Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -০২

কেউ কি বোম মেরেছে আপনাকে? স্নেহা হাসতে হাসতে বলে..
– নাচতে নাচতে গিয়ে এক ব্যাটার গায়ে ধাক্কা মেরেছে। মিম মুখ ভেংচে বলে..
– তো? আমি তো ক্ষমা চেয়েছি তার কাছে? রুহান ওর ব্যাগপএ ড্রাইভার কে দিয়ে বলে..
– বাসায় নিয়ে যেতে। তারপর রেস্টুরেন্টে খেতে যায় ওদের সাথে। কথায় কথায় বলে..
– আমার বড় ভাইয়া ফিরেছে লন্ডন থেকে। রিমঝিম বলে।
– তুই না একা? তোর ভাইয়া এলো কোথা থেকে? মিম মৃদু হেসে বলে..
– হয়তো ওর চাচাতো ভাইয়ের কথা বলতেছে?
– হ্যা তবে মিম,
মা তোকে আজ বাসায় যেতে বলেছে।
– আচ্ছা ঠিক আছে। বাসায় এসে মিম মিসেস রিয়া কে জিজ্ঞেস করে,
– আন্টি তুমি ডেকে পাঠিয়েছ আমাকে?
– হ্যা মা একটু পিৎজা,বার্গার ও স্যান্ডুইচ বানিয়ে দিবি আমাকে? আমার বড় ভাসুরের ছেলে ফিরেছে বিদেশে থেকে আর তুই তো জানিস? আধুনিক রান্নায় রসগোল্লা আমি তাই ডেকে পাঠিয়েছি তোকে।
– তুমি রান্না ঘরে যাও,
আমি ফ্রেশ হয়ে আসি রুহানের ঘর থেকে। তখনি ইমান ফোন চাপতে চাপতে বেড়িয়ে আসে ওর ঘর থেকে। মিম ওকে দেখা মাএই ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে যায় দরজার এক পাশে। ইমান ওকে এক পলক দেখে মিসেস রিয়া কে জিজ্ঞেস করে,
এই মেয়ে টা কে?
– তোর ভাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড বাবা,
আমাকে রান্নায় সাহায্য করতে এসেছে। ও কোনো কথা না বলে চুপচাপ রান্নাঘরে চলে এসেছে। বিড়বিড় করতে করতে বলে..
– এই মরাটা এ বাড়িতে কোথা থেকে এসে জুটেছে? তখন ইমান এসে বলে..
– আপু একটু গরম পানি করে দেওয়া যাবে আমাকে? ও মনেমনে বলে..
– ব্যাটা কি আমাকে কামের বেটি জরিনা পেয়ে বসেছে? পাঁচ মিনিট পরপর এসে এটা সেটা আবদার করতেছে? ও মৃদু হেসে বলে..
– রাগ করবেন না প্লিজ।
– ঠিক আছে,
দয়া করে আপনি এখন চলে জান এখান থেকে। ইমানের মনে হলো যেন এই কন্ঠ টা কোথাও শুনেছে আগে? ও কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি রুহান এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওকে। হাসতে হাসতে বলে..
– হঠাৎ ঘোমটা কেন কি হয়েছে? ও লজ্জা পেয়ে বলে..
– আগে তো বলিসনি বাড়িতে গেস্ট এসেছে?
– আরে ও আমার ভাইয়া। আগেই তো বলেছি তোকে? ও বেচারি রান্নাবান্না করে একরকম পালিয়ে এসেছে ওখান থেকে। মিসেস রিয়া এতো করে বললো,
তবুও খেতে বসলো না ওদের সাথে। রুহান ওর ব্যস্ততা দেখে বুঝলো নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে? ইমান খেতে খেতে বলে..
– ভাবি তো পালাই পালাই করছে আমাকে দেখে? তুই বুঝি খুব ভালোবাসিস মেয়ে টা কে? রুহান হাসতে হাসতে বলে..
– কিছু জিনিস দূর থেকেই সুন্দর বড় ভাইয়া ঠিক আছে? ও আমার বেস্টফ্রেন্ড আমি সেভাবেই ভালোবাসি ওকে।
– কিন্তু রুহান,
আমার যে অন্যকিছু মনে হয়েছে?
– হ্যা আমি ভালোবাসি ওকে। তবে সেই নজরে ও দেখে না আমাকে আর আমি চাইনা এই কথা গুলো বলে,
ওকে আরো কষ্ট দিতে। যদি বন্ধুত্ব টা নষ্ট হয়ে যায়? আমি হারাতে চাইনা ওকে। মেয়ে টা এমনিতেই মনমরা হয়ে থাকে। ভাবছি তোর সাথে বিয়ে দেবো তোকে। তুমি যেমন মেয়ে পছন্দ করো,ও ঠিক তেমন।
– ঠিক আছে,
ওকে বলেদিস ফাস্ট ফুড গুলো খেতে ভালো হয়েছে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com