Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৬

আজ ভাইয়ার ও বার্থডে বলতে গেছি আর ভাই এটাই আমার মিম হি হি হি। ও কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে থেকে মিমকে জিজ্ঞেস করে,
আমাকে কেন মিথ্যে বললে তুমি? ও হাসতে হাসতে বলে..
– বাদদেও না প্লিজ ওই আরকি? দেখো এটা তোমার বার্থডে গিফট এতো রাতে শপিংমল খুলিয়ে নিয়ে এসেছি। স্নেহা এবার মিমকে বলে..
– তাহলে এই ব্যাপার? আগে কেন বলোনি? ভাইয়া মিম না আপনাকে দারুণভাবে ভয় পায় জানেন আপনি? ও এবার হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে..
– তাই বুঝি পর্দা করে ঘুরতে তুমি?
– কেক টা কাটবেন না চলে যাবো আমি? ও মিমের পিছুপিছু এসে হাত টেনে ধরে বলে..
– রান্না ঘরে কেন চলে এলে তুমি? ও কেক টা দেখিয়ে বলে..
– আপনার নাম লেখার ব্যবস্থা করতে এসেছি। এতো রাতে নতুন কেকের জন্যে কোনো বেকারি খোলা পাইনি। রিমঝিম তো বললো,কেক বাসা থেকে বানিয়ে এনেছ তুমি?
– তখন তো আর জানতাম না দু’দুটো বার্থডে বয়। তাই আরকি।
– তুমি ভেবেছিলে বাসা থেকে চলে গেছি আমি? ও কেকের ওপরে নজেল দিয়ে সুন্দর করে ইমানের নাম লিখে বলে..
– “Follow me” ও সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে মিমকে জিজ্ঞেস করে,
নিজেকে কি ভাবো তুমি?
– আপাতত কেক টা কেটে নিন তার পরে বলছি। কেক কাটা শেষে ইমান ওর ল্যাপটপ টা নিয়ে সোফায় বসে মিমের উদ্দেশ্য বলে..
– আশাকরি কাজের সময়ে বিরক্ত করবেনা তুমি? ও সবার জন্যে কফি করে নিয়ে এসে ইমানের পায়ে বেঁধে ওর গায়ের ওপরে পরে গেছে। ও চেঁচিয়ে মিমকে বলে..
– তোমার অসুবিধে টা কি? দেখতে পাওনা না কি? ও ভয় পেয়ে বলে..
– দেখুন আমি এটা ইচ্ছে করে করিনি।
– তাতে কি? আমার ল্যাপটপের তো দফারফা হয়ে গেছে। কাজের সময় ডিস্টার্বেন্স একদম পছন্দ করিনা আমি আর তোমার মতো বেয়াদব মেয়ে আমি আর দুটো দেখিনি,
একটা মিথ্যেবাদী তুমি।
– আমি কোনো মিথ্যে বলিনি। রহমান সাহেব এসে বলে..
– বাবা তোর পায়ে বেঁধে মেয়ে টা পরে গেছে ওর আর দোষ কি? মিম রহমান সাহেবের হাত ধরে বলে..
– আঙ্কেল আমার জন্যে তোমরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করো না। চলে যাচ্ছি আমি।
– আমার কথা শোন বাবা ও কাজ টা ইচ্ছে করে করেনি। এই ঘটনার পর,
এক মাসের মধ্যে ইমান মিমকে আর কখনো এই বাসায় আসতে দেখেনি। মিসেস রিয়া মনমরা হয়ে বসে থাকে মিমকে আসতে বললে ও বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে আসেনি। ইমান রাস্তায় হাঁটতে বেড়িয়ে মিমকে দেখে,
টি.এস.সি তে বসে একা-একা ফুসকা খাচ্ছে তিনি। হঠাৎ মিমের অফিসের বড় ভাই আরিফ ওকে দেখে এসে জিজ্ঞেস করে,
অফিসে মিটিং শেষে এতো রাতে এখানে বসে কি করছ তুমি?
– কিছুনা ভাইয়া,
ওই আরকি। যাই হোক রাত তো কম হলো না এবার আসি?
– চলো আমি তোমাকে বাসায় ছেড়ে আসি?
– তার দরকার হবেনা ভাইয়া একা-একা চলতে শিখে গেছি৷ কিছুক্ষণ চলার পর হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মনেমনে বলে..
– এখন কি করবো আমি? তারপর ভিজতে ভিজতে বাসার গলির কাছে এসে জিনিসপএ ফেলে নিজের মতো করে ভিজতে শুরু করেছে সাথেসাথে রুহান এসে বলে..
– তোর দশা টা কি? জ্বর বাঁধানোর ইচ্ছে আছে নাকি?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com