Breaking News

এরেঞ্জম্যারেজ | পর্ব- ২

প্রথমেই বুঝেছিলাম তোমাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক আছে।আশাকরি মা তুমি খুব ভালো রাখবে আমার ছেলে টা কে।ইমান হঠাৎ তেড়ে এসে ইফতি সাহেব এর শার্টের কলার চেপে ধরে বলে,
– অনেক লোক দেখেছি,তবে আপনার মতো নিচুস্তরের লোক দেখেনি আগে।কে আপনার ছেলে? বলে ছিনা?নিজেকে আমার বাবা বলে পরিচয় দেবেন না কারো কাছে।তেইশ বছর আগে আমার মা শুধু মাএ আপনার জন্য আত্মহত্যা করে ওই কাশবনের কবরস্থানে শুয়ে আছে।কারণ আপনি তেজ্যপুএ হওয়ার ভয়ে অন্য একটা মেয়ে বিয়ে করে ঠকিয়েছিলেন আমার মা কে।এতোই যখন তেজ্যপুএ হওয়ার ভয়? তখন কেন বিয়ে করেছিলেন তাকে? ইফতি সাহেব সাহেব মুখ ফুটে কিছু বলতে চাইলে ইমান সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় তাকে।তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছুটে এসে মিম এর উদ্দেশ্য বলে,
– এই মেয়ে টাই নষ্টের মূল শরীর দিয়ে বশ করেছে ছেলেটা কে।মিম ইমান কে সামলে নিয়ে বলে,
– হয়তো আপনি নিজের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন আমাকে? আপনিই তো শরীর দিয়ে বশ করেছিলেন এক বাচ্চার বাবাকে? সে যাই হোক আমি কথা বাড়াতে চাই না আপনার সাথে।ইমান মিমের হাত ধরে বলে,
– চলো গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে আসছি তোমাকে।শরীর টা ভালো নেই বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও।
– ঠিক আছে,তবে আমি কি লাঞ্চ করে পাঠিয়ে দেবো ড্রাইভারের কাছে?
– তার প্রয়োজন হবে না শুধু মাঝেমাঝে ফোন কোরো আমাকে।তারপর মিম ওর কপালে চুমু খেয়ে বেড়িয়ে পরে অফিস থেকে।নীলিমা ছুটে এসে ইমান কে বলে,
– কেমন মানুষ তুমি? দেখতে পাচ্ছনা? খালুর মাথা ফেটে গেছে? ইমান প্রচণ্ড রেগে গিয়ে দারোয়ানকে ডেকে বলে,
– প্লিজ এই মেয়ে টা কে বের করো আমার ক্যাভিন থেকে আর শোনো নীলিমা আমি কখনো ভালোবাসিনি তোমাকে।তোমার আমার বিয়ে টা ছোটোবেলায় ঠিক হয়েছিল যেটা নিছক ছেলেখেলা আমার কাছে।তুমি হয়তো ভুলে গেছো তোমার খালার জন্যে আমার মায়ের সংসার ভেঙেছে।তাই তোমাকে বিয়ে করার কোনো লজিক নেই আমার কাছে।নীলিমা চুপ করে তাকিয়ে আছে ইমানের দিকে।তখন ইমানের সৎ ভাই ইরাদ এসে বলে,
– এখানে থেকে লাভ নেই চলো আমার সাথে।রাতে ইমান বাসায় ফিরে দেখে ঘরদোর সব নোংরা হয়ে আছে।মনেমনে বলে,”হে আল্লাহ কপাল করে একটা বউ দিয়েছ আমাকে।ধোঁয়া-পাল্লা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সব আমাকে করতে হয় নিজের হাতে।” তারপর ল্যাপটপ টা টেবিলের ওপরে রেখে ইমান লেগে পরে কাজে।মিম ঘুম থেকে উঠে নিচে এসে দেখে পুরো বাড়ি ঝকঝকে হয়ে আছে আর ইমান সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে রাগে সাপের মতো ফোঁসফোঁস করতেছে।তারপর এক দৌড়ে টাওয়াল নিয়ে গোসল করতে বাথরুমে ঢুকেছে।অতঃপর সেখান থেকে বের হয়ে টাওয়াল পরা অবস্থায় রান্না ঘরে গেছে।মিম হঠাৎ পেছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,
– রান্না কে করতে বলেছে আপনাকে? আমি করে রেখেছি।চলুন খাবেন আমার সাথে।
– তোমার হাতের ওই পঁচা রান্না কে খাবে?
– কেন আপনি?প্লিজ চলুন না আমার সাথে? মিমের মায়া ভরা মুখ টা দেখে ইমান ফেরাতে পারেনি ওকে।খেতে বসে মিমকে জিজ্ঞেস করে,
– তুমি খেয়েছ? তখন ও মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উত্তর দেয় ওকে।ইমান জোর করে মিমকে নিজের কোলে বসিয়ে বলে,
– আমি বুঝি চিনি না তোমাকে? মিথ্যে বলো আমাকে?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com