গল্পঃ অন্ধ ভালোবাসা | পর্ব-০১

হুম। তোমার ন্যাকামো হাসি দেখার জন্য এই পতিতালয় আমি আসিনি। কাপড় খোলো।(আমি)

আপনি আজকের রাতের জন্য আমাকে কিনে নিছেন। যা করার আমি নিজেই করেন।(শারমিন)

আমার দেখে মনে হলো যে মেয়েটি অন্ধ। তাই হয়তো আমাকেই করতে বলছে। আমি ওসবে না গিয়ে মেয়েটিকে কোলে নিলাম। তাকে বিছানায় শুয়ায় দিলাম। তারপর তার শরীর ভোগ করলাম। কিন্তু একটা জিনিস আমার মনে খুব বাধা দিচ্ছে যে মেয়েটি কোনো আওয়াজ দিচ্ছেনা। আমি আমার কাজ শেষ করে। মেয়েটিকে বললাম…..
–কাপড় পড়ে নেও।(আমি)
–আপনি চলে যান আমি পড়ে নিবোনি।(শারমিন)

এই বলে মেয়েটি শুয়ে থাকল। আনিও তাকে কোনোকিছুই জিজ্ঞেস করলাম না।

আমি একটা কাজ করলাম। তা হলো আমি ঘরের দরজা খুলে আবার লাগিয়ে দিলাম।

মেয়েটা মনে করছে আমি চলে গেছি।

সে বিছানা থেকে উঠে আশে পাশে দেখে বলতে লাগল কেউ কি আছে।

এতে এটাই বুঝতে পারলাম যে মেয়েটি আসলেই অন্ধ।

সে জোরে কান্না করতে শুরু করল।

যেহেতু ঘরটা সাউনডপ্রুফ তাই বাইরে থেকে কোনো আাওয়াজ শোনা যাবেনা।

মেয়েটা আরও জোরে জোরে চিল্লায় কান্না করতে লাগল।

শুনে আমার অবস্থা খারাপ। তাই তার ঠোটের সাথে আমার ঠোট মিলিয়ে দিলাম।

প্রায় পাঁচ মিনিট পর তাকে ছারলাম। সেও কান্না বন্ধ করে বলল….
–আপনি কে?(শারমিন)
–আমি সেই যে একটু আগে ছিল।(আমি)
–তার মানে আপনি জাননি তাইতো (শারমিন) (কান্না গলায়)
–হুম। আর আমি এটাও জানি যে তুমি অন্ধ। আচ্ছা তুমি আমাকে একটা কথা বলোতো যে তুমি এই জায়গায় কেমনে আসলে। তোমকে দেখে মনে হয় না যে তুমি এইসব কাজ করতে পারো।(আমি)
–আপনাদের মতো ছেলেদের কারনেই আমি আজ এখানে বুঝতে পারছেন।(শারমিন)
–মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি।(আমি)

.
–তাহলে শুনুন। আমি শারমিন। আমার বাবা-মা নেই।

মামা-মামির বাসায় থাকতাম। কিন্তু মামি আমাকে দেখতে পারেনা।

আমি অন্ধ হওয়া সত্যেও আমাকে খুব মারত। জানেনতো আমার মরে যেতে খুব ইচ্ছে হয়।

আমার মামি আমাকে অনেক জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে টাকার জন্য।

কিন্তু মামার জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। আমার মামা আমাকে খুব আদর করত।

মামা-মামির এক মেয়ে। আমরা দুইজন একসাথেই থাকতাম। তার নাম জোনাকি।

জোনাকি একদিন আমাকে পুকুর পারে নিয়ে গেল।

আমি বসে আছি ঠিক তখন একটা ছেলে আমাকে প্রোপোজ করল৷

যেহেতু আমি অন্ধ সেহেতু বুঝতাম না প্রোপোজ কি।

জোনাকি আমাকে ওখান থেকে নিয়ে গেল।

আমি জোনাকিকে প্রোপোজ মানে কি সেটা জানতে চাচ্ছিলাম। সে আমাকে প্রেম ভালোবাসা সব বললো।

তাও আমি বিশ্বাস করলাম না। তার কারন আমার মতো অন্ধ মেয়েকে কেইবা ভালোবাসবে।

আমার মামা বলল যে আমার চোখের অপারেশন করলে ঠিক হতে পারে।

কিন্তু মামার কাছে ওতো টাকা পয়সা ছিলো না।

তাই আমার আর অপারেশন করা হলো না৷

আমি আর জোনাকি আবার গেলাম পুকুর পারে সে আবার আমাকে প্রোপোজ করল।

এভাবে সে আমাকে প্রতিদিন প্রোপোজ করে।

আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি।

একদিন সে আমাকে বলল যে আমাকে পালিয়ে নিয়ে চলে যাবে।

আমাকে বিয়ে করবে। আমি তার কথা মেনে নিয়েছিলাম।

আমি তাকে বলেছিলাম যে আমার চোখের অপারেশন করায়।

সে বলল আমি যা বলব তাই করবে৷। তো আমরা পালিয়ে আসি।

কিন্তু আমি এটা জানতাম না যে ও আমাকে এই খারাপ জায়গায় বিক্রি করে দিবে।

আমি আগে জানলে ওর সাথে কখনই আসতাম না৷

–হুম সবই বুঝলাম। আচ্ছা আপনাকে কত টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে এখানে।
–দুই লাখ। কেন? বলেনতো।

চলবে….

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url