অমীমাংসিত সত্য
অমীমাংসিত সত্য
শেষ রাতে লক্ষ্মী পেঁচার চোখে নৃত্যময়ী এক অশরীর শরীর,
ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো নগ্ন চোখের কামনা!
বট তলায় জলে ভেসে এসেছে এক নামহীন ধর্ষিতার দেহ,
পুষ্প তোরণে সেই ধর্ষকের কোন সভায় হচ্ছে হয়তো উল্লাস!
অতঃপর নতুন সূর্যে আবার রাঙাবে এই সমাজ,
পেঁচাটা আসন বদলে নিবে তেঁতুল গাছের নতুন ডালে।
জটা পাগলার কবরে সাইনবোর্ডে লিখা হয়েছে পীর বাবা!
শকুনের পালকে অঙ্কিত বেনামী আলপনা।
বিকৃত বিশ্বাসে একদল নিকৃষ্ট লোকের অধর্মের সমাজ
-যেনো বাজপাখির নখে আঁকড়ে থাকা নীল বিষধর সাপ।
অতঃপর একদল পিশাচ রাতের আঁধারে জোনাকির বেশ ধরে,
শক্ত হাতের নরম থাবায় বুঝিয়ে দেয় ওরা মানুষ খেকো নয়।
অনিয়ন্ত্রিত আবেগী প্রশ্রয়ে সিঁথির সিঁদুরে বেহুলার পণ,
সময় সঙ্গমে নিয়ন্ত্রনহীন স্বনিল মেঘবালা সুদূরে দাঁড়িয়ে থাকে।
বিসর্জিত শ্লোকে গাঁথা সমাজের সংস্কার-ধর্মের গ্লানি ধুয়ে পদ্মাসনে মনুষ্যত্বহীন ধর্মেরষাঁড়।
অতঃপর খুবলে খাওয়া চাঁদের শরীরে প্রেতাত্মার জয়?
নরকুণ্ডে- পশুত্ব সমাজের আধিপত্যের অমীমাংসিত বিজয়।
ইন্দ্রিয় অনুভূতিতে আমরা মৃত-শুষ্ক ঠোঁটে মিশে থাকুক রক্তের ছোপ ছোপ দাগ!
চোখের কার্নিশে মিশে থাকুক শকুনের থাবার কালো চিহ্ন।
চুম্বকীয় গ্রীবাদেশে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর কপালের উঠোনে ছড়িয়ে থাকুক রহস্যময় তিন ফলা ভাঁজ।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com