Breaking News

অপহরণ ভালোবাসা | মোঃ তৌহিদুল ইসলাম

আমাকে এখানে তুলে আনার উদ্দেশ্য টা কি??

মেয়ে  হাত পা একটা চেয়ারে  সাথে বসা
তোমায় দেখবো বলে!(ছেলের হাতে একটা চাকু নিয়ে সেটা ঘুরাতে ঘুরাতে)
মেয়েঃ- দেখলা তো এবার ছেড়ে দাও!
ছেলেঃ- এতো সহজে ছাড়ছি না চান্দু
ছেলেঃ-সেদিনের পর থেকে কই গিয়েছিলা.?
মেয়েঃ- দুরে চলে গিয়েছিলাম?
ছেলেঃ-  কেন?
মেয়েঃ- আমার ইচ্ছা
ছেলেঃ- তাহলে আমি যতোদিন বেধে  রাখবো ততো দিন থাকতে হবে…
মেয়েঃ- কিন্তু কেন?
ছেলেঃ- আমার ইচ্ছা.
মেয়েঃ- প্লিজ  ছেড়ে দাও?
ছেলেঃ- আমায় একটু  ভালোবাসা  দাও!!!
মেয়েঃ- সম্ভব  নয়,
ছেলেঃ-কেন.?
মেয়েঃ- প্লিজ!! বাসায় বাবা মা চিন্তা করবে-.
ছেলেঃ- কোন চিন্তা করবে না,  সবকিছু ঠিক আছে।
মেয়েঃ- আমি ছাড়া আমার বাবা, মায়ের কেউ নাই, তাছাড়া  টাকা পাঠাতে হবে, টাকা না পাঠালে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে,
ছেলেঃ- বাড়িতে বলে দেওয়া হয়েছে তুমি অফিসের কাজে কিছু দিন বাহিরে থাকবে,আর টাকা ও পাঠানো হয়েছে।
মেয়েঃ-  অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে  থু থু ফেলে,,
ছেলেঃ- কিসের এতো অহংকার? কিসের অভাব আমার? ( ছুরি টা গলার সাথে চাপিয়ে ধরেছে হালকা গলা কেটে গিয়েছে)!!!
মেয়েঃ- কিছু বলতে না পেরে শুধু  নড়াচড়া করছে,,
ছেলেঃ- আজ তোমার সকল অহংকার  ভেঙ্গে দিবো…
ছুরি টা হাত থেকে ফেলে দিয়ে পিছন থেকে মেয়েটির মাথার চুল ধরে গলার কাটা অংশে চুমু দিয়ে সামনে এসে ঠোঁটে  মুখ লাগিয়ে ভালোবাসা দিতে লাগলো……
মেয়েঃ- নড়াচড়া  করার মাধ্যমে  যথাসাধ্য  চেষ্টা  করছিলো ছোটার জন্য,  একসময় চেয়ারে  সহ নিচে পড়ে যায়, সাথে ছেলেটিও,
ছেলেঃ- এই মমিন,  ওকে এভাবেই সারারাত বেধে রাখবি, খাওয়া দাওয়া দিবি না,  এক ফোটা পানি ও না,  আমি বাসা থেকে না আসা পর্যন্ত।( বলে ছেলেটা  চলে গেলো).
কথা চলছে  আকাশ  ও নদী কে নিয়ে।
এর পিছনের ঘটনাটি জানতে হলে আমাদের  ফিরে যেতে হবে সেই বিগত বছর ২০১৩ সালে।
২০১৩ সালে আকাশ  ক্লাস  নাইনে পড়তো,তখন নদী ওআকাশের সাথে পড়তো,
আকাশ ও নদীর  মাঝে তেমন কোন বন্ধুত্ব ও ছিলো না,আকাশ  বড় লোক বলে  নদী আকাশ  কে দেখতে পারতো না, নদী ছিলো গরীব তাই ধনী লোকদের নদী পছন্দ  করতো না,এদিকে আকাশ  দেখতে চাদের মতো উজ্জ্বল, একজন সুদর্শন  যুবক,
দেখতে যেমন চমৎকার  তেমনি একজন ভালো ছাত্র ও বটে,।
অন্য দিকে নদীর মাঝে ও কোন কিছুর কম ছিলো না যেমন ছিলো রূপবতী  কিশোরী  তেমনি ছিলো মেধাবী, কিন্তু  কেন জানি ধনীদের দেখতে পারতো না।
এইদিকে আকাশ  তার বন্ধুের সাথে বাজি  ধরে,সে নদীর সাথে বন্ধুত্ব করবে.বাজিতে জেতার জন্য  আকাশ  ছদ্মবেশ  ধারণ করে,  এবং আকাশ নিজের কাছে হেরে যায়৷ এবং  নদীর প্রেমে পড়ে যায়,কিন্তু কোন ভাবেই নদীকে সেটা বলতে পারছে না,এবং নদীকে বুজতে ও দেয় না আকাশ  ধনী পরিবারের সন্তান,
আকাশ  বাজিতে জিতে যায়!ভালোই চলছিলো আকাশ  ও  নদীর মাঝে –
এই ভাবে তাদের মাঝে ১ বছর কেটে যায়।
হঠাৎ  একদিন  নদী দেখতে পায়!!!
আকাশ  শহরের  একটি নামকরা রেষ্টুরেন্ট  থেকে বের হচ্ছে  সাথে তার কয়েকজন বন্ধু বান্ধব,,
বন্ধু -বান্দব যার যার  মতো চলে যাচ্ছে  কিন্তু আকাশ  একটা কালো রঙের  মাইক্রোবাসের দিকে যাচ্ছে।  একসময় আকাশ  গাড়িতে ওঠে পরে সেটা দুরে থেকে নদী লক্ষকরছে।
মাইক্রো বাস নিয়ে সামনে চলছে আকাশ  পিছু পিছু নদী একটা রিকশা  ভাড়া  করে  আকাশে  পিছনে   পিছনে যাচ্ছে,
কিছুদুর যাওয়ার  পরে নদী  লক্ষকরে আকাশ  গাড়ি থেকে  বের হয়ে  একটা বাসার দিকে যাচ্ছে,  নদী রিকশা  থেকে নেমে  বাসার দারোয়ান  এর কাছে জানতে পারলো এটা আকাশে বাসা এবং সকল সম্পদের একমাত্র  মালিক তিনি,( বাবা মার অবর্তমানে)
এই ঘটোনা দেখার পর নদী কোথায় যে হারিয়ে  গেলো আকাশ  শত চেষ্টা করে  খুজে পায় না ——
এদিকে আকাশএখন অর্নাস ৩য় বর্ষের ছাত্র  পাশাপাশি  বাবার অফিসের  যেতে শুরু করেছে,  একদিন অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছে,  রাস্তার মাঝে হঠাৎ  করে নদীকে দেখতে পায় আকাশ,
নদীকে দেখতে পেয়ে আকাশ  জোর করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়, এবং আগের মতো করে একটা রুমে নিয়ে বেধে রাখে,
রাত তখন ১১ টা,
আকাশঃ- এই নাও খাও??
নদীঃ- আমার খিদে নেই!
আকাশঃ- খিদে  তো আছেই?কি জন্য  খাবে না?
তাই বলো?
নদীঃ- এমনি!!!
আকাশঃ- +(জোর করে নদীর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে)
নদীঃ- মুখ থেকে খাবার বের করে খাবারে থু থু  দেয়!!!!
আকাশ ঃ- এতো ঘৃণা  কিসের?
আমি তোমার কি ক্ষতি করছি?
নদীঃ- আমি তোমার কি ক্ষতি  করছি.?
আকাশ ঃ- নদী, আমি তোমায় ভালোবাসি।
নদীঃ- আমি বাসি না.
আকাশ ঃ- ভালোবাসতেই হবে?
নদীঃ- না বাসলে কি হবে?
আকাশ ঃ- খুন করে ফেলবো!.
নদীঃ- তা করো না কেন??
আকাশঃ- ভালোবাসি তাই!!!( তাই বলে থুথু  দেওয়া খাবার খেতে শুরু  করলো আকাশ)
নদীঃqq- যতোই ছলোনা করো কাজ হবে না!!!
আকাশ  ঃ- সেটা দেখা যাবে।
খাওয়া শেষ করে আকাশ, মমিনকে বললো কিছু খেতে চাইলে  যেন নদীকে খেতে দেয়।
রাতে যেন কোন অসুবিধা  না হয়,,,
বলে আকাশ  চলে গেলো,,
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com