Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৮

ওর কখনো আগ্রহ ছিল না বাবার টাকাপয়সা ওপরে। মিম রেগে গিয়ে ইমানকে বলে..
– দয়া করে চলো এখান থেকে। ইমান ওর হাত ধরে বলে।
– আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো,আমি কথা গুলো বলতে চাইনি ও ভাবে।
– ছেড়ে দাও বাসায় চলে এসেছি বলো কি খাবে? ও রান্না ঘরে এসে ইস্টের কৌটো দেখিয়ে বলে..
– আমাকে পিৎজা ও পাউরুটি বানানো শেখাবে? ও তখন ময়দা দিয়ে পিৎজা ও পাউরুটির ডো বানানো শেখায় ওকে। ও মিমের হাত ধরে বলে..
– একটু খাইয়ে দেবে আমাকে?
– হ্যা অবশ্যই,
রুহান কে যেভাবে খাওয়াই ঠেসে ঠেসে?
– না বাবা খোক্কশ বলে মনে হয় আমাকে? ও খুব যত্ন করে খাইয়ে দেয় ওকে। ইমান ছলছলে চোখে তাকিয়ে ছিল মিমের দিকে কেউ কখনো এতো যত্ন করে খাইয়ে দেয়নি ওকে। ও মৃদু হেসে বলে..
– ভাইয়া একটা প্রশ্ন করি তোমাকে? তোমার পরিবারে কে কে আছে?
– আমি আর বাবা।
– তোমার মা সে কোথায় আছে? ইমান চেঁচিয়ে বলে ওঠে,
– তোমাদের সবার মতো আমি ভালোবেসে মনে করি না আমার মা কে। ওই মহিলা একটা প্রস্টিটিউট,
ও অন্য লোকের জন্যে ছেড়ে চলে গিয়েছে আমাকে। আমার বাবা অনেক ভালো সে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে আমাকে। তুমি কি জানো? মাএ সাত বছর বয়সে নিজের মা কে অন্য লোকের সাথে উলঙ্গ অবস্থায় বিছানায় দেখতে কেমন লাগে?
ও কোনো কথা না বলে..
– চুপচাপ গিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেছে ওকে। ও লেপ্টে আছে মিমের বুকের সাথে।
কিছুক্ষণ পর,
– শান্ত হও কিছু হয়নি কিছুনা ঠিক আছে? তখন ওর চোখের জল গড়িয়ে পরছে মেঝেতে। মিম সাতপাঁচ না ভেবে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পরেছে ওর সাথে। ইমান সারারাত আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছিল ওকে।
ও সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে,
ইমান নেই ওর পাশে। কিছুক্ষণ পরে দারোয়ান এসে বলে..
– খান বাবা তো অফিসে গেছে। দুপুরে ইমান এসে দেখে ও নেই বাড়িতে। কি মনে করে ও বাড়ির পেছন টায় এসে দেখে,
মিম দাঁড়িয়ে আছে ভ্যানের পাশে। ইমানকে দেখে বলে..
– জানো ভাইয়া ছোটো বেলায় কতবার চরেছি এটাতে?
– উঠে বসো আজ আমি ভ্যানে ঘোরাচ্ছি তোমাকে। তবে তুমি বললে না,
বউ সেজেছ কেন আজকে? ও লজ্জা পেয়ে বলে..
– ও কিছুনা,
তবে সত্যি ঘোরাবে আমাকে? ও কোলে তুলে ভ্যানে বসিয়ে দেয় ওকে। মাহির সাহেব বাড়ির সামনে বসে চা খেতে খেতে হঠাৎ বিষম খায় ওদের দু’জন কে দেখে। একটু এগিয়ে এসে আরিফ মিমকে জিজ্ঞেস করে তোমার কি সম্পর্ক ওনার সাথে?
ও মুখ ফসকে বলে ফেলে,
আমার জামাই মানিয়েছে আমার সাথে? ইমান ওর গালে চুমু খেয়ে বলে..
– দেখেননা ভাই কি ভাবে গলা জড়িয়ে ধরে আছে? রাস্তায় অর্ধেক লোক কানাকানি করছে আমাদের দেখে। সাথেসাথে মাহাথির এসে বলে..
– মেদো পুপি তোলে নাও হামাকে। মিম ওকে কোলে নিতেই মাহির সাহেব এসে দাঁড়ায় ওর পাশে। ও হাসতে হাসতে মিমকে চুমু খেয়ে বলে..
– ততদিন দেথিনা তুমাকে? পুপা আব্বু সুন্দার হামি দাবো তার কাতে। ইমান ওর হাতে একটা চকলেট গুঁজে দিয়ে হাসতে হাসতে বলে..
– বাবা অন্যদিন এসে কথা বলবো তোমার সাথে আপাতত আমার পাতানো শশুর অগ্নিশর্মা হয়ে আছে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com