অস্তিত্ব- পর্ব-০৬

আমি বললাম এখন আসলে কি করে?

ও বললো,”৫-৬ দিন আগে ঐ গাছটা মারা যায় আর আমি মুক্ত হই।আমি অন্য জগতের বাসিন্দা এখন।তবে ঐ জগতেও তুমি আছো আমাদের ২ টা জমজ মেয়ে আছে অয়নী আর সায়নী।তোমার মতো হয়েছে দেখতে।এ পৃথিবীর আশে পাশে আরো অনেকগুলো পৃথিবী আছে।যা আমরা দেখতে পাই না।

এই দুনিয়াতে তুমি আমার না কিন্তু ঐ দুনিয়াতে আমার হয়েছো। সমান্তরালে আমরা পাশাপাশি থাকি!”আমি এবার চিৎকার করে কেঁদে উঠলাম। অথচ আমি কিনা এতদিন ভাবতাম অয়ন আমাকে ঠকিয়েছে। আর কেয়া কে এতো বিশ্বাস করতাম। সেই ক্লাস সেভেন থেকে শুরু হয়েছিল সেটা আসলে স্বপ্ন ছিল না।অয়নকে মেরে ফেলার পরেও ওরা কতো স্বাভাবিক ছিল আমার সাথে।নাহ এর বিচার হবেই। কিন্তু ঐ ফেসবুক আইডি আর অস্তিত্ব নাম এগুলোর?অয়ন হাসলো।বললো,”আমি রাফিকে বলেছি সব।ও করেছে আমার জন্যে।

আর তোমাকে ও দেখে রাখবে কারণ আমি এখন চলে যাবো আর আসবো না। বিদায় আমার দোলনচাঁপা। আমি চিৎকার করে ডাকতে থাকলাম। অয়ন দাঁড়াও। আসলে তুমিই আমার অস্তিত্ব!দাঁড়াও। কিন্তু না অয়ন চলে গেল আমার অস্তিত্ব কে শূন্য করে। পুলিশ কাকুকে ফোন দিলাম সব কিছু বললাম।

কাকু প্রথমে বিশ্বাস না করলেও আমি জানি সে যাবে ওদের বাড়িতে। আর সত্যিটা তখনই জানবে সবাই। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমি আর কোনদিনই ঐ স্বপ্নটা দেখবো না। কিন্তু এটা আমি চাই না। তাই আগেই বাবার ঘুমের ওষুধের কৌটা টা খালি করে দিয়েছি‌। আসলে যেখানে অয়ন নেই সেখানে আমারও অস্তিত্ব নেই।

আমি আসছি ভালোবাসা তোমার কাছে।পরদিন সকালে পুলিশ এসে অধরার বডিটা গাড়ীতে তুলছে। আর প্রতিবেশীরা বলা বলি করছে মেয়েটা বান্ধবীর খুনের ধাক্কাটা নিতে পারে নি। আহা রে বড় ভালো মেয়ে ছিল। ঐ দূর অন্তরীক্ষ থেকে মৃদু হেসে উঠলাম আমি।সব সত্য সবার জানতে নেই। কারণ সব সত্যের অস্তিত্ব থাকে না।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url