অতৃপ্ত অশরীর ছায়া

আচ্ছা মা শারীরিক সম্পর্ক করলেই কী শুধু বাচ্চা হয়। শারীরিক সম্পর্ক না করলে কী বাচ্চা হবে না ( দিশা)
হঠাৎ এমন প্রশ্ন করলি যে কী হয়েছে তোর ( দিশার মা তাসফিয়া)
না মানে ইয়ে মানে মা আমার কেনো জানি মনে হয় আমি যখন গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই তখন কেউ আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু চোখ খুললে তাকে দেখতে পাই না।
তাসফিয়াঃ মানে তোর সাথে কেউ এমন জঘন্য কাজ করছে আর তুই আমাক আজ বলছিস।
দিশাঃ মা আমি তো এটাই জানি না আসলে সত্যি আমার সাথে কেউ শারীরিক সম্পর্ক করছে নাকি এটা আমার মনে ভুল তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম।
তাসফিয়াঃ এসব কথা যদি তোর বাবা শুনে না তাহলে আমাক নিশ্চিত বাসা থেকে বেড় করে দিবে। আর আরেকটা কথা বলি কান খুলে শুন এই কথাটা আর কাউকে বলিস না না হলে মানুষ জন আমাদের উপর থু থু দিবে।
দিশাঃ আচ্ছা মা । ( মন খারাপ করে)
এভাবেই প্রায় ১৫ দিন চলে গেলো আমার এখনো তাই মনে হচ্ছে কেউ আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে।
কিন্তু আমি কথাটা মা কে কীভাবে বলবো মা তো বিশ্বাসি করবে না। উল্টে আমাকেই বকবে।
আজ বাবাকে বলতেই হবে এতে কী হবার হবে।
বাবা প্রতি দিন অফিস থেকে রাত ১০ টায় বাড়ি ফিরেন।
রাত ১০ টা।
দিশাঃ বাবা একটা কথা বলবো।
দিশার বাবার নাম সাঈদ ।
সাঈদঃ হুম বলো।
দিশাঃ বাবা তুমি কি কথাটা শুনে আমার উপর রাগ করবে।
সাঈদঃ কী এমন কথা আছে যেটা শুনে আমি রাগ করবো আজ পযন্ত তোর উপর কখনো রাগ করেছি কী।
দিশাঃ না বাবা তবুও।
শুনো না বাবা আমার না কেনো জানি মনে হয় রাতের বেলা আমার সাথে কেউ শারীরিক সম্পর্ক করছে। কিন্তু যখনি চোখ খুলি তখন কাউকে দেখতে পাই না।
সাঈদঃ দিশার কথাটা শুনে হাত থেকে চায়ের কাপটা পড়ে গেলো।
এসব তুই কী বলছিস হুম তোর মাথাটা কী ঠিক আছে।
আমাদের বাসায় আমি তুমি আর তোমার মা ছাড়া আর কেউ আছে।
দিশাঃ না।
সাঈদঃ তাহলে এই কথা বলছিস যে।
দিশাঃ বিশ্বাস করো বাবা আমি সত্যি বলছি তোমরা কেউ আমার কথাটা কেনো বিশ্বাস করছো না। ( কান্না করে দিয়ে)
সাঈদঃ এটাতো বড় চিন্তার কথা তবে দিশা তো আজ পযন্ত আমার কাছে মিথ্যা কথা বলে নি। তাহলে আজ কেনো বলবে এতে ওর লাভ কী এতে তো ওরি সম্মান নষ্ট হবে আর কেউ কেনো চাইবে তার সম্মান নষ্ট করবে।
দিশাঃ কী হলো বাবা কিছু বলছো না যে।
সাঈদঃ আচ্ছা তোর কী প্রতেক দিন এমন মনে হয়।
দিশাঃ হুম
সাঈদঃ তাহলে আজ রাতে তুই আমাদের কাছে শুবি আর তোর মা কে এসব বলিস না ওকে।
দিশাঃ হুম।
তখনি তাসফিয়ার আগমন।
তাসফিয়াঃ বাবা আর মেয়ে মিলে কীসের এত গল্প হচ্ছে হুম।
দিশাঃ কই মা কিছু না তো আমার না একলা একলা ঘুমাতে ভয় লাগে তাই আজ তোমাদের কাছে ঘুমাবো।
তাসফিয়াঃ না তুই তোমার রুমে শুবি।
দিশাঃ না আমি এই রুমেই থাকবো। দেখো না বাবা মা কেমন করছে।
সাঈদঃ আরে থাক না। তার পর তিনজনে শুয়ে পড়লাম। আমি সাইডে আর দিশা মাঝ খানে তাসফিয়া তার পাশে।
সারা রাত আজ জেগেই থাকবো সত্যি কী দিশার কথা গুলো সত্যি আজ তা প্রমান হয়ে যাবে।
রাত ১২ঃ৩০ ঠিক তখনি বাড়ির ঘড়িটা জোরে জোরে বাজতে লাগলো
আমি ঘুমের অভিনয় করে শুয়ে আছি ঠিক তখনি কালো একটা ছায়া….
চলবে?
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url