Breaking News

স্কুল লাভ | লেখক - মাজিদুল

স্কুলে প্রথম দিন।
সবার সাথে পরিচিত হলাম
। প্রিয়া নামে একটা মেয়েকে ভালো লাগলো।
জানি না কেন তাকে এরকম ভালো লাগলো।
তবে তখন আমি ১ম শ্রেণীতে পড়ি।
ভালোবাসা কি কিছুই বুঝিনা।
প্রাইমারিতে তেমন কিছুই হয় নাই,তবে প্রাইমারিতে তার ব্যবহার দেখে বুঝতাম সে হয়তো আমাকে ভালোবাসে।
প্রায় দেখতাম সে ক্লাসে সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
কিন্তুু আমি বোকা ছিলাম,কিছু বুঝতাম না।
বুঝতে পারলাম high school এ গিয়ে।
তখন আমিও কেন জানি তাকে ভালোবেসে ফেললাম।
কিন্তুু তখন মনে হলো সে হয়তো এখন আমায় ভালোবাসে না।
কিন্তুু কেন এমন হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।
আমাদের বাড়ি হতে ওদের অনেক দূরে। তবু প্রতিদিন তার সাথে হেটে যেতাম। একদিন চিন্তা করলাম তার জন্মদিনে তাকে বলব যে তাকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু চিন্তা করলাম যে আমি কি তাকে এ কথা তাকে বলতে পারব।
সে দিন রাতে আর ঘুমাতে পারলাম না।সেদিন ছিলো শুক্রবার ছিলো, আমি ভাবলাম একটা গিফট কিনে তার বাড়িতে যাব।
তবে গত ৩ দিন আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল। সেখানে গিয়ে দেখলাম তারা সেখানে নেই। পরে খুজ নিয়ে দেখলাম তারা ঢাকা চলে গেছে।
আমি কষ্ট পেলাম।
class 8 এ যখন পড়ি তখন সুযোগ হলো ঢাকা যাবার।
সেখানে গিয়ে যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলেই ভর্তি হলাম।
তখন যে দিন দেখা হলো তাকে আমি বললাম “আমি তোমাকে ভালো বাসি “। তার ভাই পাশেই ছিল।
তার ভাই তাকে টেনে বাড়ি নিয়ে গেল। তখন তার চোখটা একটু ভিজা দেখাচ্ছিল।
২ দিন পরে পুলিশ এনে মিথ্যা বলে আমাকে জেলে দিল।
বলল যে আমি নাকি তার বোনের সাথে পথে-ঘাটে খারাপ ব্যবহার করি।
আমি বললাম যে “তাহলে তার বোনকেই জিজ্ঞাস করলেই পারেন”
পুলিশটি ভালো ছিলো জার কারনে আমার কথা শুনল।
কিন্তু প্রিয়া আমাকে না বাচিয়ে সেও মিথ্যা কথা বলল।
বুঝলাম না কেন এমন করল।
আমি সেখানে মামার বাড়িতে থাকতাম।
মামা এসে টাকা দিয়ে আমায় নিয়ে গেল।
তখন আমি ভাবলাম জেলে যখন আমায় থাকতে হয়েছে, তখন যে করেই হোক তাকে আমার বউ বানাবো।
কিন্তু কিভাবে।
আমাকে ছারিয়ে এনেছে যেনে প্রিয়ার সাথে প্রতিদিন আসত। আমি তার সাথে কথা বলি না যদিও ক্লাশে সুযোগ পাই।
কিছু দিন পরেই যান পারি পরিক্ষা পরই প্রিয়া বিয়ে ঠিক হয়েছে। তখন আমি চিন্তায় পরে যাই ভাবলাম চিন্তা করলে পরিক্ষা ভালো হবে না।
পরিক্ষা শেষ হলো জানতে পারলা সেই ছেলে তার আপন ভাই না তার মামাতো ভাই।
অনেক কষ্ট করে তার সাথে দেখা করলাম
আমি—- তোমার সাথে আমার কিছু কথা,, আছে।
প্রিয়া —–(আমায় দেখে খুশি হয়ে) কি?
আমি—- তোমার বিয়েতে তুমি রাজি।
প্রিয়া—- না।
আমি—- তুমি……… কি…. আমায়…. ভালোবাসো।
প্রিয়া—- হঁ্যা।
আমি—- চিন্তা করো না দেখি কি করা যায়।
এমন সময় তার বাবা ঘরের সামনে।
আমি তারাতারি করে খাটের নিচে লুকালাম।
তার বাবা তাকে বলল “মা দেখ এতে আমার কোনো দুশ নাই তর মাই এমন করছে।
সেখান থেকে বেড়িয়ে শুনলাম তার সেই মামাতো ভাই সন্ত্রাসী।
হয়তো এজন্যই বিয়ে দিতে তারা রাজি ছিল।
আমিতো আরও চিন্তায় পরে যাই।
কিভাবে কি করব।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com