Breaking News

কলেজের রাগী অহংকারী মেয়েটি। পর্ব- 0৮

আদিবার মামা আমার কাছে এসে বলতে লাগলো—–
আমি তোমার আর আদিবার ব্যাপারে সব জানি।। ও প্রতিদিন তোমার কথা বলে।।
ও না বুজে তোমার সাথে অনেক অন্যায় করে ফেলেছে।। দয়া করে তুমি ওকে মাফ করে দাও?? ও তোমাকে না পেলে বাচবে না।।
আমি কিছুই বললাম না।। শুধু ভাবতে থাকলাম—
আসলেই তো ছোটবেলা থেকেই তো ও ভুল শিক্ষা পেয়ে এসেছে।। ও যাকে বাবা ভাবতো সেই ওর আসল বাবার খুনি।। ও শয়তানটা তো ওকে খারাপ ভাবে তৈরি করেছে।।
আদিবা এই কয়দিন হয়তো অনেক মানসিক আঘাত পেয়েছে।।
না আর ওকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।। এখন খেকে ওকে সব সময় ভালো রাখার চেষ্টা করবো।।
মাকে ফোন করে বললাম,, আমার একটা বন্ধু হাসপাতালে তাই রাতে আমি হাসপাতালে থাকবো।।
আদিবার মামা,মামি আর বোন ও ছিল হাসপাতালে।।
অনেকক্ষণ পর ডাক্তার এসে বললো—
ডাক্তারঃ রোগীর জ্ঞান ফিরেছে।। আপনারা তার সাথে দেখা করতে পারেন।।
আদিবার মামা – মামি আদিবার কেবিনে গেল।।আর আমি বাইরে দাড়িয়ে রইলাম।।
মামাঃ কেমন আছিস মা?? এরকম কেনো করতে গেলি??যদি তোর কিছু হয়ে যেতো??
আদিবাঃ মামা আমি রবিকে ছাড়া বাচবো না।। অনেক ভালবেসে ফেলেছি ওকে।।( কাঁদতে কাঁদতে বললো)
মামাঃ কাঁদিস না মা।। রবি ও হাসপাতালে আছে।। ওকে তোর কাছে পাঠাচ্ছি।।
কেবিনের বাইরে দাড়িয়ে আছি।। এমন সময় আদিবার মামা এসে বললো—-
—- আদিবা তোমার সাথে কথা বলতে চায়।। তুমি একটু ওর সাথে দেখা করে এসো??
আমি আদিবার কেবিনে ঢুকে আদিবার পাশে বসলাম।
আদিবা আমাকে দেখে বলতে লাগলো—
আদিবাঃ রবি আমাকে মাফ করে দাও?? আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।। তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না।। ( কাঁদতে কাঁদতে বললো)
—- ( না আদিবাকে আর কষ্ট দেওয়া যাবে না)
তোমার মাফ চাইতে হবে না।। এখন থেকে তোমাকে আর কোনো কষ্ট পেতে দেব না।।
সাথে সাথে আদিবা আমাকে জড়িয়ে বরলো।।
আদিবাঃ আমাকে শুধু তোমার ওই বুকে একটু জায়গা দিও।। তুমি যদি কখনও আমাকে ছেড়ে যাও,, তাহলে আমি বাঁচতে পারবো না।।
—– আর কখনও এই কথা বলবে না।। আমি কখনও তোমায় ছেড়ে যাবো না।।
আজ দুই দিন পর আদিবাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়েছে।। এই দুই দিন সব সময় আদিবার সাথে থাকতে হয়েছে।।
আদিবাকে ওর বাসায় নিয়ে গেলাম।।
আদিবাঃ এখানে থেকে যাও না?? আমি তোমাকে ছাড়া একমুহূর্তও থাকতে পারবো না।।
—– এত চিন্তা করো না তো।। আর আমি তো আর কোথাও চলে যাচ্ছি না।।
আদিবাঃ ঠিক আছে।। তাহলে কালকে কলেজে দেখা হবে।।
— কি বলছো?? তুমি এই অবস্থায় কলেজে যাবে??
আদিবাঃ আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ।। কালকে কলেজে গিয়ে সারাদিন তোমার সাথে ঘুরবো।।
— কালকে কলেজে যেতে হবে না।। তুমি এখনও অসুস্থ।। পরে ঘুইরো।।
আদিবাঃ তুমি আমাকে একটুও ভালবাসো না।।( কান্না করতে করতে বললো)
—– কান্না কইরো না।। আচ্ছা কালকে তোমার সাথে ঘুরবো।। এইবার খুশি তো।।
আদিবাঃ অনেক খুশি।। ( বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কিস করলো।।
—- এটা কি করলে।।
আদিবাঃ আদর করলাম।। কেনো ভালো লাগেনি বুজি?? আবার দিব??
—– এই না।। আমি গেলাম।। কালকে দেখা হবে।।
তারপর সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম।।
বাসায় এসে মাকে সব বললাম।।
মাঃ মেয়েটাকে আর কষ্ট দিস না।। মেয়েটা মনে হয় সত্তিই তোকে অনেক ভালোবাসে।।
তারপর খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।। খুবই ক্লান্ত লাগছিল। তাই আর পড়লাম না।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে টিউশনিতে গেলাম।।
টিউশনি করিয়ে বাসায় এসে খেয়ে জান্নাতকে নিয়ে কলেজে গেলাম।। জান্নাতকে ওর কলেজে নামিয়ে দিয়ে আমি আমার কলেজে এলাম।।
কলেজে আসার সাথে সাথেই আদিবা কাছে আসলো।।
ওর ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে,, আমার মুখের ঘাম মুছে দিল।।
—- কি করছো?? সবাই দেখছে তো??
আদিবাঃ কোনো কথা বলবে না।। চুপচাপ দারিয়ে থাকো।। সবাই দেখলে আমার কিছু যায় আসে না।।
আর তুমি গতকালকে তোমার নাম্বার দিয়ে যাও নি কেনো??
—– মনে ছিল না।। এখন দিচ্ছ।।***********।
আদিবাঃ চলো এবার আমরা ঘুরতে যাবো।।
—- কিন্তু ক্লাস করবো না??
আদিবাঃ একদিন ক্লাস না করলে কিছু হবে না।। চলো তো??
আদিবার সাথে রিকসায় ঘুরতে বের হলাম।।
আদিবা আমার কাধে মাথা রাখলো।। চুলগুলো ওর মুখের উপর এসে পড়ছে।। খুবই সুন্দর লাগছে ওকে।। একটা মানুষ কি করে এতো সুন্দর আর মায়াবি হতে পারে তা আদিবাকে না দেখলে বুজা যাবে না।।
নদীর পাড়ে ঘুড়তে আসলাম।। আদিবা বসে আছে।। আর আমি ওর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি।। আদিবা আমার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে।।
আদিবা কথা বলছে আর আমি নির্বাক শ্রোতার মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছি।।
তারপর আদিবাকে নিয়ে ফুচকা খেতে গেলাম।।আদিবা নিজে খাচ্ছে আর আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।। আমিও ওকে খাইয়ে দিলাম।।
খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটলো দুজনার।।
আদিবাকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি জান্নাতকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।।
সন্ধ্যায় টিউশনিতে গেলাম।। টিউশনি করিয়ে বাসায় এসে পড়তে বসলাম।। তারপর খেয়ে ঘুমাতে গেলাম। এর মধ্যে আদিবা কল করলো।।
আদিবাঃ কি করো??
—- একটা পাগলির সাথে কথা বলি।। তুমি??
আদিবাঃ একটা পাগলের সাথে কথা বলি??
— হা হা হা
আদিবার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।।
সকালে টিউশনি করিয়ে কলেজে গেলাম।।
প্রতিদিনের মত আজকেও আদিবা আমার ঘাম মুছে দিচ্ছে।।
তারপর দুজনে ক্লাস করতে চলে গেলাম।।
ক্লাস করে আদিবাকে বিদায় জানিয়ে জান্নাতকে নিয়ে বাসায় গেলাম।।
বিকালে জান্নাত বললো
জান্নাতঃ ভাইয়া চলো আজকে ঘুরতে যাই।।
—- কিন্তু আমার তো পড়াতে যেতে হবে।।
দেখলাম জান্নাত মন খারাপ করে আছে।।
—– আচ্ছা আজকে পড়াতে যাবো না।। তোকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।। এইবার খুশি তো??
জান্নাতঃ আমার ভালো ভাইয়া।। (জরিয়ে ধরে বললো)
বিকালে জান্নাতকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।।
অনেক জাগায় ঘুরলাম, তারপর জান্নাতকে নিয়ে ফুচকা খেতে গেলাম।। জান্নাত আমাকে ফুচকা খাইয়ে দিল।।
হঠাৎ করে —–
চলবে—–

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com