Breaking News

প্রতিশ্রুতি | টয়া খান

প্রতিশ্রুতি | টয়া খান

আজকের সকালটা অন্য দিনের তুলনায় অনেক সুন্দর রাতে ঘুমটাও ভালো হয়েছে। হালকা
হালকা ঠান্ডায় বিছানা থেকে উঠতেই মন চাইছে না। কিন্তু তবুও উঠতে হবে না
হলে দেরী হয়ে যাবে আর আজ যদি দেরী হয় তাহলে শুভ অনেক রেগে যাবে। বলতে বলতেই
শুভর কল। রিসিভ করলাম
-হ্যাপি বার্থডে বুড়ি
-এটা কি হলো?
-কি হলো?
-তুমি আজকের দিনেও আমায় বুড়ি বলে ডাকলে। একটু ভালোভাবে উইস করতে পারলে না (একটু অভিমান করে)
-আমার বুড়িটার বুঝি অভিমান হয়েছে?
-হুম
-অনেক অভিমান হয়েছে?
-হুম
-ঠিক আছে তাড়াতাড়ি উঠে একটু বেলকনিতে আসো
-কি? তুমি এতো সকালে কেন এসেছো?
-আজ আমার বুড়ির জন্মদিনে আমি চায় তার হাসি মাখা মুখটা সবার আগে আমিই দেখবো।
-পাগল একটা আমি এখনই যাচ্ছি।
তারপর তাড়াতাড়ি উঠে বেলকনিতে গিয়ে দারালাম। আর ও একটা গাছের সাথে হেলান
দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সাদা ট্রাওজারের সাথে সবুজ হাফ হাতা গেন্জিতে
অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে ওকে। সকালের হালকা মিষ্টি রোদে ওর নাকে আর কপালে জমা
বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলো চিকচিক করছে। আলতো করে ছুয়ে দিতে ইচ্ছা করছে।
চুলগুলো কেমন এলোমেলো হয়েi আছে। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলে
আমার ঘোর কাটে। শুভ কল করেছে আমি ভালো করে দেখে নিলাম ও নিচে আছে নাকি আমি
জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি। নাহ ও সত্যি সত্যি আছে। ইশারায় আমায় ফোন রিসিভ
করতে বললো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই
-এই ভাবে তাকিয়ে থাকলে নজর লেগে যাবে
-লাগুক আমি নজর দিবো না তো কে দেবে শুনি?
-এরপর যদি নজর লেগে অসুস্থ হয়ে যায় তখন?
-আমি আছি না দিন রাত সেবা করে তোমায় সুস্থ করে তুলবো।
-হা হা হা। ওকে তুলো। এখন ফ্রেশ হয়ে, রেডি হয়ে অবশ্যই ব্রেক ফাস্ট করে তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে চলে আসো আমি ওয়েট করবো ওকে?
-ওকে
-রাখি তাহলে।
-হুম
-শনো?
-কি?
-লাভ ইউ
-লাভ ইউ টু
-বাই
-বাই
আমি তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে গেলাম ফ্রেশ হতে। অনেক প্রেম হয়েছে এখন পরিচয়টা দি।
আমি মেহজাবিন নাশরাহ। সবাই নাশু বলে ডাকে। আর শুভ হলো আমার স্বপ্নের
রাজকুমার মানে বয়ফ্রেন্ড। আমি আর শুভ দুজনই অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। আমি
বাবা মার দুই মাত্র মেয়ে মানে আমার একটা ছোট বোন আছে নিশাত ক্লাস নাইন এ
পড়ে। পাজির পা ঝাড়া। বাড়িতে আমি মা, আর নিশাত থাকি। মা স্কুল টিচার। বাবা
গত দুই বছর আগে মারা গেছেন। বাবা মারা যাবার পর মাহাবুব আংকেল আমাদের দেখা
শোনা করেন। যদিও মায়ের বেতন আর বাবার পেনশিয়ান এর টাকায় আমাদের সংসার
ভালোভাবেই চলে যায়। তবুও আংকেল আমাদের জন্য অনেক করেন। বাবা আর মাহবুব
আংকেল ছোট বেলার বুন্ধু। আংকেল তার পরিবার নিয়ে আমাদের পাশের ফ্লাটে থাকেন।
আমাকে আর নিশাতকে খুব ভালোবাসেন। বাবা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরই শুভ আসে
আমার জীবনে। বাবার মৃত্যুতে আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম। তখনি শুভ এসে আমার
হাতটা শক্ত করে ধরে আমার মনে সাহস জুগিয়ে ছিলো। ও পাশে না থাকলে আমি তখন
কিভাবে নিজেকে সামলাতাম জানি না। বাবার কথা খুব মনে পরছে। বাবা আমার
জন্মদিনে নিজের হাতে আমায় পায়েস রান্না করে খাওয়াতো।
চলবে,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com