অভিমানি । পর্ব -০২

কিসের ভালোবাসার কথা হচ্ছে শুনি তো? কে কারে এতটা ভালোবাসে যে বলতে পারছে না। মেঘার কথা শুনে বন্ধুরা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে

মেঘাঃ তোরা এভাবে চুপ করে আছিস কেনো? কিছু বলছিস না কেনো? তোরা বলতে না পারলে আমাকে বল আমি মেয়েটাকে বলে দিচ্ছি কিন্তু তার জন্য কিন্তু ট্রিট দিতে হবে বলে দিলাম
ওরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি বললাম, আর বলিস না রিদয় কলেজের একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু মেয়েটা ওকে ভালোবাসবে কিনা সেই ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।

এটা শুনে রিদয় অবাক হয়ে রবির দিকে তাকিয়ে আছে। রিদয় ভাবছে রবি ওকে ঝামেলায় ফেলে দিলো। রবি যখনই এরকম কোনো পরিস্থিতিতে পরে তখনই রিদয়ের উপর তা চাপিয়ে দেয় আর রিদয় বেচারা চুপচাপ সেটা শয্য করে নেয়। রিদয় রাগী ভাবে রবির দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে যেনো রবিকে মারতে পারলে শান্তি পেতো

রিদয় মনে মনে বলছে, ও মেঘাকে ভালোবাসে সেটা বলতে পারছে না আর যখনই ধরা খাচ্ছিলো তখনই আমার উপর চাপিয়ে দিলো। মেঘা রিদয়কে বলছে, কি হলো চুপ করে আছিস কেনো? কিছু বলছিস না কেনো

কি বলবো?
কি বলবি মানে? আরে মেয়েটা কে সেটা বলবি তো তা না হলে মেয়েটাকে বলবো কি করে
না মানে রবি জানে ওই রবি জানে মানে কিসব উল্টা- পাল্টা বলছিস? তুই কোন মেয়েকে ভালোবাসিস সেটা রবি জানবে কি করে?

সেটাই তো রবি জানবে কি করে
রিদয় ঠিকভাবে না দেখেই হাতের ইশারায় একটা মেয়েকে দেখিয়ে দিলো। মেয়েটা অন্য দিকে তাকিয়ে কারও সাথে কথা বলছে তাই ওরা কেও মেয়েটাকে দেখতে পাচ্ছে না। মেঘা বললো, তোরা এখানেই থাক আমি মেয়েটার সাথে কথা বলে আসি।

রিদয় ইশরায় রবিকে বুঝালো মেঘাকে আটকাতে
কারন মেঘা যদি মেয়েটার কাছে গিয়ে এসব বলে তাহলে হয়তো রিদয়ের কপালে দুঃখ আছে
তা ও ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে।

রবি তাড়াতাড়ি মেঘাকে মেয়েটার কাছে যাওয়া থেকে আটকালো
মেঘাঃ তোর আবার কি হলো?
কিছু হয় নি তো
তাহলে আমার পথ আটকালি কেনো?
আরে তুই বুঝছিস না কেনো মেয়েটা তো রিদয়কে চিনেও না
তাহলে তুই যদি এখন মেয়েটার কাছে গিয়ে এসব বলিস তাহলে মেয়েটা কি মনে করবে বলতো?
তা ঠিক বলেছিস। আচ্ছা আমি মেয়েটার কাছে গিয়ে এসব না বলে শুধু পরিচিত হয়ে আসি তাহলে তো আর কোনো সমস্যা হবে না

মেয়েটা তো আমাদের কলেজেই পড়ে পালিয়ে তো আর যাচ্ছে না যে তুই ওকে আর খুজে পাবি না।
মেয়েটার সাথে পরিচয় পরেও হওয়া যাবে এখন চল তো
ধ্যাত, পরে কেনো হবো? আমি এখনই মেয়েটার সাথে পরিচিত হবো
তুই বুঝছিস না কেনো যদি তুই মেয়েটার সাথে এমব বলিস তাহলে ও কি মনে করবে
আমি বললাম তো এসব কিছু বলবো না শুধু পরিচয় হবো

মেঘা ওদের কথা না শুনে মেয়েটার সাথে পরিচিত হতে গেলো আর ওরা সবাই দাঁড়িয়ে তা দেখতেছে।
রিদয় তো রবির উপরে অনেক রেগে আছে আজকে ওর জন্য এখন এসব ঝামেলা হচ্ছে।
রবি রিদয়কে বললো,

ভাই এভাবে তাকাস না। আমি তো মেঘাকে আটকানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ও যা জেদি মেয়ে কারও কথা শুনে না। চিন্তা করিস না কিছু হবে না

তোর জন্য আমি বাঁশ খাচ্ছি। মেয়েটা যখন ফালতু ছেলে বলে আমাকে থাপ্পর মারবে তখন দেখতে পাবি কি হয়। ওই তুই মেঘাকে সত্তিটা বলে দিলেই তো পারিস তা না করে এখন আমার উপর ঝামেলা চাপিয়ে দিলি

এভাবে মেঘাকে কি করে বলি বল। আর এতো ভয় পাস কেনো বলতো? কাউকে ভালো লাগতেই পারে।
মেয়েটা যখন জিগ্গেস করতে আসবে তখন বলে দিবি তুই ওকে ভালোবাসিস তারপর রাজি হওয়া না হওয়া মেয়েটার ব্যাপার। তোর তো আর কোনো সমস্যা হবে না

এই সহজ কথাটা তুই মেঘাকে বলে দিলেই তো পারিস। শুধু শুধু আমাকে ঝামেলায় ফেলিস তুই
ধুরো এতো চিন্তা করিস না তো। আগে দেখ কি হয় মেঘা তো বলেছে ও মেয়েটা এসব কিছু বলবে না।
মেঘা মেয়েটার সাথে কথা বলছে রবি আর রিদয় উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ওরা ভাবছে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় আর রিদয় তো থাপ্পর খাওয়ার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে আছে। রিদয় বার বার রবিকে বলছে, ভাই কোনো ঝামেলা না হলেই হয়। আমি এখন পর্যন্ত মেয়েটাকে দেখলাম না, চিনলাম না কিন্তু তোর জন্য সে আমার ভালোবাসার মানুষ হয়ে গেলো

এতো চিন্তা করিস কেনো? আর মেয়েটাকে ভালোবাসলে সমস্যাটা কি?
রিদয় কিছু বলছে না শুধু রবির দিকে তাকিয়ে আছে।
বাকিরা ওদের এই অবস্থা দেখে হাসতেছে।
এতখন মেয়েটা অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলো কিন্তু যখন
রবিদের ফিরে তাকালো মেয়েটাকে দেখে রিদয় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছে মনে হচ্ছে যেনো ও পলক ফেলতে ভুলে গেছে রবি
আর ওর বন্ধুরা তো সবাই রিদয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
ওরা ভাবতেছে রিদয় এতখন কি বললো আর এখন কি করতেছে।
সবাই বলে মেয়েদের মন বুঝা মুশকিল

কিন্তু এখন তো ওরা দেখতেছে ছেলেদের মন বুঝা মুশকিল
আর তার প্রমান ওদের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে
রাসেলঃ মামা মেয়েটাকে দেখে তো ক্রাশ খেয়ে গেলাম ওর জন্য হাজারও থাপ্পর খেতে রাজি আছি।
ভালোই হলো মেয়েটাকে তোর পছন্দ না তাই এই সুযোগটা আমি নিতে চাই
রিদয়ঃ কি বলিস উল্টা- পাল্টা? তোর ভাবি হয় বুঝলি তাই এসব চিন্তা বাদ দে।
রবি ভাই আমার তোকে ধন্যবাদ তোর জন্যই এসব হলো
একটু আগে কি বলতেছিলি আর এখন কি বলছিস?
তোর মন এতো অল্প সময়ে পরিবর্তন কি করে হলো ভাই?
কিছুখন পর মেঘা এসে বললো..

চলবে…
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url