একজন নপুংসকের গল্প


তোমরা পুরুষ। তোমরা জনক কিশোরী-তরুণী, বৃদ্ধা নারীর;

তোমরা জনক ধর্ষিতার ও ধর্ষণকারীর! অদ্ভুত না?

তোমরা শক্তিমান। বীরবেশে অবলা নারীকে নিশ্ছিদ্র পাহারা দাও।

ছোটমনিদের চুম্বন দাও ভালোবাসাময়।

যুবতী মেয়েকে শাসন করো।

স্ত্রীর সাথে করো আবেগী মিলন!আবার তোমরা তুলে নাও ব্লেড

শিশুর যোনিকে ক্ষত-বিক্ষত করো;পাহাড়ি বোনকে বেঁধে দলবেঁধে শুনাও হিংস্র গর্জন।

তোমরাশক্তিমান, তাই মর্জিমতো করো যা ইচ্ছে তাই।

অদ্ভুত না? পুরুষ যৌবন টিকিয়ে রাখছে সভ্যতা,


পুরুষ যৌবন দিচ্ছে নারীকে যৌবন সুখ,পুরুষ যৌবন দিচ্ছে যুদ্ধ,

শান্তি। আবার পুরুষ যৌবনই কেড়ে নেয় নারী সম্ভ্রম আরসভ্যতা ফেলে হুমকির মুখে!

অদ্ভুত না? বোনের, মেয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়া পরুষই হরণকরছে অন্য কারো বোন,

মেয়ে বা মায়ের নিরাপত্তা। তামাশার শেষ কোথায়?

যে অঙ্গ দেয় প্রশান্তি আর উত্তরাধিকার;

সে অঙ্গই কেড়ে নেয় মানবীর সরল জীবন!

অদ্ভুত না? ভবিষ্যতের কোন ধর্ষক তীব্র নিন্দা জানায় ধর্ষণের।

তামাশার শেষ কোথায়?

অদ্ভুতুরে এ তামাশা দেখতে-দেখতে নিজের ভেতরই হঠাৎ ধর্ষককে দেখতে পেয়ে চমকে উঠি!

ভাবনার শেষে নিজেকে নিঃসংকোচ দাবী করি একজন নপুংসক!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url