হৃদয়ের দহন । লেখিকা- সুরিয়া মিম
– মাহির সাহেব আজ জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেলেন তার মেজো মেয়েকে। মিম পালিয়ে এসেছে বিয়ের আসর থেকে। রুহান ওর হাত ধরে বলে..
– চিন্তা করিস না। আমি আছি তোর পাশে। মা তুমি ঘরে নিয়ে যাও ওকে। আঙ্কেল কে খবর দিতে হবে,
না হলে চিন্তায় মরে যাবে। মাহির সাহেব সকালে রুহানের বাসায় আসে। মেয়ে কে দেখে বলে..
– আমি কখনো ক্ষমা করবো না তোমাকে। তুমি আমাকে ছোটো করেছ সবার কাছে। তুমি আমার সন্তান নও আমি তেজ্য করলাম তোমাকে এবং তোমার যা কিছু ছিল সব রাখা আছে এই ব্যাগে। দয়া করে তোমার এই মুখটা দেখাতে এসো না আমাকে। ও হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে,
– কেন তুমি এমন করলে আমার সাথে? তুমি না বাবা? বড় আপুর সাথে মিলে তুমি ও ঠকালে আমাকে? ও জেনে-বুঝে সম্পর্কে জড়িয়েছে আমার মানুষ টার সাথে আর তুমি তার বিচার না করে। ওকে বিয়ে দিয়ে দিলে রোদ্দুরের সাথে?
কেমন মানুষ তুমি? বড় মেয়ের সুখ স্বাচ্ছন্দই মুখ্য তোমার কাছে? আর তার জন্যে তেজ্য করতে এসেছ আমাকে? রাস্তায় ভিখারি দেখলে ও হয়তো আমি ছুটে যাবো তার কাছে। তবে তুমি পরে থাকলে চেয়ে ও দেখবো না তোমাকে। তুমি এখন আসতে পারো এখান থেকে,তোমার যোগ্য সন্তান আমি হয়ে উঠেতে পারলাম না। তাই পারলে ক্ষমা করে দিয়ো আমাকে।
রহমান সাহেব চুপ করে তাকিয়ে আছেন মিমের দিকে। মাহির সাহেব আর কোনো কথা না বাড়িয়ে পা বাড়ায় গেটের দিকে। মিসেস রিয়া সাথেসাথে বুকে জড়িয়ে নেয় ওকে সে বুঝতে পরেছেন কত কষ্ট থেকে মিম কথা গুলো বলেছে বাবাকে। রুহান ওর চোখের জল মুছে দিয়ে বলে..
– আমরা তো আছি? তুই থাকবি আমাদের কাছে?
– সেটা হয়না রুহান,
নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে আমাকে। আমি নিজের জন্যে কিছু করতে চাই।
– ঠিক আছে,তার জন্যে না হয় আমি সাহায্য করবো তোকে?
– তার আগে অল্প টাকায় একটা ভাড়া বাড়ি খুঁজতে হবে আমাকে। রহমান সাহেব ওর মাথায় হাত রেখে বলে..
– চিন্তা করিসনা না মা,সেটা না হয় আমি খুঁজে দেবো তোকে?
– আচ্ছা ঠিক আছে।
দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেছে,
মিম রুহানকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে গিয়ে নাচতে নাচতে ধাক্কা খায় ইমানের সাথে। বেচারি ভয়ে ভয়ে বলে..
– sorry sorry.you are not my man.l mean আমার ভুল হয়ে গেছে। ও চুপ করে তাকিয়ে আছে মিমের দিকে। স্নেহা ওকে খোঁচা মেরে বলে..
– আরো ঢোল ডাগর বাজাতে বাজাতে আয় এয়ারপোর্টে? চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছি এটা আমাদের রুহান না। তারপর ও নেচে নেচে যাচ্ছে লোকটার কাছে। ইমান ওর কথা শুনে হাসতে হাসতে গিয়ে বসে গাড়িতে। রিমঝিম বলে..
– জানিস মিম “I’m your lol” বলেছে লোকটাকে?
– সো হোয়াট? আমি তো ক্ষমা চেয়েছি তার কাছে। স্নেহা বলে…
– ওনার হাতে রোলেক্সে ব্রান্ডের ঘড়ি ছিল দেখেছিস আগে? রিমঝিম বলে..
– হ্যা রে ইম্পোর্টেড মাল দেখেই বোঝা যাচ্ছিল লোকটা কে? আর ওনার সাথে বাইশ জন গার্ড ছিল বাবা। তার অনেক টাকাপয়সার আছে? মিম বিরক্ত হয়ে বলে..
– বাদদে না,রুহ কোথায় আছে? হঠাৎ ও মিমকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে..
– বেস্টি ভয় পাচ্ছিস কেন? একটু ইমিগ্রেশনে দেরি হয়ে গেছে এবার একটু হাসেন ম্যাডাম। কেউ কি বোম মেরেছে আপনাকে?
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com