অশরীরীর মায়া

একধারে টানা তিনঘন্টা ধর্ষনের পর, যখন ওরা চারজন বুঝতে পারলো ওদের চাহিদা শেষ তখন ওরা চিন্তায় পরে গেলো এই মেয়েটাকে এখন কী করা যেতে পারে??

আবিদ:- দোস্ত রাগের মাথায় তো এসব করে ফেললাম। এখন এর কি করবো..?

রকি:- এখানেই ফেলে চলে যাই।

রাফসান:- রকি ঠিক বলেছে। একে দেখে মনেই হচ্ছে, এর আর ওঠার শক্তি নেই। এখানেই মরে যাবে।

জনি:- কিন্তু যদি কোনো মানুষ এখানে আসে বা যদি ও কোনোমতে বেঁচে যায় তবে আমাদের কী হবে জানিস তো!?

রকি:- কী করবো তাড়াতাড়ি ঠিক কর।

জনি:- এখানেই মাটিচাপা দিয়ে দেই।

কী বলিস..??

রাফসান:- তাই কর। ওকে মেরে ফেল। কিন্তু কে মারবি ওকে..??

এদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী আর রগচটা হলো জনি। ওর আবার কথায় কথায় রাগ করার অভ্যাস!!

জনি:- আমি যাচ্ছি।

এবার জনি চলে গেল তুলির কাছে, ততক্ষণ ওর (তুলির) একটু জ্ঞান ফিরেছে।

তুলি:- প্লিজ আমাকে মারবেন না। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের কারো বিরুদ্ধে আমি কিছুই করবো না। প্লিজ আমাকে এবার ছেরে দিন।

জনি:- তুই যে আমাদের জন্য বিপদ।

তুলি:- আমি কথা দিচ্ছি কোনো কিছু হবেনা।

জনি:- তোর কথায় আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই। তোকেতো মরতেই হবে।

তুলি :- প্লি…..আর কিছু বলতে পারলো না। ততক্ষণে জনি ওর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেছে। তুলি মরে গেলো। ওরা চারজন মিলে ওকে ওখানেই মাটিচাপা দিয়ে চলে আসলো।

এবার আসুন flashback এ..!

জনি, রকি, রাফসান, আবিদ এরা চারজন খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। ওরা একই এলাকায় থাকে। আর ছোটোবেলা থেকেই ওরা সবকথা একজন অন্যজনকে বলে।

তুলি এই এলাকায় নতুন এসেছে। রকি যে ফ্ল্যাটে থাকে, ওখানেই তুলি আর ওর পরিবারের সবাই উঠেছে। রকিদের সঙ্গে ওদের পরিবারেরভালোই সম্পর্ক হয়েছে।

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেনো তাহলে তুলির সঙ্গে এমন হলো।

তুলিকে রকির অনেক ভালো লাগতো। রকি চেয়েছিলো তুলিকে বিয়ে করবে।

কিন্তু তুলি রাজ নামের এক ছেলেকে পছন্দ করতো। তুলিকে রকি অনেক বুঝিয়েছে।

কিন্তু কাজ হয় নি। আর সেদিন রকি একটু জোর করতেই তুলি ওকে চর মারে।

তখন রকি আর ওর বন্ধুরা মিলে এই প্লান করে।

তুলি প্রতিদিন কোচিং শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে।

আজ ও তাই হচ্ছিলো। কিন্তু আজ ও একা নয়, রকি ও তার বন্ধুরা ওকে ফলো করতে করতে আসছিলো।

তুলি যেই একটা গলির ভেতর এসেছে তখন ওরা ওকে ক্লোরোফরম দিয়ে অজ্ঞান করে ওই জঙ্গলে নিয়ে যায়।তুলির জ্ঞান ফেরার পর,

ও রকিদের কাছে অনেক মিনতি করে কিন্তু ওরা ওর ওপর এইঅমানুষিক নির্যাতন করে আরতুলিকে মেরে ফেলে।

তো এবার নিশ্চয়ই বূঝতে পেরেছেন এইঘটনা। কয়েকদিন হয়ে গেছে তুলিরখোঁজ নেই।

সবাই অনেক খুঁজেপুলিশ ও ওর কোনো খোঁজ পায়নি। জনিরা হাঁফ ছেরে বাঁচলো।

২ বছর পর

এখন তো সবাই ভূলেই গেছে তুলির কথা। কারো মনে আর সেদিনের কথা নেই।

ওরা চার বন্ধু এখন যে যার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। রকি আর জনি এখন বিবাহিত।

ওরা এখন নিজের স্ত্রীদের নিয়ে পরিবার থেকে আলাদা জায়গায় থাকে।

সেদিন রকি সকালে জিমকরতে গেছে। ফেরার পথে ওর চোখ স্থির হয়ে গেলো। ওর সামনে দিয়ে একটা বাস যাচ্ছিলো। বাসের পেছনের দিকে তুলির মতো একটা মেয়ে….।

চলবে.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url