Breaking News

গল্পঃ স্বপ্ন কন্যা । পর্ব -৭ম

আশিক ভুলে তার রুমের চাবিটা সাথে নিয়া এসেছে।
এখন আবার তার বাসায় যাওয়া লাগবো,,,,,,
এমন সময় আশিক ওই বোরকা পড়া মেয়েটিকে দেখতে পেল!!!!
আশিক কিছুক্ষন ভাবার পর মেয়েটিকে ডাক দিলো_____
এই যে আপু শুনতাছেন,
হ্যালো আপু আপনাকে বলছি______
নিলা আস্তে আস্তে আশিকের দিকে এগিয়ে আসলো,
নিলা তার গলাটাকে চেপে রেখে বললো,
কি বলেন?
আসলে আমি বাসা থেকে আাসার সময় আমার রুমের চাবিটা নিয়ে এসে পড়েছি______
আর আপনি তো ওই বাসাতেই থাকেন_____
তাই আপনি বাসায় গিয়ে যদি কাইন্ডলি চাবিটা আমার রুমমেট কে দিয়ে দেন, তাহলে আমার খুব উপকার হয়।
নিলা বলে আচ্ছা,
কিন্তু আমি তো আপনার বন্ধুকে চিনি না।
ওহ আমার তো মনেই নাই,
ওহ তাহলে তো আমারই যেতে হবে,,,,,,,,,,
আচ্ছা আপনি এখন যান,
আমিই যাবো বাসায়,
এমন সময় একটি রিক্সা খালি পেয়ে নিলা তাতে চড়ে বসে,নিলা আশিককে বলতে থাকে,আপনি তো তাহলে বাসায় যাবেন,চলেন একসাথে যাই,
আশিক কথাটা শুনে কিছু একটা ভাবতে থাকে,
এমন সময় নিলা বলে,কি ভাবেন এতো,
না কিছু না,
চলেন!
নিলা আর আশিক রিক্সায় করে বাসার দিকে যাইতে ছিলো,,,,,
আশিক বললো, আমার নাম আশিক।
আপনি?
নিলা বললো, আমার নাম (বলতে গিয়ে থেমে গেল)
কিছুক্ষন পর নিলা বললো, আমার নাম মিম।
আমি ডিপিতে ১ম বর্ষে পড়ছি?
নিলা জানার পরও বললো,আপনি?
আমি ও ডিপিতে পড়ছি ৪র্থ বর্ষে।
নিলা বললো,আচ্ছা আপনি এতো মন মরা হয়ে আছেন কেন?
একটু হাসি খুশি থাকতে পারেন না।
আশিক চুপ করে আছে,,,,,,,
নিলা বললো কি হল কথা বলছো না কেন?
আশিক বললো আসলে যার জন্য হাসতে শিখেছিলাম,সেই হাসতে মানা করে দিয়েছে।
নিলা আশিকের কথা শুনে,
চুপ করে থাকে,
সে বুঝতে পারে,তার জন্যই আশিক আর এখন হাসে না।
রিক্সাটা বাসার কাছে এসে পড়ছে,
নিলা আর আশিক রিক্সা থেকে নেমে,
রিক্সা ভাড়া টা দিয়ে বাসায় চলে যায়।
নিলা রমে গিয়ে ভাবতে থাকে,কেমনে করে আশিকের রিক্সা চালনো টা বন্ধ করা যায়।
এমন সময় নিলার আম্মু আসলো,নিলাকে বললো,কিরে তোর খবর কি?
নিলা বললো,আম্মু সব কিছু ঠিক আছে,
কিন্তু মা তোমার একটা কাজ করে দেওয়া লাগবো,
তুমি আশিককে আকাশের জন্য টিউটর হিসেবে রাখবে।(নিলা মনে মনে ভাবলো আশিক প্রাইভেট পড়ালে টাকার জন্য আর রিক্সা চালাতে হবে না)
নিলার আম্মু বললো ঠিক আছে মা।
আমি আশিককে কালকে থেকেই আকাশকে প্রাইভেট পড়াতে বললো।
অন্যদিকে আশিক ছাদে এসে বসে আছে,
নিলার কথা এখন তার আগের মতো মনে পড়ে না।
সে এখন নিলাকে ভুলে থাকা শিখে গেছে!!!!!!
কিন্তু আজকের একটা ব্যাপার তাকে খুব ভাবাচ্ছে,,,,,,,,,,,
বাড়ির মালিকের মেয়েটার চোখ সাথে নিলার চোখ যেন একই,কিন্তু নিলা আগে কাজল পড়তো,কিন্তু মেয়েটি কাজল পড়ে না।তফাৎ শুধু এতোটুকুই!!!!!!
আর মেয়েটি যখন কথা বলছিলো,তার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো,সে খুব কষ্টে তার সাথে কথা বলছে!!!!!!!
এগুলো ভাবতে ভাবতে কে যেন আশিক কে পেছন থেকে ডাক দিছো,
এইযে আপনি কি আশিক ভাইয়া?
আশিক তাকিয়ে দেখল ছোট একটা ছেলে,
বয়স ১০ কি ১২ হবে।
আশিক বললো, হুম আমার নাম আশিক।
আশিক বললো কে তুমি?
আমি এই আকাশ আর এটা আমাদের বাসা।
আশিক তখন বুঝতে পারল, এটা বড়িওয়ালার ছেলে সম্ভবতো।
আকাশ তাকে বললো,ভাইয়া আপনাকে আমার আম্মু ডাকতাছে,,,,,,,
আশিক মনে মনে ভাবছে কি যে বলে?
(বাড়িওয়ালা তাকে বাসার ছাদে উঠতে নিষেধ করেছিলো)
আশিক বললো, চলো আকাশ।
আশিক আকাশ কে বললো, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো আকাশ বললো,আমি ক্লাস সেভেন এ পড়ি।
আশিক আকাশদের ড্রইং রুমে বসে আছে।
আর মনে মনেটেনসন করছে,কি যে বলে তাকে?
এমন সময় একজন মধ্যবয়সি মহিলা বললো,তুমিই কি আশিক।
হুম আন্টি আমিই আশিক।
আকাশের আব্বুর কাছে তোমার কথা শুনেছি অনেক।আসলে বাবা আশিক আমি তোমায় একটা কথা বলতে চাই,যদি তুমি কিছু মনে না কর,,,,,
জ্বি আন্টি মনে করার কি আছে,আপনি তো আমার মায়ের মতোই!!!!
আসলে এখানের কাউকে আমি চিনি না,
আর আমার ছেলে আকাশের জন্য একটা প্রাইভেট মাষ্টার প্রয়োজন!
তুমি যদি কষ্ট করে ওকে একটু পড়াইতা,তাহলে আমার আর কোনো চিন্তা থাকবে না।
আশিক কিছুক্ষন ভাবার পর হা বলে দেয়।
নিলা লুকিয়ে লুকিয়ে আশিকের কথা শুনতে থাকে,আশিকের হা বলাটা শুনে নিলা চিৎকার দিয়ে ওঠে!!!!!!
আশিক ও চিৎকার টা শুনতে পায়,সে তেমন কিছু মনে করে না।
তখন নিলার আম্মু বলে তোমার কলেজ কয়টা থেকে?
আশিক বলে দুপুর থেকে শুরু।
তখন নিলার আম্মু বলে তুমি ওকে সকালে না হয় রাতে পড়াবা।তোমার সুবিধা মতো!!!!!
আর তোমার বেতন নিয়ে চেনশন করা লাগবো না।
আশিক বললো আচ্ছা আন্টি তাহলে আমি কালকে থেকে আশিক কে পড়াবো।
এখন আসি আন্টি!!!!!!
পড়ের দিন সকালে আশিক আাকাশকে পড়াতে গেল।সে যাওয়ার সাথে সাথেই নিলার আম্মু তাকে বসতে বললো,আশিক ভালোবাবে চারদিকে তাকিয়ে দেখল,বাসাটা খুব সুন্দর করে সাজানো!!!!
এমন সময় নিলার আম্মু তাকে হালকা জল খাবার এনে দিলো,আর বললো তুমি এগুলো খেয়ে ওই রুমে গিয়ে বসো, আমি আকাশ কে তোমার রুমে পঠিয়ে দিতাছি,
আশিক হালকা কিছু খেয়ে রুমে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে তার ছাত্রের জন্য।
একটু পর আকাশ বললো, আসতে পারি সার।
আশিক একটু ভাবাচ্যাকা খেয়ে বললো,
আসো।
কেমন আছেন সার?
এইতো ভালো আছি, তমি?
আকাশ বললো আমিও ভালো আছি।
আশিক বললো আমাকে সার বলে ডাকার ধরকার নাই,ভাইয়া বললেও চলবে।
আকাশ মাথা নেড়ে বলে আচ্ছা।
আশিক আকাশকে পড়াতে থাকে,প্রথমে আশিকের চিন্তা হয়েছিলো যে পড়াতে হয়তো অনেক সমস্যা হবে।কিন্তু এখন দেখছে আশিক আকাশ ছাত্র খুব ভালো!!
একবার বুজালে সেটা আর পড়াতে হয় না।
এভাবে বেশ কিছুদিন পড়ানোর পর,
আকাশ আর আশিকের মধ্যে একটা ভালোবাসা হয়ে যায়।
আকাশ যেন আশিক কে ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না।সবকিছু দিকঠাক চলতে ছিলো আশিকের,নিয়মিত কলেজ করা,খাওয়া দাওয়া,নিলাকে সে এখন পুরোপুরি ভুলতে পেরেছে,এখন ঘুমাতে গেলে আর নিলা আসেনা স্বপ্নে।আর অন্যদিকে আশিকের আম্মুও তাকে মায়ের মতেোই ভালোবাসে,আশিক এখন আার মায়ের অভাব টাও বুঝতে পারে না।
হটাৎ করেই বাধলো বিপত্তি!!!!

আজকের গল্পটাই শেষ!!!!!!!!!

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com