Breaking News

ছাত্রীর সাথে প্রেম

আমি তখন অনার্স প্রথম বর্ষতে পরি, আমার বয়সের কথা না হয় নাই বলি, কারন এতোক্ষনে অবশ্যই বুঝে নিয়েছেনে যে আমার বয়স কত? যাই হোক আমি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে লেখা পড়া করতে ঢাকায় এসেছি। যেন কোন একটা ছোট-খাটো চাকরি করে নিজের খরচ নিজেই চালাবো এই চিন্তা করে।

কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কোন পার্ট-টাইম চাকরি পেলাম না ঢাকার প্রতিযোগিতা মুলক শহরে টিকে থাকতে হলে আমাকে টাকা আয় করতে হবে। কলেজে চায়ের দোকানে যে জাগায় যাই সবাইকেই বলি ভাই আমার একটা পার্ট-টাইম চাকরির খুব দরকার। কোন ভাবে চাকরি যোগার হলো না, চিন্তার শেষ নেই।

পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এক বন্ধুর( হৃদয় ) কাছে কথা গুলো শেয়ার করলাম যে, আমি তো আর টিকতে পারছি না আজও পকেটে কোন টাকা নেই। আমার কথা শুনে বন্ধাটা হেসে বললো মামা কোন চিন্তা নেই। চাকরি পাইছো না তাতে কি হয়েছে এবার টিউশনি করবে। তোমার টিউশনি আমি যোগার করে দিব, নো টেনশন বন্ধু। হৃদয়ের কথা শুনে একটু সস্থি এলো আমি তো ভাবছিলাম মনে হয় রিক্সা চালাতে হবে। যাই হোক কোন রকম একটা কিছু হলেই হলো। ক্লাস শেষে বন্ধু (হৃদয়) বলে চলো বন্ধু জীবন যুদ্ধে নেমে পরি। তবে সে বড় লোকের ছেলে। এই বলে আমাকে নিয়ে একটা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বলিলো পড়াইতে চাই এই রকম একটা কাগজ প্রিন্ট করে দিন। আর ২০ কপি ফটোকপি করে দিন। আমি বলিলাম আসতে আসতে হৃদয় আমার কাছে টাকা নেই আজ থাক অন্যদিন এগুলো প্রিন্ট করবো। হৃদয় বলিলো আমি তোকে টাকা ধার দিচ্ছি তুই টিউশনি পেলে টাকা শোধ করে দিস। এর মধ্যো দোকানদার সবগুলো কাগজ আমার হাতে দিয়ে বলে মামা আপনি একটা টিউশনি অবশ্যই পাবেন আমার এখান থেকে যারাই প্রিন্ট করে নিয়ে যায় তারাই টিউশনি পায়।

আমি আর বন্ধু হৃদয় কাগজ গুলো হতে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম পাশের দোকান থেকে হৃদয় একটা গাম কনে নিজেই হাতে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার সাথে। কিছুদুর যাওয়ার পর একটা আবাসিক এলাকা দেখে হৃদয় বললো যে এখানদিয়েই এই এলাকার সবাই বের হয় এখানে একটা লাগাই লিফলেট। আমিও সাথে সাথে লাগালাম কিছুদুর পর পর । আর একটা আবাশিক এলাকায় আরও কিছু পোষ্ঠার লাগালাম।

পরদিন সকালে ঠিক ১০ টার দিকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় একটা ফোন আসলো আমার মোবাইলে। আমি রিসিভ করে সালামা দেওয়ার সাথে সাথেই ওপার থেকে ভেসে আসলো এক মহিলার আওয়াজ বলিলেন আপনি কি ক্লাস এইট এর ছাত্রিকে পড়াতে পারবেন? আমি বলিলাম অবশ্যই কেন নয়? তখুন ছাত্রির মা আমাকে বলছিল যে আপনি কাল দুপুর ১২টায় একটু আসতে পারবেন? আমাদের বাসায় একটু কথা বলতাম। আমি বলে উঠলাম ওকে আমি ঠিক সময়ে চলে আসবো।

পরদিন দুপুর ১২টার সময় আমি ছাত্রির বাসায় কলিং বেল দেওয়ার সাথে সাথে ২য় তলা থেকে ঝুম ঝুম শব্দে একটা মেয়ে নেমে আসছে আর বলছে আসছি…… দরজা খুলেই মেয়েটা কিছুটা চমকে গেল? কে আপনি? কাকে চান? আমি অন্তর , টিউশনির জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। ও স্যার আসসালামুয়ালাইকুম , আসুন স্যার আসুন ভিতরে আসুন। বলে মেয়েটা দৌরে চলে গেল তার মায়ের ঘরে মা মা স্যার আসছে আমি বসতে দিয়েছি তুমি যাও স্যারের সাথে কথা বলো।

কিছু সময় প্রায় ৫ মিনিট একা একা সামনে পেপার ছিল পেপারটাই দেখছিলাম। তার পর ছাত্রি আর ছাত্রির মা এলো ছাত্রির হতে নাস্তা আর মা ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি নিয়ে বসলেন আমার সামনে। প্রথম জানতে চাইলেন আপনার নাম কি? দেশের বাড়ী কোথায়? আমি উত্তর দিলাম পাবনা শুনেই বলিলো পাবনার মানুষ গুলো খুব ভালো হয় মনে মনে ভাবি টিউশনিটা মনে হয় হয়েগেল। তার পার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন? কোন এয়ার আরো কত কি… সব প্রশ্ন সব কথার উত্তর দিয়ে শেষ মেষ টিউশনি টা হয়ে গেল। পরদিন থেকেই পড়াতে যাওয়ার কথা সন্ধা ৬ টা থেকে। আমি প্রথম দিন পড়াইতে গেলাম ছাত্রিদের বাসায় তার নামও জানা হয়নি । প্রথম দিন গিয়ে আমি গেটে কলিং বেল দিতে না দিতেই ঝুমুর ঝুমুর আওয়াজে মনে হচ্ছে একটা পরি দোতলা নায় আকাশ থেকে নামছে!! গেলট খুলতে খুলতেই আমি বলিলাম তোমার নাম কি? বলে আমি স্মৃতি। আমি বলিলাম খুব সুন্দর নাম। স্মুতি বলে উঠলো শুধু নামটাই সুন্দর? আমি বলে উঠলাম না মানে তো অনেক সুন্দর তা বলার দরকার আছে,একটু লাজুক সুরে বললো থ্যাংকইউ স্যার।

চলবে………..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com