আবছা আলো । পর্ব -০৪

নিশিতাঃ(একটু আগে ছাঁদ থেকে নেমে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিয়েছি,,, 
তারপর রাতের খাবার রেডি করে রুমে চলে এলাম,,,, 
এশারের নামাজ পরে একটু পড়তে বসলাম,,,, 
জানি না পরিক্ষা দিতে পারবো কিনা তবে পড়াশোনা বন্ধ করিনি,,,। 
এতে একাকিত্ব ঘুচবে আবার পড়াশোনাও হবে,,,। 
এখান থেকে চলে গেলে পরিক্ষাটা দিতে পারবো,,, 
অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি,,,, একাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট,,,, 
টিউশন পড়াও প্রয়োজন কিন্তু এই বাড়ি থেকে এক কথায় তা অসম্ভব,,,, 
তাই যতটা পারি নিজেই চেষ্টা করি,,,)
খালামুনিঃ মহারাণী কী আজ আমাদের খাবার দিবে,,,??
নিশিতাঃ আসছি খালামুনি,,,(পড়তে পড়তে কখন নয়টা বেজে গেছে টেরই পাইনি,,, 
খাবার সাজিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম,,, খালুজান আর খালামুনি খেতে শুরু করলেন,,,, 
আমি সবসময় সবার খাওয়া শেষেই খাই,,, যেদিন ইচ্ছে না করে সেদিন খাই না,,, 
খেতে জোর করার মানুষও নেই,,, কথাটা মনে করে ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটে ওঠলো,,, 
না,,না কষ্টের নয় তাচ্ছিল্যের,,)
খালামুনিঃ বর্ষণ আসবে শুনেছিস তো,,,??

নিশিতাঃ জী খালামুনি,,,
খালামুনিঃ বর্ষণ কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে চলে আসে,,, 
আবার চলেও যায় না জানিয়েই,,, তাই আগামীকাল সকালে উঠে ওর রুম পরিষ্কার করবি,,,, 
এক কণা ময়লাও যেনো না থাকে,,, অপরিষ্কার একদম পছন্দ করে না বর্ষণ,,,,
নিশিতাঃ ঠিক আছে,,,, করে দিবো,,,,(সবার খাওয়া শেষে আমিও কিছু খেয়ে রুমে চলে এলাম,,,, আলমারি থেকে ডাইরিটা বের করতে দিয়ে শ্রাবণের ড্রেসগুলো চোখে পড়লো,,,, 
এখনো সেভাবেই আছে সব ড্রেস,,, একটা শার্ট হাতে নিলাম,,, 
এখনো শ্রাবণের ইউজ করা পার্ফিউমের তিব্র ঘ্রাণ আসে এগুলো থেকে,,, 
একবার গন্ধ নিয়ে আবার আগের মতো রেখে দিলাম,,,, একপাশে আমার ড্রেস ভর্তি,,, 
সব শ্রাবণই রেখে গিয়েছে,,, অনেক রকমের ড্রেস,,,তবে বেশিরভাগ সাদা,,, 
শ্রাবণের সাদা রং খুব পছন্দ ছিলো,,, কী অদ্ভুত ব্যাপার,,,?? 
আজ তার পছন্দের রঙেই আমার জীবন রাঙিয়ে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে,,, 
কেমন আছো শ্রাবণ,,,?? আমি ভালো নেই,,, 
বাবা মা তো হয়তো ভালোবাসতো না তাই একা ফেলে চলে গেছে,,, 
কিন্তু তুমি তো আমাকে ভালোবাসতে,,, তুমি কেনো একা রেখে চলে গেলে,,,,,
ডাইরিটা আর বের করা হলো না,,, আলমারি বন্ধ করে বেলকনিতে চলে গেলাম,,,, 
বেতের চেয়ারটায় হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে নিলাম,,,, 
অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আছি,,, 
কখন যে চোখ লেগে এলো বুঝতেই পারলাম না,,,)

শ্রাবণঃ নিশু,,,,,
নিশিতাঃ হুম,,,
শ্রাবণঃ জানিস,,, ভালোবাসা একটা অদ্ভুত জিনিস,,,, 
ভালোবাসা যখন সুখ দেয় তখন মনে হয় পৃথিবীতে এর থেকে সুখের অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না,,,
নিশিতাঃ আর যখন কষ্ট দেয় তখন মনে হয় এর থেকে যন্ত্রণা পৃথিবীর আর কিছুতেই হয় না,,,,।
শ্রাবণঃ ঠিক বলেছিস,,,, 
আমাদের মনে হয় জীবনের সুখের মুহূর্তগুলো অনেক কম হয়,,, 
কিন্তু এটা ভুল,,, 
জীবনে সুখের মুহূর্তগুলোই বেশি হয়,,, 
কিন্তু সুখে থাকি বলে আমরা সেটা উপলব্ধি করতে পারি না,,,, 
আর কষ্ট আমাদের প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু যন্ত্রণা দেয় তাই মনে হয় এর বুঝি শেষ নেই,,,। 
মনে রাখিস সব কিছুরই যেমন শুরু আছে তেমন শেষও আছে,,,,, 
ধৈর্য্য ধর দেখবি এই কষ্টের সময়টা খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে,,,
রাতের অন্ধকারের পর ভোরের আবছা আলো পৃথিবীকে অন্ধকার মুক্ত করে আবার ভোরের আবছা আলোর পরই দিনের তিব্র আলো পাই আমরা,,,,
নিশিতাঃ সূর্য ডোবার পর সন্ধ্যা লগ্নেও আবছা আলো থাকে কিন্তু তারপর দিনের তিব্র আলো নয় রাতের ঘন অন্ধকার নেমে আসে,,,,
শ্রাবণঃ কিন্তু তোর জীবনে তো এখনো দিনই আসেনি তাহলে রাতের অন্ধকার কোথা থেকে আসবে,,,, আবার রাতের অন্ধকার আসার জন্য হলেও আগে দিনের আলো আসতে হবে,,,,। 
রাতের গভীর অন্ধকারের পরে ভোরের আবছা আলো হয়ে আমি এসেছিলাম তোর জীবনে
আর দিনের তিব্র আলো হয়ে আসার অপেক্ষায় হয়তো অন্যকেউ আছে,,,,।
তবে মনে রাখিস আলো আর অন্ধকারের মাঝে আবছা আলো হয়ে সবসময় থাকবো আমি তোর জীবনে,,,
নিশিতাঃ কিন্তু কবে আসবে সেই দিনের তিব্র আলো,,,,??? 
কবে ঘুচবে আমার জীবনের এই গভীর অন্ধকার,,,??

নিশিতাঃ শুনতে পাচ্ছো তুমি শ্রাবণ,,,, কবে আসবে সেই দিন,,, 
আমি যে এই অন্ধকারে আলোর খোঁজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পরেছি,,, বড্ড ক্লান্ত,,,
শ্রাবণঃ অপেক্ষা কর,,, তবে আমাকে ভুললে চলবে না,,, 
আমিও যে তোকে ভালোবাসি (ফিসফিস করে,,,)
নিশিতাঃ (ধরফরিয়ে উঠে বসলাম,,, জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি,,,,
এই শীতেও কপালে ঘাম জমে গেছে,,, এখনো বেলকনির চেয়ারটায় বসে আছি,,,
তাড়াতাড়ি উঠে রুমে গিয়ে দেখি রাত দুটো বাজে,,, কেমন অস্থির অস্থির লাগছে,,,
জগ থেকে পানি নিয়ে এক গ্লাস পানি ঢকঢকিয়ে খেয়ে ফেললাম,,,
প্রতিটা রাতেই শ্রাবণের কথা শুনে ঘুম ভেঙে যায় আমার,,,,
ওযু করে এসে তাহাজ্জুদের নামাজ পরে নিলাম,,, নামাজ শেষে শ্রাবণের জন্য দোয়া করে,,,,,
উঠে জায়নামজ ভাজ করে রেখে শ্রাবণের ছবির দিকে তাকালাম,,,,,)
আমি কোনোদিনও তোমাকে ভুলবো না,,, কোনোদিন না,,,,,

বর্ষণঃ এতোগুলা বছর চলে গেছে তবু তোকে ভুলতে পারলাম না কেনো বলতো,,,??
শুধু তোর জন্য ভার্সিটির ক্রাশবয়ের কোনো গার্লফ্রেন্ড ছিলো না,,,,
যেখানে বর্ষণ খানের সাথে একবার কথা বলার জন্য মেয়েরা পাগল,,,
আর সেই বর্ষণ খান কিনা একটা মেয়ের দশ বছর আগের একটা ছবি বুকে আঁকড়ে পরে আছে,,,,
ভাবতে পারিস,,,?? জানিস অনেকবার চেষ্টা করেছি তোর জায়গায় অন্যকাউকে বসাতে কিন্তু প্রত্যেকবার ব্যর্থ হয়েছি,,, ব্যর্থ হয়েছি নিজের কাছে আর তোর কাছে,,, কেনো নিশি কেনো,,,??
(রেগে হাতের মদের গ্লাসটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে,,,)
তোকে নিয়ে তো এখন আমার ভাবাও পাপ,,, তুই যে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী এখন,,,,
না,,না শুধু স্ত্রী নয় বিধবা স্ত্রী,,, তোকে নিয়ে চিন্তা করলেও পাঁপ হবে আমার,,,,।
কিন্তু তুই যে আমার নেশা,,,, সেই ছোটবেলার নেশা,,, এই মদের নেশাও তোর কাছে হার মানে,,,,
দেখনা এতগুলো খেয়েও এক বিন্দু নেশা হলো না,,,,
একটুও ভুলতে পারলাম না তোকে,,,,
আচ্ছা তুই বল না শ্রাবণের সবসময় আমার জিনিসটাই কেনো পছন্দ হতো,,,??
বলতে পারবি,, সেই ছোটবেলা থেকে ওর শুধু আমার জিনিসের ওপর নজর ছিলো,,,,
আর তোকে তো কেড়েই নিলো,,,,,না না তোকে আর এখন আমি ভালোবাসি না,,,
তুই তো এখন আমার ভাবি,, হ্যাঁ বড় ভাইয়ের বউ,,,,(কথাগুলো বলতে বলতেই সোফায় ঢলে পড়লো বর্ষণ)

৫ দিন পর
নিশিতাঃ বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে বসে আছি,,,, 
এখানে সহজে কেউ আসে না,,, 
চোখের পানি লুকানোর জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর পেলাম না,,,, 
বারবার একটু আগে খালামুনির বলা কথাগুলো বড্ড যন্ত্রণা দিচ্ছে,,,
একটু আগে,,,,,
খালামুনিঃ এই নিশিতা,,,, কোথায় তুই,,,,??
নিশিতাঃ এইতো খালামুনি ঘরটা গোছাচ্ছিলাম,,,
খালামুনিঃ তোর সাথে কে যেনো দেখা করতে এসেছে,,, 
আমি রতনকে বলেছি ড্রয়িংরুমে বসতে দিতে,,, কে এসেছে গিয়ে দেখ,,,
নিশিতাঃ ঠিক আছে খালামুনি,,, (খালামুনির কথা শুনে ড্রয়িংরুমে গিয়ে দেখি সুজন,,,
আমার সাথে পড়ে সেই ক্লাস ওয়ান থেকে,,,
তবে ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব আমি কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসতে দেয়নি,,,
লোকে কী বলবে সেই ভয়ে,,,??
সেখানে ও আমার শশুর বাড়ি পৌঁছে গেছে,,,
ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে,,,
খালামুনি যদি জানে একটা ছেলে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে তাহলে কী করবে আল্লাহ জানে,,,??)
স,,সুজন তুই এখানে কী করছিস,,,??
সুজনঃ আজ দুমাস তোর কোনো খোঁজ খবর নেই,,,। 
ফোনেও পাচ্ছি না,,, 
তাই তোর খালামুনির কাছে গেলে সে বললো তুই তোর বড় খালামুনির বাড়িতে আসিস,,, 
তাই এখানে এলাম তোর কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা জানার জন্য,,,,

নিশিতাঃ (আমার ফ্রেন্ড সার্কেল কেউ জানে না আমার বিয়ে হয়েছে কিংবা শ্রাবণ মারা গেছে,,,)
ন,,না আমার কোন প্রবলেম হয়নি,,,,। আমি আর ভার্সিটি যাবো না,,,
শুধু পরিক্ষা দিতে যাবো,,,। তুই চলে যা এখন,,,,
সুজনঃ তোর কী হয়েছে নিশু,,,?? এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো,,,??
আর এই বাড়িতেই আছিস কেনো এতোদিন ধরে,,,??
নিশিতাঃ ত,,তুই চলে যা,, আমি ঠিক আছি,,(আশেপাশে তাকিয়ে)
সুজনঃ কী প্রবলেম আমাকে বল,,,এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো,,,??(হাত ধরে)
নিশিতাঃ(সুজন আমার হাত ধরতেই চমকে তাকালাম ওর দিকে,,,)
খালামুনিঃ নিশিতা,,,,,,,, (আচমকা ধমক দিয়ে)
নিশিতাঃ(হঠাৎ খালামুনির গলা পেয়ে ছিটকে হাত ছাড়িয়ে নিলাম সুজনের হাত থেকে,,,
ভয়ে থরথর করে কাঁপছি আমি,,, কী কী শুনতে হবে আল্লাহ জানে,,,??
ভয়ে ভয়ে খালামুনির দিকে তাকালাম,,)
খালামুনিঃ আমার ছেলেটা মরেছে এখনো তিন মাস হয়নি,,,
আমার বাড়িতে ছেলে এনে ফষ্টিনষ্টি করছিস,,, তোর এতো বড় সাহস,,,(রেগে চিৎকার করে,,)
সুজনঃ উনি কে রে নিশু,,, এসব কী বাজে বকছেন,,??
খালামুনিঃ আমি ওর শাশুড়ী,,,,

সুজনঃ শ,,শাশুড়ী,,,??(চমকে ওঠে) নিশিতা উনি কী বলছেন এসব,,??
তোর বিয়ে কবে হলো,,,??
খালামুনিঃ এই অপয়া কী বলবে,,,?? বিয়ের রাতেই স্বামী খেয়ে স্বাদ মেটেনি,,,
এখন অন্য ছেলের সাথে ঢলাঢলি করছে,,, লজ্জা করে না তোর,,,
সুজনঃ (এসব শুনে মাথা ঘুরছে,,,,
কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না,,,??
কী বলবো,,, অবাক চোখে নিশুর দিকে তাকিয়ে আছি,,,,)
নিশিতাঃ আমার দোষ কোথায় খালামুনি,,,?? আমিও তো চেয়েছিলাম শ্রাবণের সাথে একটা ছোট সংসার সাজাতে,,,, ওর চলে যাওয়ায় আমার দোষ কোথায়,,,?? (কাঁদতে কাঁদতে)
খালামুনিঃ অপয়া,,, অলক্ষী,,, চরিত্রহীনা মেয়ে আবার আমার মুখে মুখে কথা বলছিস,,,,
(চুলের মুঠি ধরে)
সুজনঃ এসব আপনি কী বলছেন,,,?? আমি ওর ফ্রেন্ড,,, আমি শুধু ওকে জিজ্ঞেস করতে এসেছিলাম ও ভার্সিটি যায় না কেনো,,,,??

খালামুনিঃ ও আর কোনোদিনই যাবে না ভার্সিটি,,,
আর এটা জিজ্ঞেস করার জন্য হাত ধরতে হয়,,,?? আমি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি,,,
সুজনঃ ও ভয় পাচ্ছিলো তাই হাত ধরেছিলাম,,, এখন বুঝতে পারছি কেনো ভয় পাচ্ছিলো,,,
আপনার মতো শাশুড়ী থাকলে ভয় পাওয়ারই কথা,,,
খালামুনিঃ বেয়াদব ছেলে কোথাকার,,,
আর কোনোদিন যদি আমার বাড়ির আশেপাশে দেখি তাহলে জেলের ভাত খাওয়াবো,,,
সুজনঃ আমারও ইচ্ছে নেই আপনার মতো বাজে মহিলার মুখোমুখি হওয়ার,,,,
নিশু পারলে এই দোযখ থেকে বের হয়ে যাস,,
নিশিতাঃ (কথাগুলো বলে সুজন গটগট করে চলে গেলো,,,
আচমকা খালামুনি আবার চুলের মুঠি ধরলো,,)
খালামুনিঃ এই অপয়া,,, অলক্ষী,,, চরিত্রহীনা,,,
ফষ্টিনষ্টি করার হলে আমার বাড়ির বাইরে গিয়ে করবি,,,
জানি না আমার ছেলেটা তোর মতো অপয়াকে কী দেখে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়েছিলো,,,
যার মাসূল জীবন দিয়ে দিয়েছে আমার ছেলে,,,(কাঁদো কাঁদো গলায়,,,)
নিশিতাঃ(কথাগুলো বলে খালামুনি চলে গেলো আর আমি ধুপ করে বসে পড়লাম ফ্লোরে,,,
অপয়া,, অলক্ষী উপাধি কম হয়েছিলো,,,
শেষ পর্যন্ত চরিত্রহীনা অপবাদও জুটলো কপালে,,,,
ফ্লোর থেকে ওঠে দৌঁড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুরপাড়ে গিয়ে বসলাম)
নিশিতাঃ(তখন থেকে এখানেই বসে আছি,, চোখ দুটোর বাঁধ ভেঙে গেছে,,,
আচ্ছা আজ শ্রাবণ বেঁচে থাকলেও কী এই অপবাদগ্রস্ত হতে হতো আমাকে) চলেই যখন যাবে তাহলে আমার জীবনে কেন এসেছিলে শ্রাবণ,,,কেন,,,,,কেনো,,,,,,,??
(চিৎকার করে কান্না করতে করতে)
নিশি,,,,,,,,,,
নিশিতাঃ (কারো ডাকে চমকে উঠে পেছনে তাকালাম,,, এদিকে তো কেউ আসেনা,,,,)

চলবে,,,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url