Breaking News

অবুঝ প্রেমের গল্প । পর্ব-০৩



যেই না আমি পেছনে তাকিয়েছি,
চোখ যেন আমার চড়কগাছ।
আর মনে মনে ভাবছি,
এ আমি কার সাথে কথা বলতেছি এত দিন!
এ দেখি উৎস!
এই ছেলে এত দিন আমাকে বোকা বানিয়েছে দেখছি।
যাইহোক,সে আমার সামনে এসে আমাকে
বলে,শুভ জন্মদিন।
বলেছিলে কিন্তু আমাকে দেখার পর বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।
সো কথা কিন্তু রেখো।
আমি চুপ হয়ে আছি।
ও আমার হাতে কিছু ফুল আর গিফট তুলে দিলো।
আমার বান্ধবীরা ওর সাথে কথা বল্লো।
আর আমি মনে মনে ভাবছি,আম্মু যদি শোনে আমি উৎসের সাথে এত কথা বলেছি।
উৎস যদি বাসায় বলে দেয় তাহলেতো খবরই আছে।
যাইহোক সেদিনের মত বাসায় চলে আসি।
উৎস বার বার ফোন দিচ্ছে, রিসিভ করছিনা আমি।
চিন্তায় আছি,কি বলবে না বলবে।
কিভাবে ওর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াবো।
অবশেষে কল বাজতে বাজতে রিসিভ করলাম।
-বলেছিলে বিন্দু মাত্র চেঞ্জ আসবেনা তোমার ভেতর।
কিন্তু এখন কেন হচ্ছে?
-দেখুন,আমার আম্মুর নিষেধ আপনার দিকে যেন নজর অব্দি না যায়।
সেখানে কথা বলা তো অনেক দূরেরই কথা।
-কেন?কে দোষ আমার?
-আমি জানিনা।
-কেন জানোনা?
-তাও জানিনা।
-দেখো,ভালবাসা কোন ঠুনকো জিনিষ না বুঝলে?
-হুম বুঝলাম।
-একটা সুযোগ দেয়া যায় না?
-না।
আমাকে আর ডিস্টার্ব করবেন না প্লিজ।
এরপর আমি ফোন কেটে দেই।
কিন্তু ওর পাগলামো দিন দিন বাড়তে থাকে।
একদিন আমার ফ্রেন্ডদের আমি বললাম,ছেলেটা এত পাগলামো করছে।
কিভাবে একে সরানো যায় বল তো?
আম্মু কোন দিনও তাকে মানবেনা।
আর না আব্বু।
আমার বান্ধবীরা বল্লো,
ছেলেটা দেখতে তো ভালো।আর শিক্ষিতও।
তাহলে সমস্যা কি?
আর তোকে ভালও বাসে অনেক।
আর কি লাগে।
-এত কথা জানিনা।
কিভাবে ওকে পথ থেকে সরানো যায় তাই বল।
-এত দিন যাবত ভালবাসে তোকে,তাকে সরাতে পারবি?
-জানিনা,তবে ট্রাই তো করে দেখতে পারি।
এক সময় আমার এক বান্ধবী বলে উঠলো,
-আমাকেও একটা ছেলে খুব জ্বালাতো।কিন্তু ছেলেটাকে আমার ভালো লাগতোনা বলে আমি পাত্তা দেইনি।
তাকে বলেছিলাম,আমাকে ভালবাসো তার প্রমাণ দাও,সে বলেছিলো কি প্রমাণ লাগবে।
আমি তাকে বলেছিলাম তোমার নিজের হাত কেটে সেই রক্ত দিয়ে আমাকে চিঠি লিখে দিতে হবে।
এই কথা শুনে ওই ছেলে আজও গেলো,আর কালও গেলো।
গেলো যে গেলোই,আর খবর নেই তার।
তুইও এটা ফলো করতে পারিস।
কাজে দিবে আমার মনে হয়।
ওর কথা শুনে আমি মনে মনে ভাবলাম এটাই করা যাক তাহলে।
গেলেতো ভালোই হতো।
যদিও এসব আজাইরা কাজ আমার কোন কালেই ভালো লাগতোনা।তবুও ভেবে নিলাম এটাই করবো।
কেননা,তাকে ভাগানোই হচ্ছে আমার কাজ।
যেই কথা সেই কাজ,
পরের দিন উৎস আমাকে ফোন দিলে আমি তাকে বলি,
-আপনি যে আমাকে ভালবাসেন,তার প্রমাণ কি?
-কি প্রমাণ লাগবে তোমার?
শুধু বলোতো একবার।
-পারবেন তো?
-কেন পারবোনা,তুমি শুধু বলো আমাকে,
কি করতে হবে।
-আমার আপনার শরীরের রক্ত লাগবে।
-মানে?
-আমার ফ্রেন্ডদের যারা ভালবাসে তারা ওদের নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে প্রপোজ করে।
-তো?
-আমাকেও আপনি আপনার শরীরের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখবেন।
যদি লিখতে পারেন,তাহলে ভাব্বো আপনিও ওদের মত আমাকে ভালবাসেন।
-দেখো কুহু”
আমার কিন্তু এসব সস্তা কাজ একদম পছন্দ না।
-পারবেন না সেটা বলেন।
যেদিন পারবেন ঠিক সেদিনই আমার সামনে আসবেন।
তার আগে না।
মনে মনে ভাবছি,যা ব্যাটা।
আর ত্য আসবিনা।
ঝামেলা মুক্ত।
কিন্তু পরের দিনই সে আমাদের বাড়ীর গেটের সামনে এসে হাজির।
এসেই আমাকে ফোন দিয়ে বলে,
তাড়াতাড়ি বাইরে এসো,
সময় মাত্র ৫ মিনিট।
হয় তুমি আসবে,
নয়তো আমি এখনই বাড়ীর ভেতরে ঢুকবো।
আর ঢুকেই তোমার মাকে বলবো,
কুহু আমাকে আসতে বলেছে।
এক মিনিট কিন্তু চলে গেছে,
টিকটিক ২…
তুমি আসবে নাকি আমি ভেতরে আসবো?
এদিকে আমার ভয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে,
আম্মু যদি ওর আসার কথা জানে তাহলে যে খবরই আছে।
আমি তবুও চুপিচুপি ধীর পায়ে গেটের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com