Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৩

– ঠিক আছে,
ওকে বলেদিস ফাস্ট ফুড গুলো খেতে ভালো হয়েছে। রাতে ও শপিং মলে এসে দেখতে পায় মিসেস মাহির এসেছে। ও ছুটে গিয়ে মা কে জড়িয়ে ধরে বলে..
– তুমি কি ভুলে গেছো আমাকে? উনি উওরে বলে..
– তুমি কে? আমি তো চিনিনা তোমাকে? আমার চারটি সন্তান আর একটি সন্তান মরে গেছে। কারণ সে আমার স্বামী কে সবার সামনে ছোটো করেছে। তাই তুমি দয়া করে আর কখনো মা বলে ডেকো না আমাকে? মাহির সাহেব কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্ত্রীর ব্যবহারে বেশ খুশি হয়েছে। মিম ওর শপিংমলের বিল চুকিয়ে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় বেড়িয়ে পরেছে। হঠাৎ কেউ ওকে রাস্তার এক পাশে নিয়ে এসে বলে..
– আপনাকে কি পাগলে পেয়েছে? এখনি পরে যেতেন বাসের নিচে?
ও সামনে তাকিয়ে দেখে,
ইমান চেয়ে আছে ওর দিকে। ইমান খুব ভালো করেই চিনতে পেরেছে ওকে। সেদিনের কথা ভেবে মৃদু হেসে বলে..
– আপনি চাইলে,আপনার বাসা অব্দি ছেড়ে আসতে পারি আপনাকে?
– তার প্রয়োজন হবেনা,
ধন্যবাদ আপনাকে। কিছুক্ষণ পর ইমান এসে ওকে বলে..
– এই মুহূর্তে অটো পাওয়া যাবে না। এই এরিয়া তে।ও কথা না বলে চুপচাপ গিয়ে বসে পরে ইমানের পাশে। ও চুপচাপ তাকিয়ে আছে মিমের মুখের দিকে। কাল ঈদ অথচ কোনো হাসি নেই মেয়েটির মুখে। অনবরত গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে ওর চোখ থেকে। বাসার গলির মোড়ে এসে ইমানকে বলে..
– গাড়ি থামিয়ে দিতে। গাড়ি থামানো মাত্রই ও ছুটে গিয়ে স্লিপ করে পরে যায় রাস্তাতে। ইমান এসে সাহায্য করতে চাইলে ও পালিয়ে আসে সেখান থেকে। বাসায় এসে ও চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পরে বিছানাতে রুহান ওকে ফোন করে বলে..
– তুই এখনো ঈদের উইশ করলি না আমাকে? ও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে..
– ক্ষমা করে দে ভাই আমার ভুল হেয়ে গেছে। ইমান রুহানের সামনে বসে ছিল গল্প করছিল ওর সাথে। হঠাৎ রুহান ওকে জিজ্ঞেস করে,
– Are you crying? তুই কাঁদছিস?
– কোই না তো?
তোর কি মাথা ঠিক আছে? ও সাথেসাথে ফোন কেটে দিয়ে বলে..
– মা আমি গেলাম মিমের কাছে। ভাইয়া তুমি কি যাবে আমার সাথে?
ইমান হাটতে বেড়িয়ে যায় ওর সাথে। সেই গলির কাছে এসে ইমান ওকে জিজ্ঞেস করে,
এখানে কে আছে?
– কেন তোমার বউ? আমার ভাবি দেখতে চাওনা তাকে? মিমের রুমে নক করে দেখে,
দরজা খোলা আছে। কৌতুহল বশত তাড়াতাড়ি রুহান ওর ঘরে ঢুকে দেখে,
ও বিছানায় শুয়ে আছে। গায়ে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
তোর কি জ্বর এসেছে?
– না তো? তুই কেন এলি এতো রাতে?
– হলে ভাইয়া বসে আছে।
– তুই যা আমি কফি করে আনছি।
– ঠিক আছে,
তার আগে বল কেঁদেছিলি কেন এভাবে?
– ও কিছুনা,
হলে যা ভাইয়া একা বসে আছে। ইমান রুহানের সাথে কথা বলতে বলতে খেয়াল করে দেখে,
কেউ নুপুরের আওয়াজ করতে করতে এগিয়ে আসছে ওর দিকে। কফির মগ টা এগিয়ে দিয়ে বলে..
– খেয়ে দেখুন তো ভাইয়া কেমন হয়েছে? ওর বারবার মনে হচ্ছে কোথায় যেন দেখেছে মেয়ে টাকে?
তবুও কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করে বসে,
তুমি কি এভাবেই পর্দা করো বাড়িতে? রুহান মৃদু হেসে বলে..
– বুঝতে পারছনা ভাইয়া? লজ্জা পেয়েছে তোমাকে দেখে।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com