অনেক বেশি ভালোবাসি

আজকে হঠাত করেই আমার পাগল টা আমার সাথে ব্রেকআপ করে দিলো,
আমি জানি এটা বেশি সময়ের জন্য না,
তবুও পাগল তো আমার, কি করবো একমুহূর্ত কথা না হলে মনে হয় জীবন চলে যাবে।
আমাদের ব্রেকআপ প্রতিদিন ই হয়, তা হয়তো ১০ মিনিট কি ২০ মিনিট এর জন্য।
১০/২০ মিনিট যেতে না যেতেই আবার ফোন দিয়ে বলি বাবু এটা করছো ওইটা করছো,
এই দেখো একদম ছাদে যাবা না, পাশের বাসার নীলার চোখ ভালো না তোমার উপর কু-নজর দিবে,
:- বলো কি বাবুটা আমি তো ছাদে বসে কফি খাচ্ছি।
:- ওই তোমাকে বললাম না তুমি ছাদে যাবা না, হু মেয়ে দেখতে ইচ্ছে করে তাইনা, যাও তোমার সাথে কথা নেই ব্রেকআপ,
এবার আমি অভিমান করে আছি এখন আমার রাগ ভাঙাতে হবে তাকেই. কিন্তু যা হয়..
প্রথমে ৫ বার ফোন দেই রিসিভ করে না, তারপর ছোট্ট একটা টেক্সট পাঠিয়ে দেই,
“এই যে আমার প্রানের গরু আমি এখন নিজের রুমে বসে মটু-পাতলু দেখতেছি, তোমাকে একটু রাগানোর জন্য বলছিলাম,
:- তোমার সাথে কথা নেই যাও হুহ?
হুম আমার রাগ পানি হয়ে গেছে।
মাঝে মাঝে আমার অভিমান টা একটু বেশি হলে, ওকে ফুসকা & আর আইসক্রিম খাওয়াতে হবে নিজ হাতে না হলে হবে না, ভালো করেই
এমন করেই আমাদের দিনগুলো চলে যাচ্ছিল, তবে আজকে একটু বেশি অভিমান করছি
কিনা বুজতে পারছে না, এত ফোন দেই টেক্সট দেই রিপ্লাই ই দিচ্ছিনা,
কি করবে ভেবেই সরাসরি চলে আসে পাগলটা বাসার সামনে,
তার পাগলি টা তখন ব্যালকুনির গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে ছিলো রাস্তার দিকে চেয়ে গাল ভরা অভিমান নিয়ে পাগলটাকে দেখতেই, মুখ ঘুড়িয়ে নিলো,
পাগলটা ফোনে একটা টেক্সট দিলো.
” আমার পেত্নী রাণী দেখো তোমার ভূত পাগলটা রাস্তার মাঝে কানে ধরে উঠ বস করতেছে, ”
টেক্সট টা দিয়েই কানে হাত দিয়ে উঠ বস করতেছি, তখন পেত্নী টায় কি করবে
বুজতে পারছিলো না চিৎকার ও দিতে পারবে না, তাই তারাতারি করে নিচে চলে আসে,
:- ওই তুমি আমার বাসার সামনে আসছো কেনো??
:- শশুর-শাশুড়ির সাতে দেখা করতে- দেখা করে আসি,
:- ওই তুমি পাগল হইছো হু,
বলেই পাগলটা – পাগলিটার হাত ধরে একটা রিক্সা করে পার্কে নিয়ে আসে , আর একটা নির্জন জায়গায় বসি দুজনেই,
:- এই তুমি আমার কোলে মাথা রাখলে কেনো, তোমার সাথে তো ব্রেকআপ,
:- তুমি বললোই হলো ব্রেকআপ।
:- হু বললেই হলো, যাও,
:- ইস্ তাহলে আমাকে ভালবাসবে কে…?
:- আমি বাসবো,
:- না তুমি তো ব্রেকআপ করে দিছো,
:- দিছি তো কি হইছে..? তোমাকে মারবো কাটবো আবার ভাল ও বাসবো।
:- তাহলে আমি ভালবাসলে দোষ কোথায়,
:- আমি বলি নি তো দোষ ভালবাসলে, আমি বলছি অল্প ভালবাসবা। ?
:- না আমি এত্তগুলা ভালবাসবো?
:- ওই বলছি অল্প ভালবাসবা,
:- না এত্তগুলা ভালবাসবো,
:- তুমি না একটা ফাজিল ছেলে যাও ব্রেকআপ, আমার এত্তগুলা ভালবাসা লাগবে না।
:- আমার মনে তো এত্তগুলা ভালবাসা সেগুলা কি করবো। ?
:- সেগুলা ফেলো দেও, তবুও আমার লাগবে না।?
:- আচ্ছা যাও তোমাকে দিবো না, আর অপচয় করী শয়তানের ভাই, আমার ভালবাসা অপচয়
করে শয়তানের ভাই হবো না, আমার বাকি ভালবাসা আমি নীলাকেই দিবো যাও,
বলেই পাগলিটার কোল থেকে মাথা উঠাতে যাবো
:- ওই হারামি কি বললি আমার সামনে বসে নীলার নাম নেস তোর সাহস তো কম না,
তুই মাথা সরিয়ে দেখতো, কোল দিয়ে একটু মাথা সরিয়ে দেখ। তোর পা কেটে আমার
কাছে বসিয়ে রাখবো।
:- তাহলে বলো কেনো অল্প ভালবাসতে হু,
:- আচ্ছা বাবুটা এত্তগুলা গুলা ভালবাসবা, তবুও অন্য মেয়ের কথা বা নাম শুনি তোমার মুখে তাহলে তোমার ???
:- আচ্ছা আমার এত্তগুলা ভালবাসা তোমার জন্য, আর কখনো কোনো মেয়ের নাম নিবো না, এখন পাপ্পি দেও,?? না হলে কি বুঝোই তো ও আমাকে সবসময় পাপ্পি দিতে রাজি আছে।
:- ওই লুচু নিজের গফ এর মানে বউ এর সামনে বনে বসে অন্য মেয়ের কথা বলো তোমার সাহস তো কম না।
:- না মানে তুমি যদি চুমু না দেও তাহলে বলছি,
:- এই এই একদম ব্লাক-মেইল করব না,
:- তাহলে উঠি,
:- এই বসো, এই দেওয়াই লাগবে..?
:- হুম দেও?
:- চোখ বন্ধ করো?
:- এইযে করলাম????
:-উ………………
[ তারপর কী হলো আপনাদের দেখার দরকার নেই]
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url