Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৭

– তোর দশা টা কি? জ্বর বাঁধানোর ইচ্ছে হয়েছে নাকি? ও একটু নার্ভাস হয়ে বলে..
– আমি আসি? রুহান পেছনে ফিরে ইমান কে দেখে জিজ্ঞেস করে,
আরে ভাইয়া তুমি?
– মেয়ে টা আমাদের বাসায় কেন আসে না শুনি?
– ভাইয়া এ ব্যাপারে কিছুই জানি না আমি? তবে ওই ঝামেলার পর ও বেশ অফেন্ডেড হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছি আমি।
সকালে,
মাহির সাহেব ফোনের শপে মিমকে দেখে রেগে গিয়ে বলে..
– আমাকে কি সব জায়গায় অনুসরণ করছ তুমি? ও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে..
– মিস্টার চৌধুরী,
তার প্রয়োজন আছে কি? আমি এই খানে জব করি “Sony mobile phone” এর ব্রান্ড এ্যাম্বেজেডর আমি। আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন,
আপনার সাথে কোনো ফাজলামো করতে এখানে আসিনি।
আরিফ এসে বলে..
– কোনো অসুবিধে হয়েছে কি? ও মৃদু হেসে জাহিদ কে ডেকে বলে..
– ওনার কি অসুবিধে হয়েছে ভাইয়া দেখে দাও দেখি,
মাহির সাহেব বাড়িতে এসে স্ত্রী কে ডেকে বলে..
– ওর (মিম) মতো বেয়াদব মেয়ে আমি আর দুটো দেখিনি। মিশকা এসে বলে..
– পাপা ওর কাছে কেন গিয়েছিলে তুমি? বাদদেও না আমি আজ হোটেল স্টারে ডিনার পার্টির আয়োজন করেছি।
– এই না হলে আমার বড় মেয়ে? তোকে অনেক ভাগ্য করে পেয়েছি। রুহান এসে ওকে তারা দিতে দিতে বলে..
– কি রে রেডি হতে এতো সময় লাগে? যাওয়ার ইচ্ছে নেই না কি? ও বাসা লক করে রুহান কে না দেখেই ইমানের হাতে বেলিফুলের গাজরা টা দিয়ে বলে..
– এটা তাড়াতাড়ি খোঁপায় গুঁজে দে দেখি? ইমান ওর খোঁপায় মালা টা গুঁজে দিয়ে বলে..
– গোজা গুঁজির দায়িত্ব কি আমি নিয়ে রেখেছি?
– তাহলে কেন দিলেন শুনি? রুহান ওর গাল টেনে ধরে বলে..
– মনমেজাজ ভালো নেই নাকি?
– এতো জেনে কাজ কি? হোটেল স্টারে এসে রুহান বলে..
– শুধু মাএ তোর জন্যে,হ্যা তোর জন্যে এ ক্লাস ক্যাভিন বুক করেছি।
– আমি কি করতে বলেছি? আঙ্কেল আন্টি কোথায় গিয়েছে শুনি?
– বাবা-মা নানু বাড়িতে তোকে আগে বলেছি এবং আজ আমি ও নানু বাড়ি যাচ্ছি আর শনিবার যে কোনো সময় ঢাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে।
তাই দয়া করে এ ক’টা দিন তুই ভাইয়ার কাছে থাকবি। ও মুখ ভেংচে ইমানকে উদ্দেশ্য করে বলে..
– একজন কে বলেদিস এটা খাবো ওটা খাবো বলে যেন বায়না না করে? ইমান ওর উদ্দেশ্য রুহান কে বলে..
– হ্যা তুই ও একজন কে বলেদিস ভয় পাওয়ার নাম করে যেন আমাকে জড়িয়ে না ধরে? আজকাল হয় না পান থেকে চুন খসলে এসে গায়ে পরে?
– জানি না বাবা নিজেকে কি মনে করে? তখন ও তাকিয়ে দেখে,
রোদ্দুর মিশকা তাকিয়ে আছে ওর দিকে। মাহির সাহেব আসতেই মিশকা গিয়ে বলে..
– দেখো বাবা দেখো তোমার রাইভেলের সাথে বসে আছে। নিশ্চয়ই এই ইমান ওর কাছ থেকে আমাদের কোম্পানির ব্যাপারে কিছু জানার চেষ্টা করতেছে? মিসেস মাহির রেগে গিয়ে বলে..
– তোমার বুদ্ধি এতো কম মিশকা সেটা তো জানতাম না আগে? ও কয়বার কোম্পানি তে গিয়েছে আর কোম্পানি সম্পর্কে ও কি জানে? তোমার বাবা কখনো কি কিছু শেয়ার করেছে ওর সাথে? ওর কখনো আগ্রহ ছিল না বাবার টাকাপয়সার ওপরে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com