Breaking News

গল্প : মামাতো বোনকে বিয়ে | পর্ব : ২

অন্তরা ছেলেটার কাছে গিয়ে বললো…..

অন্তরা :বলো কত টাকা চাই তোমার???
ছেলেটা :১ লক্ষ হলেই চলবে।
অন্তরা :এই নাও কার্ড যত টাকা লাগে তত তুলে নিয়ে আমাকে কার্ডটা দিয়ো।
ছেলেটা অন্তরাকে জড়িয়ে ধরে বললো ধন্যবাদ সোনা তুমি না থাকলে আজ কি যে হত আমার। ছেলেটি চলে যাবার পর অন্তরা এসে গাড়িতে বসলো…..
অন্তরা : চলো এখন।
আমি : ওকে
অন্তরা :আর হ্যা তোমার মনে আছে তো যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে আমাকে ম্যাম বলে ডাকতে হবে। আমার নাম ধরে ডাকা যাবে না।
আমি :হ্যা মনে আছে।
কিছুক্ষন পরেই আমরা চলে আসলাম। আমি গাড়ি থেকে নেমে দেখলাম কারো মনে হয় বিয়ে বাড়ি এটা। অন্তরা গাড়ি থেকে নেমে বললো……
অন্তরা : তুমি এখানে থাকবা ভিতরে যাবা না।
আমি : ওকে ম্যাম।
ও হ্যা ওকে ম্যাম বলে ডাকার কারণ টা হচ্ছে আমার মত ছেলে যদি ওকে নাম  ধরে ডাকি তাহলে ওর মান সম্মান নাকি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তো ওকে সব সময় ম্যাম বলে ডাকতে হবে। অন্তরা চলে যাবার পর আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম। অন্তরার সাথে ভালো ভালো  জায়গায় গেলে আমাকে এভাবেই বাহিরেই রাখে। তাই আর এখন এই ব্যাপার টা আমার খারাপ লাগে না। আমি গাড়িতে বসে গান শুনতেছি এমন সময় শুনতে পেলাম মামির কণ্ঠ। আমি গাড়ির গ্লাস খুলে দেখলাম মামি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি গাড়ি থেকে নেমে বললাম……
আমি : মামি কিছু লাগবে না কি??
মামি : তুমি ভিতরে না গিয়ে এখানে কেন??
আমি : না এমনিতেই যাইনি।
মামি : আসো এখন।
আমি : না থাক, আমি ভিতরে নাই যাই।
মামি : আমি বলছি না আসো তুমি।
আমি  মামির কথা মত ভিতরে ঢুকলাম। তার ফাকেই মামি কে বললাম….
আমি : মামি কার বিয়ে আজ??
মামি : আমার ভাইয়ের মেয়ের।
আমি : ও আশা আপুর বিয়ে আজকে। (আর হ্যা মামির ভাইয়ের মেয়ের না আশা)
মামি : হুম কথা না বলে চলো তো এখন।
আমি মামির সাথে ভিতরে গেলাম। ভিতর টা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। মামি আমাকে একটা রুম দেখিয়ে বললো, যাও ওই রুমে গিয়ে বিশ্রাম নাও আমি আসতেছি। আমি মামির কথা মত রুমে ঢুকতে যাব এমন সময় পিছন থেকে কে যেন আমাকে ডাক দিল। আমি পিছনে ঘুরে দেখলাম রুহি আমাকে ডাকতেছে। রুহি হচ্ছে আশার ছোট বোন। ও মামির বাসায় গিয়ে মাঝে মাঝেই থাকত, তাই আমাকে চিনে। ও এবার ক্লাস 10 এ পড়ে। রুহি আমার সাথে একদম ফ্রি।
আমি : কি হয়েছে রুহি??
রুহি : ভুলে গেছো নাকি আমাকে??
আমি : ভুলে কেন যাব তোমাকে??
রুহি : যদি মনে রাখতে তাহলে একবার হলেও আমার খোজ নিতে ভাই।
আমি: আরে পাগলি আমি এই মাত্র আসলাম।
রুহি : ওকে ভাইয়া চলো রুমে গিয়ে বসে গল্প করি।
আমি : ওকে চলো
আমরা দুজনে রুমে বসে গল্প করতেছি এমন সময় অন্তরা রুমের মধ্যে ঢুকে আমাকে বললো…….
অন্তরা : ওই ফকিন্নির বাচ্চা তোকে না বলছি বাড়ির ভিতরে ঢুকবি না।
আমি : আমি তো ঢুকতে চাই নাই কিন্তু মামি।
অন্তরা : মামি আসতে বলেছে বিধায় তুই আসব নাকি??
আমি : না মানে অন্তরা।
অন্তরা : কি বললি তুই ঠাসসস  ঠাসসস  ঠাসসস  ঠাসসস
আমি : সরি ম্যাম ভুল হয়ে গেছে আর ভুল হবে না।
আমি পিছন ফিরে দেখতেছি রুহি আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
অন্তরা : যা বলছি এখান থেকে, বের হয়ে যা। আর যেন এখানে না দেখি তোকে।
আমি : ওকে ম্যাম
বলেই আমি যখনি চলে আসতে লেগেছি তখনি রুহি পিছন থেকে বলে উটলো…
রুহি : অনন্ত দাঁড়াও তুমি। তুমি কোথাও যাবা না। এখানেই থাকবা তুমি।
অন্তরা : মানে কি বলতে চাস তুই রুহি??
রুহি : আপু তুমি অনেক বলেছো, যখন আমি তোমাদের বাসায় গিয়ে থাকতাম তখনো তুমি অনন্ত ভাইয়া কে এভাবেই অপমান করতে। ওটা তোমার বাসা তাই আমি কিছু বলি নাই। এখন এটা আমার বাসা আমি কাকে থাকতে দিব সেটা আমার ব্যাপার।
অন্তরা : ও বুঝছি রাতে দেখবো তোমার পেয়ারের অনন্ত কোথায় থাকে আর কার বাসায় যায়।
রুহি : তুমি যদি বেশি বাড়াবাড়ি  করো তাহলে কিন্তু আপু,,,, তোমার যে ঘটনা টা আমি জানি সেটা আন্টিকে বলে দিবো।
এই কথা বলার সাথে সাথে অন্তরা যেন চুপ হয়ে গেল। ওর মুখটা কালো করে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
আমি : থাক না রুহি আমি চলে যাই, আমার জন্য শুধু শুধু তুমি কেন ওর সাথে সম্পর্ক  নষ্ট করতেছো।
রুহি : চুপ কর তো তুমি, তোমার কেউ নাই বিধায় ও তোমাকে এভাবে অপমান করবে নাকি, হয়েছে চল তো।
আমি : ওর খারাপ ব্যবহার,  ওর থাপ্পড় এগুলো এখন আর আমার খারাপ লাগে  না কারণ একটা কাজ যদি মানুষ প্রতিদিন করে তখন কিন্তু তাকে আর খারাপ লাগে না।
রুহি : হয়েছে চল তো এখন আমার রুমে। ফালতু মেয়ে কোথাকার মানুষকে কেউ এভাবে থাপ্পড় মারে নাকি, গালটাতে ৫ টা আঙুলই দেখা যাচ্ছে ।
আমি রুহির সাথে ওর রুমে গিয়ে চুপটি করে বসে আছি। কিছুক্ষন পরে মামি রুহির রুমে ঢুকলো………..
                         ””””’চলবে”””””’

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com