ধর্ষণের কারন কি?

ধর্ষণের কারন কি?নারীর পোশাক নাকি ভিনদেশী কালচার ফলো নাকি ধর্মীয় শিক্ষার অভাব?আমি বলবো সব।আগেই রেগে না গিয়ে পোস্ট টা পড়লে বুঝতে পারবেন। কোনো এক বিজ্ঞানী একটা কুকুরের উপর কিছুদিনের জন্য একটি পরীক্ষা চালিয়েছে।
কুকুরটাকে আটকে রাখা হয়েছিল।তখন উক্ত পরীক্ষক কুকুরের জন্য প্রতিদিন খাবার আনতেন।তখন খাবার দেখেই কুকুরের লালা ঝরতো।
তার কিছুদিন পরে ঐ লোকটার আওয়াজ শুনলেই কুকুর দৌড়ে আসতো। এরপর একদিন দেখা যায় ঐ লোকটার হাতে খাবার থাকুক না থাকুক তাকে দেখেই লালা ঝরতো।
এর মানে ঐ লোকটার আসার সাথে সাথেই কুকুরের মাথায় সিগন্যাল চলে আসে আর তাই খাবার থাকুক না থাকুক লোকটাকে দেখেই খাবারের আশায় লালা ঝরতো।এখন কথা হচ্ছে নারীর পোশাক। সবাই হয়তো ওরকম আকর্ষণীয় পোশাক পড়ে রাস্তায় বের হয়না।
কিন্তু একবার ভেবে দেখেন তো আমাদের আশেপাশে, টিভি চ্যানেলে, বিভিন্ন পন্যের দোকানে সো কলল্ড স্মার্ট মেয়েদের পোশাক কেমন?
চলাফেরা কেমন?এইযে সারাদিন কত হিন্দি সিরিয়াল, গানের ভিডিও দেখছেন সেখানে কি খুব শালীন পোষাক পড়ে থাকে?যেসব খারাপ ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে।
সুন্দর সুন্দর মেয়েদের দিয়ে আকর্ষণীয় পোশাক পড়িয়ে কতশত টিভি এ্যাড আর লাইভ ভিডিও করানো হচ্ছে । একটা ছেলের মাথা খারাপ হতে এর চেয়ে বেশি কি লাগে?এখন বলবেন বোরকা পরা মেয়েদের সাথে কেনো এমন হয়?তখন বলবো ঐ কুকুরের কথাটা ভাবেন।
সারাদিন এতো আকর্ষণীয় মেয়েদের দেখার পর মেয়েটি বোরখা পড়াই থাকুক কুকুরের মত ছেলেদেরও ঐ রকম সিগন্যাল চলে আসে।তখন সে বোরখা পড়া নাকি বয়স্ক নাকি মেয়ে নাকি ছোট বাচ্চা ওসব মাথায় আসেনা।
মাথায় আসে সে একটা মেয়ে। মাথায় আসে তাকে দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এখন আসি কালচার। আগের দিনের কথা ভাবুন তো একবার। যখন প্রেম করতে হলেও হাজার বার ভাবতে হতো। আর এখন তো জাস্ট ফ্রেন্ড,বেস্ট ফ্রেন্ড,বয় ফ্রেন্ড অভাব নাই। ক্লাস ২/৩ বাচ্চারাও এসব বোঝে আজকাল।
অথচ এই সময় তাদের খেলাধুলা করার কথা। আল্লাহ তাআলা আমাদের মেয়েদের পর্দার আগে ছেলেদের দৃষ্টি নত করতে বলেছেন।
আজ যদি ঘরে ঘরে হিন্দি সিরিয়াল গানের ভিডিও না ছেড়ে মসজিদ বা মক্তবে পাঠানো হতো তবে তারা হিন্দি গান মুখস্থ না করে কিছুটা হলেও আদব কায়দা শিখতো।
স্কুল কলেজে এসব ধর্মীয় শিক্ষার মান উন্নয়নে আরো কাজ করার দরকার ছিলো।সব শেষে বলবো আগে নিজের জায়গা থেকে সংস্কার শুরু করি যদি কিছুটা হলেও কম হয়।
No comments