Breaking News

হাসির গল্পঃ বেচেলার


আমি বেচেলার,বিন্দাস লাইভে কোন পেইন নেই আমার,,,,,,

ঠুস,ঠাস,পুত,পুরু,,,রু,,রু,,,ত এলামের শব্দে ঘুম থেকে উঠলাম।কি ভাবছেন!এলামের রিং টন এমন অদ্ভুত কেন?ভাই এটা এলাম না,রতনের পাদের শব্দ।রাতে ঘুমানোর আগে রতনের কানে কানে বলে দিছিলাম সকাল ৮টা।আর যথারীতি পাদ! দূর ছাই কি সব ভাষা ব্যবহার করছি?ভদ্র ভাষায় বললে হবে রতন চালিত গুলা বর্ষণ।আসলে আমাদের মেসে কাউকেই এলাম দিয়ে ঘুমাতে হয় না,কারন আমাদের বন্ধু রতনের একটা বিশেষ গুন আছে। আর তা হল হরেক রকমের পাদ দিয়ার বিশেষ ক্ষমতা।তাই শুধু রতনের কানে কোন সময় বলে দিলেই কাজ খতম,যথাসময়ে বিকট শব্দে গোলাবর্ষণ শুর হয়ে যাবে।

আপনি হয়ত এলাম ঘরির শব্দে ঘুম থেকে না উঠে থাকতে পারবেন কিন্ত সাদ সকালে এমন হরেক রকমের মনোমুগ্ধকর শব্দের সাথে বিশেষ পারফিউমের ঘ্রাণে ঘুম ভাংগা নিশ্চিত।তাই আমাদের মেসের কাউকেই এলাম ঘড়ি ঝামেলা প্রহাতে হয় না।প্রথম যখন রতন আমাদের সাথে মেসে উঠল,তখন আমরা কেউ জানতাম না রতনের এই গুনের কথা,একদিন সকালে হরতালের কারনে রিক্সা পাচ্ছিলাম না,তখন দেখি রতন সাইকেল নিয়ে কোথাও যাচ্ছে,উঠে পরলাম রতনের সাইকেলের পিছে।পরে মনে পরল,ওর সাইকেলের ত ঘন্টি নাই,তাই আমি পিছনে বসে রতনকে জিজ্ঞাস করলাম,সামনে গাড়ি,মানুষ কিছু পরলে কি করবে?ও মুশকি হাসি দিয়ে কোন কথা বলল না,,একটু পরে সামনে একজন বৃদ্ধ লোক পরতেই বিকট শব্দের সাথে ঠুস,ঠাস করে গুলা বর্ষণ হতে শুর হল।হঠাত করে এমন শব্দে শুনে ভয়ে আমি চাচা আপন যান বাচা বলে,সাইকেলের পিছন থেকে লাভ দিলাম।

আমার এই অবস্থা দেখে রতন সালা ওর হলদে রংয়ের ৩২ টা দাত বের করে হাসতে হাসতে বলল,দস্ত ভয় পাইস না গুলির আওয়াজ না,সামনের ঘণ্টি নষ্ট তাই পিছন দিয়ে ঘণ্টি বাজাইছি।রাগে তেরে সালাকে মারতে যাব, এমন সময় তাকিয়ে দেখি,সামনে সাদা লুঙ্গী পরে আছে,তখনি মনে পরল সামনে বৃদ্ধ চাচার কথা,তার মানে বেচেরা বৃদ্ধ মনে হয় পিকেটারে কটকটেলের শব্দ ভেবে ভয়ে লুঙ্গী রেখে পালাইছে।আনমনে ভাবছি মানুষ জীবনের ভয়ে ইজ্জত এর কথাও ভুলে যায়,এসব কথা ভাবছি,ঠিক তখনি রতন তেড়িং বেড়িং করে নাচতে শুর করল,জিজ্ঞাস করলাম কিরে সালা পাভনা থেকে গালফেন্ড ফোন দিছিল নাকি নাচস কেন??? সালা বলে কিনা,ওর আগের লুঙ্গীটা নাকি ছিড়ে গেছে,আজকের গোলাবর্ষন করে ওর নাকি লুঙ্গী জয় লাভ হইছে।খুশিতে সালা খাপাস করে মাটি থেকে লুঙ্গী হাতে নিল।কিন্ত হঠাত মুখটা ফেঁকাসে করে লুঙ্গীর ভিতর থেকে হাত বের করতেই দেখি সালার হাত হলুদ হয়ে গেছে।তার মানে ওর শুধু লুঙ্গী না,সাথে কিছু হলদে (টুটুটুটু) ও জয় লাভ হইছে।

লোকটা এত পরিমানেই ভয় পাইছিল যে,পালাবার আগে লুঙ্গীতে আসল কাজ সেরে পালাইছে।এই অবস্থা দেখে আমি হাসতে হাসতে মাটিতে শুয়ে পরলাম।সেইদিন বুজতে পারছিলাম রতনের মত বন্ধু মানেই আনলিমিটেট ফান।তাই রতনের এই বিশেষ গুন থাকা সত্ত্বেও ওকে মেসে রেখে দিলাম।এখন মেসে আমরা চার জন,ছেকা খেয়ে বেকা না হওয়া পল্টু,বাটা জুতার থেকে মজবুত বল্টু,গল্পের বিশেষ চরিত্র সল্টু(মানে রতন) আর আমি।ও আমার পরিচয় ত আপনাদের দেয়া হয় নাই,আমি ফয়সাল,ডিপ্লোমা পাশ করে ছোটোখাটো একটা জব এর সুবাধে মেসে থাকি।এবার গল্পে ফিরা যাক,,

রতনের পাদ যে শুধু এলাম এর কাজেই ব্যবহৃত হয় ঠিক তা না,আরো অনেক মুশকিল আসান করতে ও রতনের এই মহামূল্যবান পাদ ব্যবহৃত হয়!এই যেমনঃ গতমাসে আমরা কেউই মেস ভাড়া দিতে পারছিলাম না।এদিকে খিটখিটে মেস মালিক ১ তারিখ এসে হাজির।দুই দিন সময় চাইতেই সালার মেস মালিক তেলে বেগুনে জলে উঠল।মনে হয় বাড়ির চাকর হয়ে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিছি!তাই অনেক হাতে পায়ে ধরে পরেরদিন আসতে বললাম,আর পরেরদিন যথাসময়ে মেস মালিক যখন দরজায় করা নাড়ল,আমরা সবাই তখন যার যার পারফিউম নিয়ে পাশের রুমে শেল্টার নিয়ে রতনকে দরজা খুলতে পাঠালাম।রতন দরজা খুলতেই মেস মালিক ভাড়া চাইল,,আর রতন সাথে সাথে এক দিন টয়লেটে না গিয়ে পৃথিবীর সবচাইতে নিকরিস্ট ফ্লেভারের পারফিউম ত্যাগ করার সাথে সাথেই মেস মালিক অজ্ঞান।পরে শুনিছি বেচারা নাকি এরপর তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল।অব্যশ তিন দিন পরে আমরা ভাড়া দিয়ে দিছিলাম।চোর হলেও আমাদের ইমান ঠিক আছে।

শুধু কি তাই,আমার গালফেন্ড ফারিহাকে পঠাতেও এই রতনের অবদান ভুলার মত না,দীর্ঘ তিন মাস এক টানা ফারিহার পিছনে ঘুরঘুর করছি কিন্ত মেয়েটি একটি নজরের জন্য ও আমার দিকে না তাকিয়ে, মাটির দিকে তাকিয়ে হেটে যায়।কত রকমের কাশি,হাসি দিয়ে যখন আমি হতাস হয়ে হাল ছেড়ে দিব।ঠিক তখন রতন ঘটনা জানতে পেরে,আমাকে বলল,চল আজ আমি যাব তোর সাথে,মনের দুঃখ নিয়ে শেষবারের মত রতনকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি হঠাত দেখি ফারিহা সেই আগের মত তার ভীতু হরিনি চোখ দুটো মাটির দিকে দিয়ে হেটে চলে যচ্ছে।ঠিক তখনি রতন পট,পট,পটাশ,,,করে বিকট শব্দে গোটা কয়েক পাদ ছেড়ে দিল।এদেকি আমি পুরা বোকা বনে গেলাম রতনের এই আহাম্মক মার্কা কাজ দেখে,আজ আশার শেষ প্রদিপের আলোটাও মনে হয় নিভে গেল।আনমনে এসব ভাবছি হঠাত ফারিহা আমাকে অবাক করে দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে,লজ্জা মিশ্রিত মুখে মুশকি হাসি দিল।আর এদিকে খুশিতে আমার মনে লাড্ডু ফুটল।

বন্ধুর পাদের উসিলায় আজ ফারিহা আমার দিকে তাকাইছে।আর এরপর থেকে রাস্তায় দেখা হলেই ফারিহা আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে মুশকি হাসি দেয়।আর তা একসময় ভালবাসায় পরিনিত হল।রতনের এই পাদের ঝিন আমি কোন দিন ভুলতে পারব না।রতন যে শুধু আমাদের বন্ধুদের উপকারে আসে তা কিন্ত না,,সে সমাজ সেবায় ও অনেক ভুমিকা রাখে।এইত গত সাপ্তাহে এক মেয়ে, প্রেমে ছেকা খেয়ে ঘারের রগ বেকা হয়ে যাওয়াতে অবলা ইদুর মরার বিষ খাইছিল।এদিকে সবাই মেয়েকে তেতুল,মেতুল অনেক কিছু খাওয়ানোর পরো ও কোন ভাবে বমি করাতে পারছিল না।ঠিক তখন রতন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে সবাইকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে পুরুষদের জাতীয় পোশাক একটু উপরে তুলে আর সেই বিক্ষাত পাদ খানা দিতেই মেয়ে বমি করে পেটের নাড়িভুঁড়ি সহ বের করে দেয়ার অবস্থা।সবাই ত পুরা অবাক,কিন্ত আমি তেমন অবাক হয় নাই,কারন আমার ধারনা রতন কোন পেগনেন্ট মহিলার সামনেও যদি পাদ দেয় তাহলে ১০০% নিশ্চিত বিনা সার্জারিতে ডেলিভারি হয়ে যাবে।

অহ আরো একটা কথা বলতে ত ভুলেই গেছি,আমাদের রতন কিন্ত সেই ফেমাস,বর যাত্রীতে কার দাওয়াত থাকুক বা না থাকুক রতনের দাওয়াত কিন্ত নিশ্চিত।কারন গেটে যখন বরের আটা,ময়দা,সুজি কম্পানীর এড দেওয়া শালি গুলো ময়দার মাখার দাম নিয়ার জন্য গেটে অবরোধ ঢেকে বসে থাকে।কিন্ত ফকিন্নি গুলা যখন মুখে খোলা আঠা,ময়দা মেখেও প্যাকেট জাত আটার মুল্য দারি করে।ঠিক তখনি তাদের জন্য আমাদের রতনের দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশেষ বিমানে আমদানি করা গোপন পথ দিয়ে টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করলেই মেয়ে গুলা তাদের আঠা, ময়দা, সুজি মাখা মুখের কথা ভুলে গিয়ে,মুখে ওড়না চেপে পালায়।

তবে এই হাসি,ঠাট্টা জীবনরত বেচেলার মানুষ গুলো একটু মিথ্যাবাদীও বটে।দুপুরের কড়া রোদে পাউরুটি আর এককাপ চা খেয়ে মাকে ফোন দিয়ে মাছ,গস্তর গল্প শুনাতে পারে।তারা শত দুঃখের মাজেও মনের সুখে গাইতে পারে

বেচেলার,,,,আমি বেচেলার,
বিন্দাস লাইফে কোন পেইন নেই আমার,,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com