Breaking News

রাগী বউ || পর্ব-০৪

আমিঃ  আমাদের বেবির নাম কি রাকবে সেটা ভেবে দেখেছো,,,?

রাইসাঃ  তুমি বলো কি রাখবা,,,
আমিঃ  মেয়ে হলে এলিসা, আর ছেলে হলে রাহুল,।
রাইসাঃ  এই আমাদের সবার নামই র দিয়ে শুরু হবে তাহলে,,,?
আমিঃ  হ্যাঁ আমি তো সেটাই চাই,,?
রাইসাঃ  ওরে আমার লক্ষী বাবু। তুমি তো অনেক কিছু ভেবে রেখেছো,,।।
মাঃ  রাইসুল এদিক আয় শুনে যা,,
আমিঃ  এই এখন আবার মা ডাকছে কেন। দাড়াও শুনে আসি কি বলে,,
মাঃ  এসেছিস, শোন এদিকে আয়,,,
আমিঃ  হ্যাঁ কি হয়েছে বলো,কিছু বলবা
মাঃ  এই তুই বৌমাকে নিয়ে অনেক আগে ঘুরতে গেছিস।। আর সেই কবে ঘুরতে নিয়ে গেছিস। আজকে যা ওকে নিয়ে একটু ঘুরে আয়। ওর শরীরটা ভালো লাগবে।।
আমিঃ  আচ্ছা মা আমি গিয়ে রাইসাকে বলে আসি। ওকে রেডি হতে বলি।।
মাঃ হ্যাঁ যা,,, আর শোন ওকে বকাবকি করবি না। ওকে কিছু খাবার জিনিস কিনে দিস। একসাথে থাকবি, পাশে পাশে থাকিস।।
আমিঃ  আচ্ছা মা এবার তাহলে যাই,,
 আমি ঘরে গিয়ে রাইসাকে বললাম যে চলো ঘুরে আসি।। তারপর রাইসা তো অনেক খুশি।। ?ওতো আমাকে জড়িয়ে ধরে পুরা হাসতেছিল? বলল তোমার এই বুদ্ধি মাথা থেকে আগে আসেনি কেন ?নিশ্চয়ই মা বলেছে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে ☺দেখেছো মা কত ভালো তুমি কিছুই বোঝনা??
আমিঃ  হ্যাঁ হ্যাঁ অনেক অপমান করেছো আমাকে এখন চলো,,,,?
রাইসাঃ  এই শোনো না শাড়ি পড়বো নাকি,,,,
আমিঃ  হ্যাঁ হ্যাঁ শাড়ি পড়ো,,,
রাইসাঃ  ??
আমিঃ  এই তুমি এভাবে রাগ ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন আমি আবার কি করলাম,,,?
 এইবার আমার মনে পড়ল রাইসা তো শাড়ি পড়তে পারে না, তাই এইভাবে তাকিয়ে থাকার কারণটা বুঝতে পারলাম। ও চাইছে আমি শাড়ি ওকে পরিয়ে দি।।
 আসলে বাসর রাতে শাড়িটা আমি ওকে চেঞ্জ করে দিয়েছিলাম,,?
 রাইসা কে বললাম এই রাগী ভাবে আর তাকিও না। আমার ভয় লাগে। আচ্ছা বুঝতে পেরেছি তুমি কিসের জন্য এভাবে তাকিয়ে আছো। যাও শাড়িটা নিয়ে এসো আমি পরিয়ে দিব,,,
রাইসাঃ  আচ্ছা কোন কালারের শাড়ি পড়বো বলতো একটু আমি তো বুঝতে পারতেছি না,,,,,
আমিঃ  লাল না হলে নীল এই দুইটার ভেতর একটা পড়ো,,,
 আসলে লাল আর নীল কালার আমার খুব ফেভারিট তাই ওকে এই দুইটা কালার মধ্যে চুজ করতে বললাম,,,
রাইসাঃ  আচ্ছা তাহলে নীল কালারের শাড়ি টাই পড়ি তুমি কি বলো,, তবে একটা কথা আছে তোমাকেও নীল কালারের শার্ট বা পাঞ্জাবি পড়তে হবে।
 তোমার মনে আছে আমরা যে সময় বিয়ের পরে প্রথম ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন আমরা দুজনেই নীল কালারের তুমি  শার্ট আর আমি শাড়ি পড়েছিলাম,,,?
আমিঃ  ওই দিন ঘুরতে গিয়ে একটা জিনিস তুমি আমাকে দিয়েছিলে ওইটা আজকেও দিতে হবে,,
রাইসাঃ  কই আমি তো সেরকম কিছুই দেইনি,,,
আমিঃ  দিয়েছিলে তুমি মনে করে দেখো,,,,
রাইসাঃ  তুমি যে কিসের কথা বলছো আমি সব বুঝতে পেরেছি বাট ওইটা আজকে দিবো না(মনে মনে)??
আমিঃ কী হলো কিছু বলছো না যে। তোমার কি মনে নেই,,,,
রাইসাঃ  আচ্ছা যাই হবে ওখানে  গিয়ে দেখা যাবে। এখন আমি রেডি হই। শাড়িটা পরিয়ে দাও তো এসো।।
 আমি শাড়িটা পড়ানোর সময় ওর পেটে আমার হাতটা লাগে তখনো শিহরিত হয়ে উঠে এবং বলে কি করছো আমি বললাম এইতো একটু টাচ করলাম ও বলল এই ফাজলামো করো না এখন পরে হবে সব তারপর আমি সুন্দর করে ওকে শাড়িটা পরিয়ে দিলাম এবং বললাম ও আমার বউ তোকে যা লাগছে না? একদম পিচ্চি বউয়ের মত লাগছে,,,,,,,???
রাইসাঃ   এই বাদ দাও তো চলো এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,,,,
আমিঃ  হ্যা হ্যা চলো আবার রাত দশটার আগে ফিরতে হবে,,,
চলবে………….
কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com