Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৯

– বাবা অন্যদিন এসে কথা বলবো তোমার সাথে আপাতত আমার পাতানো শশুর অগ্নিশর্মা হয়ে আছে। মিম ওর কথা শুনে হাসতে হাসতে বলে..
– হ্যা প্লিজ চলো এখান থেকে। বাসায় এসে ইমান ওর হাত টেনে ধরে বলে..
– আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগতেছে। যাই হোক কালকে তো দোল খেলবে বন্ধুদের সাথে? ও মৃদু হেসে বলে..
– সে নয় কাল ভেবে দেখা যাবে? এখন জামাকাপড় ছেড়ে আসো তোমাকে খেতে দিতে হবে। আচ্ছা তুমি বললে না ভাইয়া আঙ্কেল কোথায় আছে?
– ফ্রেশ হয়ে এসে বলছি তোমাকে,
তবে আমাকে কিন্তু নিজের হাতে খাইয়ে দিতে হবে? ও মাথা নাড়িয়ে বলে..
– ঠিক আছে,
তুমি জামাকাপড় ছেড়ে আসো আগে। ও খেতে খেতে বলে..
– প্রায় দু’বছর আগে বাবার প্লেন ক্রাশ করে ছিল অস্ট্রেলিয়াতে। তারপর থেকে হাসপাতালে ভর্তি কি করবো বলো?
দেখে রাখার মতো কেউ নেই বাড়িতে। ও কি মনে করে বলে ওঠে,
নিয়ে আসুন না এ দেশে? আমরা না হয় সবাই মিলে দেখে রাখবো তাকে?
– দু’দিন পরে বাবা আসছে এ দেশে,
সারাক্ষণ বিছানায় শুইয়ে রাখতে হয় তাকে। চারজন ডক্টর তিন জন নার্স সবসময় বাবার সঙ্গে থাকে। আসোলে কথা বলতে পারেনা তো,
তাই কাওকে না কাওকে রাখতে হয় তার সাথে। পাঁচ পাঁচ বার অপারেশন করা হয়েছে তার গলাতে। ডক্টর বলেছে আর এক সপ্তাহ পর থেকে বাবা কথা বলতে পারবে আমার সাথে। ও ইমানের কপালে চুমু খেয়ে বলে..
– বোকা তুমি?
কাঁদছ কেন এভাবে? আঙ্কেল বুঝি খুশি হবে তোমাকে কাঁদতে দেখে?
– বাবার জন্যেই তো ফিরে এসেছি বাংলাদেশে। আর কিছু না হলে ও চোখের ইশারায় কথা বলে আমার সাথে।
– চিন্তা করো না,
তুমি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। চুপচাপ শুয়ে পরো অনেক রাত হয়েছে। সকালে ইমান ঘুম থেকে উঠে দেখে,
একটা চিরকুট রাখা আছে বালিশের পাশে। তাতে লেখা “উঠে পড়লে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে চলে এসো নিচে”
ও নিচে এসে দেখে,মিম একটা সাদা ব্লাউজের সাথে লাল শাড়ি পরেছে আজকে। ও ফিসফিস করে মিমের কাছে এসে বলে..
– একটু রঙ লাগিয়ে দিলাম তোমাকে? ও হাসতে হাসতে বলে..
– আরে এমনিতেই পরেছি বাহিরে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে৷ ইমান ওকে নিজের কাছে টেনে জিজ্ঞেস করে,
– তুমি ভয় পাও বজ্রপাতের শব্দে? সাথেসাথে কারেন্ট যেতেই ও ইমানকে আঁকড়ে ধরেছে। ও হাসতে হাসতে বলে..
– ভয় পাচ্ছ কেন আমি আছি তোমার সাথে?
– একটু আবেগি হয়ে পরে ছিলাম। বাদদেও না ঠিক আছে,
খেতে বসো তোমার পছন্দের চিকেন রাইস সুপ করেছি আজকে। ও খেতে খেতে খেয়াল করে দেখে,
মিম একটু একটু করে কাঁপছে। ও কে কাছে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে বলে..
– বসো আমি খাইয়ে দিচ্ছি তোমাকে। কি হয়েছে তোমার? ঘরে তো জেনারেটর আছে? ও আমতা আমতা করে বলে..
– আঙ্কেল কি করে আসবে? ঢাকায় তোমার বাড়ি কোথায় বললে না তো আমাকে?
– মিরপুর চৌদ্দ তোমার বাড়ির পাশে। আমি তোমার প্রতিবেশী।
– মানে পাড়া তো ভাই?
ব্যাপার না ঠিক আছে। ইমান ওর গালে হঠাৎ তরকারি লাগিয়ে দিয়ে বলে..
– একটু দোল খেলি তোমার সাথে। ও মৃদু হেসে..
– তুমি একটা দুষ্টু,
যাও কথা বলতাম না তোমার সাথে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com