আমার কোন ব্যস্ততা নেই


সবাই ব্যস্ত-
শুধু আমার হাতে অফুরন্ত সময়,
আমি অনন্ত কাল ধরে এই পথে হাঁটছি
আমার দিকে নজর দেয়ার সময়টুকু কারো নেই।
কখন স্বপ্নের রং তুলি দিয়ে সাদা কাগজে আঁচর কাটি
কখন বা উদোম গলায় বেসুরা গান ধরি,
কখন বা পুকুরের ঘোলা পানির সাথে গল্প করি
কি করবো না, আমার তো ব্যস্ততা নেই।
কখনো কখনো মায়া ভরা পথে চলি ভর দুপুরে
মাঝে, মাঝে নীল খামে ভরে কাব্যের পাণ্ডুলিপি দেই উড়িয়ে,
কখা বলি শেফালী, জলে ফোটা পদ্মের সাথে
কি করবো আর আমার তো কোন ব্যসস্তা নেই।
চায়ের পেয়ালায় চুমক দিয়ে, দেখি চা পাতার সাত রং
জ্বলত সিগারেটের টানে দেখি পুড়ে যাওয়া জীবনের ক্ষত,
ধূসর জমিনে দেখি বুক ফাটা কান্নার আওয়াজ
ক্ষিপ্র আকাশে শুনি বীর বেদনা বাজ।
এসব দেখে দেখে কেটে যায় দিন
কেটে যায় চাঁদনি, আমাবস্যার রাত,
আছি তো বেশ, আমি তো সেই
কি করবো আর, আমার তো ব্যস্ততা নেই।
.

অভিমানে চোখ রাঙা

.
আকাশ ডেকেছিল যাই নি?
তাই অবিরাম বৃষ্টি ঝরিয়েছে।
মেঘ সেজে সে বারবার হানা দিয়েছে;
মোর ছোট্ট কুঁড়েঘরে।
মানা করার সাধ্য ছিল না,
সে যে অভিমান করে আছে; বিপরীতে চেয়ে।
আমি অভিমান ভাঙাতে কত চেষ্টা করেছি;
তুমি ও বড্ড অভিমানী,
একটু ও বুঝলে না।
একটুতেই বৃষ্টি ঝরিয়ে,
অভিমানে চোখ রাঙিয়ে;
আমার কুঁড়েঘর ভিজিয়ে দিলে।
ভেজা কুঁড়েঘর শুকনো করবে কি!
কোনো একদিন;
আমার সীমান্তের কাঁটাতারে, একটু ভালোবাসা রেখে যেয়ো!
বৃষ্টি ঝরালে ঠিকই,
কুঁড়েঘরে এসো;
এক কাপ চা খেয়ে যাবে!
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url