Breaking News

এরেঞ্জম্যারেজ | লেখিকা সুরিয়া মিম

মিম ঘুমিয়ে ছিল,ঘুমের মধ্যে অনুভব করলো কেউ একজন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে ওকে এবং তার গরম নিশ্বাস এসে পরছে ওর কাঁধে।ও ভয়ে জড়োসড়ো কোনো কথা বেড় হচ্ছে না বেচারির মুখ থেকে কারণ সে ভালো করেই জানে কোনো পরপুরুষ নয় বরং তারস্বামী জড়িয়ে ধরেছে তাকে।ইমান বেশ শান্ত ভাবে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে মিমের ঠোঁটের দিকে।আজ এই ঠোঁট দু’টো বড্ড কাছে টানছে ওকে।ইমান চুমু খেতে চাইলে মিম বাঁধা দেয় ওকে।তখন ইমান রেগে গিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠে,
– তুমি আমার দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করা চার বছরের পুরনো বউ।এতো নাটক করো কেন আমার সাথে? মিম কিছু বলতে যাবে ইমান ওর হলকা গোলাপি ঠোঁট জোড়া তখনি দখলে নিয়ে নেয় সাথেসাথে।না চাইতে ও মিম নিজেকে সঁপে দেয় ইমানের হাতে।
সকালে,
ঘুম থেকে উঠে দেখে ইমান রান্নাঘরে নাস্তা বানাচ্ছে একা হাতে।মিম কে দেখে মৃদু হেসে বলে,
– ফ্রেশ হয়ে আসো আমি খেতে দিচ্ছি তোমাকে।মিম বিড়বিড় করে বলে,
– পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাতিকগ্রস্ত মানুষ এখনি লেগে পরবে কাজে।মিম বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখে ঠিক যা ভেবেছিল তাই।ইমান ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করছে নিজের হাতে।তারপর হঠাৎ মিমের কাছে এসে বলে,
– এখনো সাবান লেগে আছে তোমার হাতে।গোসল করা হয়নি আসো আমি গোসল করিয়ে দিচ্ছি তোমাকে।
– আপনার কি বাচ্চা বলে মনে হয় আমাকে?
– কথা কম কাজ বেশি,চলো ফরজ গোসল টা করে ফেলি একসাথে।তুমি এতো নোংরা? কি কুক্ষণে যে আমি বিয়ে করেছিলাম তোমাকে? মেয়ে মানুষ এতো অগোছালো হয়? আমি বাপু দেখিনি আগে? মিম রেগে গিয়ে বলে,
– চিন্তে নেই আপদ তো বিদায় হবে আগামী বছর থেকে।আপনি হয়তো ভুলে গেছেন আমাদের এরেঞ্জম্যারেজ এর পাঁচ বছরের চুক্তি প্রায় শেষের দিকে? ইমান সাথেসাথে ওয়ালের সাথে চেপে ধরে ওকে।তারপর ওর গায়ে টাওয়াল জড়িয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলে,
– তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আসো অফিসে যেতে হবে তোমাকে।নীল শাড়ি তে মিম কে দেখে ডাইনিং টেবিল থেকে ইমান এক ভাবে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।অফিসে আসার পর নীলিমা ছুটে এসে ইমান এর কাছে জানতে চায়,”কি সম্পর্ক তোমার মিমের সাথে?” ইমান উওরে মৃদু হেসে বলে,
– প্রেমিকা আমার লিভিং রিলেশনশিপে আছি গত চার বছর থেকে।
– তুমি কি ভুলে গেছো ইমান আমাদের বিয়ে টা ঠিক হয়েছে পারিবারিকভাবে?
– তাতে কি নীলিমা আমি তো ভালোবাসি না তোমাকে।মিম আমার প্রেমিকা দু’দিন বাদে আমি বিয়ে করবো ওকে।নীলিমা চেঁচিয়ে বলে ওঠে,
– ইফতি আঙ্কেল তুমি কেন কিছু বলছ না ওকে?
– শোনো নীলিমা,
ইফতি খানের কোনো সিদ্ধান্ত ম্যাটার করে না আমার কাছে।”The fact is আমি ভালোবাসি ওকে।” আমি মাথার দিব্যি দিয়ে রাখিনি যে বিয়ে করবো তোমাকে।মিম মনেমনে বলে,”ওরে শয়তান এখন এসে অন্যরূপ দেখাচ্ছে নীলিমা কে? কোই বিয়ের চার বছরে তো কখনো মুখ ফুটে বলেনি যে ভালোবাসে আমাকে? কেমন একটা লোক? মাথা খারাপ না কি? নিজের বিয়ে করা বউ কে প্রেমিকা বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে সবার সাথে?” ইফতি সাহেব এসে মিমের উদ্দেশ্য বলেন,
– প্রথমেই বুঝেছিলাম তোমাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক আছে।আশাকরি,মা তুমি খুব ভালো রাখবে আমার ছেলে টা কে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com