে সেই আক্রমনের ভয়ে জোরে কাঁদতে পারছে না সে।এভাবে দুজনই জেগে থেকেই রজনী কেটেছে,এভাবে একজন অন্যজনের সম্পর্কে ভূল ধারণার মাধ্যমে তাদের কষ্টের রাত কেটে গেল, দুজনের একজন ও সেই রাত্রিতে নিদ্রায় যায়নি!অতঃপর সকালে যুবকটি মেয়েটিকে তার বাড়িতে পৌছে দিলো।মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার রাতের বৃত্তান্ত তার বাবার কাছে খুলে বলল।কিন্ত তার বাবা ঘটনাটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। এটাই আমাদের সমাজের নীতি এবং ভূল ধারণা নিয়ে ই আমরা বেঁচে থাকি নানা কুসংস্কার এর মধ্যে।আর মেয়েটির বাবা সহ গ্রামের অন্য লোকজন ও মেয়েটিকে নিয়ে নানা ধরনের কথা বলতে লাগলো।মেয়েটি তার বাবাকে বললো বাবা আমি কোন পাপ করেনি।যদি বিশ্বাস না হয় তা হলে আজ রাতে তুমি ঐ ছেলের বাসায় যাও তাহলে বুঝতে পারবে।

মেয়ের কথা মতো বাবা পথিক বেশে যুবকের বাসায় এসে রাস্তা ভুলে যাওয়ার কথা বলে সাহায্য চাইলনে।অতঃপর তিনি দেখলেন, সত্যি যুবকটির হাতের আঙ্গুল বাধা ছিলো।তিনি হাতের আঙ্গুল পুড়ে যাওয়ার কারন জানতে চাইলেন,যুবক জবাবে বললেন,গত রাতে আমার বাড়িতে এক সুন্দরী মেয়ে আশ্রয় নিয়ে ছিলো। একি ঘরে মেয়েটি আমার বিছানায় ঘুমানোর পর শয়তান আমার মনে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে ।ফলে পাপের পরিনাম জাহান্নামের শাস্তির বিষয়টি অন্তরে স্বরণ রাখতে আগুনে আঙ্গুল পুড়িয়েছি!আল্লাহরকসম,শয়তানের­কুমন্ত্রণাটি যেন আগুনে আঙ্গুল পোড়ানোর চেয়েও শক্তিশালী ছিলো!আল্লাহ শেষ র্পযন্ত আমাকে সাহায্য করছেনে।ঘটনা শুনে মেয়ের বাবা তার বাড়িতে যুবককে আমন্ত্রন জানালেন।যুবকের সততায় মুগ্ধ হয়ে তার ঐ সুন্দরী মেয়েকে যুবকের সাথে বিবাহ দিলেন।ফলে আল্লাহর ভয়ে এক রাতের উপভোগ বিসরজন দেওয়ায়,আল্লাহতায়া­লা বিনিময়ে তার সারা জীবন উপভোগ করার সুযোগ করে দিলেন।

সুবহানআল্লাহ , আল্লাহতাআলা আমাদের সকলকে আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবার তৌফিক দান করুন।আমিন। আমরা ও যেন এভাবে জীবন গড়তে পারি, আর সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করি, যেন কোন শয়তান আমাদের কোন রকম ভাবেই পাপ করাতে না পারে।আমাদের আল্লাহ সর্বদা বলে থাকেন, যে হে বান্দা, তোমরা যে কোন বিষয়ে আমাকে স্মরণ কর, আমার কাছে সাহায্য চাও সাথে সাথে তার ফল তোমরা পেয়ে যাবে। পরিশেষে ওদের জীবন নতুন করে শুরু হলো তখন ঐ মেয়েটি ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগল জীবনের অর্থ কিছু ই না, যদি তুমি না থাকে আমার পাশে!!!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url